Tag Archives: Monsoon Travel

Monsoon Travel Destination: বর্ষায় ঘুরতে যাওয়ার সেরা ঠিকানা, কম খরচে ঘুরে আসুন কালিম্পং-এর এই পাহাড়ি গ্রাম থেকে

শিলিগুড়ি: বর্ষা ঢুকেছে পাহাড়ে। আর এই বৃষ্টির মরশুমে প্রকৃতির কোলে কিছুটা সময় উপভোগ করতে ঘুরে আসতে পারেন কালিম্পং-এর এই গ্রামে।কালিম্পং শহরের একটি অফবিট গ্রামের নাম দাড়াগাঁও । কালিম্পং থেকে গ্যাংটক যাওয়ার পথে রমধুরা গ্রাম ছাড়িয়ে একটু এগোলেই পরে শান্ত, নিরিবিলি, পাহাড়ের কোলে ছোট্ট এই গ্রাম।

ঘরে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘা উপভোগ করা থেকে শুরু করে রাতের রংপো শহর জ্বলজ্বল করতে দেখা, এ এক চরম আনন্দের দৃশ্য। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার ও শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে এই পাহাড়ি ছোট্ট গ্রাম।

আরও পড়ুন-  গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

এখানে এলে পুরনো ধাঁচের বাড়ির দেখা মিলবে। এখানে তামাং সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস বেশি। অন্য সম্প্রদায়ের লোকও রয়েছে। তবে সেই সংখ্যাটা কম। এখানে এক বৌদ্ধ মনেস্ট্রিও রয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ চাষ করেন। প্রায় প্রতিটি বাড়ির সঙ্গেই রয়েছে চাষের জমি।শিলিগুড়ি, কালিম্পং, দার্জিলিং বা গ্যাংটক থেকে খুব সহজেই শেয়ার গাড়িতে আসতে পারবেন এখানে।এখানে থেকে আপনি জলসা বাংলো, তিস্তা ভিউ পয়েন্ট, বার্মিক মহাদেব ধাম, হিমালি পার্ক, লাভা, রিশপ, লোলেগাঁও, ডেলো, দুরপিন দাঁড়া বা পুরো কালিম্পং শহর, সিলেরি গাও, ইচ্ছে গাও, রামধুরা, ইত্যাদি জায়গাগুলি সব ঘুরতে পারবেন।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে আপনি এই পাহাড়ি গ্রামে থেকে হিমালয় পর্বতমালা তথা কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য দেখার ও সুযোগও পাবেন। চারিদিক দিক দিয়েই পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই গ্রাম । পাহাড়ের নীচে দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী, যার একদিক সিকিমের আর একদিক পড়ছে দার্জিলিং-এর মধ্যে। থাকার অন্যতম সেরা স্থান এই গ্রামের হোমস্টে এটিসি টিবেটিয়ান ভিলা, দাড়াগাঁও। ফোন: 7031626241/6289421510 নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, মালবাজার বা বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে পিক আপ /ড্রপ বা এখানে আসে পাশে ঘোরার জন্যে গাড়ি পাওয়া যাবে।

অনির্বাণ রায়

Travel-Jhargram: সুবর্ণরেখা ও ডুলুং নদীর মাঝে এসি কটেজ! খুব কম খরচে ঘুরে আসুন ঝাড়গ্রামের এই জায়গা

ঘুরতে যেতে কম বেশি সকলেই পছন্দ করেন। চেনা জায়গার বদলে অফবিট ডেস্টিনেশন বরাবরই টানে পর্যটকদের। ভ্রমনপিপাসু মানুষরা তাই ঘুরে বেড়ান এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। তবে আপনার হাতের কাছে রয়েছে এমন সুন্দর একটি জায়গা যা আপনার প্রিয় দশটি ঘোরার জায়গার মধ্যে একটি হবেই হবে।
ঘুরতে যেতে কম বেশি সকলেই পছন্দ করেন। চেনা জায়গার বদলে অফবিট ডেস্টিনেশন বরাবরই টানে পর্যটকদের। ভ্রমনপিপাসু মানুষরা তাই ঘুরে বেড়ান এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত। তবে আপনার হাতের কাছে রয়েছে এমন সুন্দর একটি জায়গা যা আপনার প্রিয় দশটি ঘোরার জায়গার মধ্যে একটি হবেই হবে।
দু'দিকে বয়ে চলেছে দু'টি নদী মাঝখানে চরের উপর একটি বায়োডাইভারসিটি পার্ক। যেখানে রয়েছে সাজানো গোছানো আটটি কটেজ। দুদিকে নদী এবং চারিদিকে সবুজের ক্ষেত্র মন ভাল করবে আপনার।
দু’দিকে বয়ে চলেছে দু’টি নদী মাঝখানে চরের উপর একটি বায়োডাইভারসিটি পার্ক। যেখানে রয়েছে সাজানো গোছানো আটটি কটেজ। দুদিকে নদী এবং চারিদিকে সবুজের ক্ষেত্র মন ভাল করবে আপনার।
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রয়েছে কোদোপাল বায়োডাইভারসিটি পার্ক। একদিকে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা নদী এবং অন্যদিকে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী। মাঝে একখানি দ্বীপের মতো এই চর।
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রয়েছে কোদোপাল বায়োডাইভারসিটি পার্ক। একদিকে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা নদী এবং অন্যদিকে বয়ে চলেছে ডুলুং নদী। মাঝে একখানি দ্বীপের মতো এই চর।
গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ফলের বাগান এবং থাকার জন্য ঝাঁ চকচকে আটটি কটেজ। সারা সপ্তাহের অফিসের ক্লান্তি ভুলে অন্তত একটি দিন কাটানো যেতে পারে এখানে। সবুজের ক্ষেত্র এবং পাশেই নদীর মোহনীয় রূপ মন ভাল করবে আপনার।
গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ফলের বাগান এবং থাকার জন্য ঝাঁ চকচকে আটটি কটেজ। সারা সপ্তাহের অফিসের ক্লান্তি ভুলে অন্তত একটি দিন কাটানো যেতে পারে এখানে। সবুজের ক্ষেত্র এবং পাশেই নদীর মোহনীয় রূপ মন ভাল করবে আপনার।
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণীর কাছেই গড়ে তোলা হয়েছে এই পার্ক। ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশন থেকে মাত্র ৪৬ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এই পার্ক। রোহিনী বাজার থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে নদীর মধ্যেই কোদোপাল বায়ো-ডাইভারসিটি পার্ক ও কটেজ।

ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের রোহিণীর কাছেই গড়ে তোলা হয়েছে এই পার্ক। ঝাড়গ্রাম রেলস্টেশন থেকে মাত্র ৪৬ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এই পার্ক। রোহিনী বাজার থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে নদীর মধ্যেই কোদোপাল বায়ো-ডাইভারসিটি পার্ক ও কটেজ।
এখানে রয়েছে মোট আটটি কটেজ। প্রতিটি কটেজে এসি, শোয়ার বিছানা, সোফা সহ একটি আলমারি রয়েছে। চারটি কটেজের নাম দেওয়া হয়েছে সুবর্ণরেখার নামে এবং অপর চারটি ডুলুং নদীর নামে। সামনেই রয়েছে সাজানো-গোছানো একটি পার্ক। চারিদিকে সবুজের ক্ষেত্র এবং ফলের বাগান।
এখানে রয়েছে মোট আটটি কটেজ। প্রতিটি কটেজে এসি, শোয়ার বিছানা, সোফা সহ একটি আলমারি রয়েছে। চারটি কটেজের নাম দেওয়া হয়েছে সুবর্ণরেখার নামে এবং অপর চারটি ডুলুং নদীর নামে। সামনেই রয়েছে সাজানো-গোছানো একটি পার্ক। চারিদিকে সবুজের ক্ষেত্র এবং ফলের বাগান।
অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমেই বুকিং করা যায়। জেলার বিশেষ ওয়েবসাইট থেকে থাকার জন্য বুকিং করতে পারবেন। অন্যদিকে অফলাইন মাধ্যমে ব্লক অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট সেকশনে থেকে রুম বুকিং করতে হবে। নাগালের মধ্যে একরাত থাকার জন্য খরচ পড়তে পারে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।
অনলাইন এবং অফলাইন দুই মাধ্যমেই বুকিং করা যায়। জেলার বিশেষ ওয়েবসাইট থেকে থাকার জন্য বুকিং করতে পারবেন। অন্যদিকে অফলাইন মাধ্যমে ব্লক অফিসে এসে অ্যাকাউন্ট সেকশনে থেকে রুম বুকিং করতে হবে। নাগালের মধ্যে একরাত থাকার জন্য খরচ পড়তে পারে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা।
একদিনের ছুটি কাটিয়ে আসতে পারেন সবুজে ঘেরা এই ইকো ট্যুরিজম পার্ক থেকে। রাত হলেই ঝিঁ ঝিঁ পোকার আওয়াজ, জোনাকি টিম টিম আলো এক আলাদাই নেশা জাগাবে আপনার। (তথ্য ও ছবি:  রঞ্জন চন্দ)
একদিনের ছুটি কাটিয়ে আসতে পারেন সবুজে ঘেরা এই ইকো ট্যুরিজম পার্ক থেকে। রাত হলেই ঝিঁ ঝিঁ পোকার আওয়াজ, জোনাকি টিম টিম আলো এক আলাদাই নেশা জাগাবে আপনার। (তথ্য ও ছবি:  রঞ্জন চন্দ)

Monsoon Travel: ঘুরে আসুন শুশুনিয়া পাহাড়ের লুকোনো গ্রাম! কেউ জানেই না এই স্বর্গ গ্রামের কথা! রইল ফোন নম্বর

বাঁকুড়া: শুশুনিয়া পাহাড় বলতে আপনি কী বোঝেন? পাহাড়, ঝরনা আর মন্দির? যদি সেটা ভাবেন তাহলে ভুল করছেন। শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে ছবির মত একটি গ্রাম রয়েছে, যে গ্রামে গেলে প্রকৃতি এবং শিল্প মন জয় করবে আপনার। কোনও এক সময় এই আদিবাসী অধ্যুষিত প্রত্যন্ত গ্রামে এসেছিলেন জনৈক সাধু বাবা। গরিব গ্রামবাসীরা সাধু বাবার জন্য ব্যবস্থা করেছিলেন একটি পাতার কুটির। তারপর ধীরে ধীরে সাধু বাবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় বদলে গেছে প্রত্যন্ত গ্রামটির চেহারা। তৈরি হয়েছে ঝকঝকে রাস্তাঘাট, পাওয়া যাচ্ছে পরিশুদ্ধ পানীয় জল এবং গ্রামের কচিকাঁচার প্রায় বিনামূল্যে শিখছে পড়াশোনা।

গল্প নয় সত্যি। ঠিক এমনটাই ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত শিউলিবোনা গ্রামে। ১৯৯১ সালে শিউলিবোনায় পা রাখেন এক সাধু বাবা , জনপ্রিয়ভাবে পরিচিত “প্রভুজী” বলে। পরবর্তীকালে গ্রামবাসীরা তাঁকে “ধারতী বাবা” বলে ডাকতেন। বাস করত মাত্র সাতটি আদিবাসী দিনমজুর পরিবার। বর্তমানে শিউলিবোনা গ্রাম একটি ছবির মত সাজানো গোছানো গ্রাম। রয়েছে ৮১ টি পরিবার এবং এই গ্রামের দেওয়ালে দেওয়ালে আঁকা রয়েছে দারুণ সব রঙিন ছবি। কোথায় ফুটে উঠছে শিকারের গল্প আবার কোথায় চেন্নাই এক্সপ্রেস। দেওয়ালে জায়গা করে নিয়েছে জনপ্রিয় সামাজিক মাধ্যমের লোগো। যারা খোঁজ খবর রাখেন তাদের জন্য দারুণ একটা ঘুরে দেখার জায়গা হতে পারে এই গ্রাম।

আরও পড়ুন: ঘুম থেকে ওঠার পরেও ঘুম পায়? সারাদিন ক্লান্ত লাগে? মারণ রোগের ইঙ্গিত! জানুন কী করবেন

এই গ্রামের পাশ দিয়েই পাহাড়ের কোলে একটি শিলালিপি রয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গের  প্রাচীনত  শিলালিপি হিসাবে বিবেচিত। রাজা চন্দ্রবর্মণের শিলালিপি বলে পরিচিত এই শিলালিপি। জানা যায় রাজা চন্দ্রবর্মণ এই স্থানে তৈরি করেছিলেন তাঁর দুর্গ। যদিও বর্তমানে এই দুর্গের কোনও চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায় না। শুশুনিয়া পাহাড়ের একটি দুর্গম স্থানে অবস্থিত এই শিলালিপি। শিউলিবোনা গ্রামে যাওয়ার রাস্তায় ঢুকলেই চোখে পড়বে সুবিশাল একটি মাঠ। সেই মাঠের পথ অনুসরণ করে কিছুটা পাহাড়ে উঠলেই পেয়ে যাবেন শিলালিপিটি। ইতিমধ্যেই শুশুনিয়া পাহাড় বেড়াতে এসে, একাধিক মানুষ পৌঁছে যাচ্ছেন ইতিহাসের স্বাদ নিতে। এই গ্রামের একেবারে পাশেই রয়েছে নতুন একটি রিসোর্ট, যার নাম শিউলিবোনা উইক এন্ড স্টে। যোগাযোগ নম্বর 8927564507

শুশুনিয়া পাহাড়ের কোলে লুকিয়ে থাকা এই শিউলিবোনা গ্রাম দৃষ্টি আকর্ষণ করবেই আপনার। এই গ্রামে প্রকৃতি সেজে ওঠে নতুন সাজে। পড়ন্ত বিকেলের সূর্যাস্ত অনুভব করতে যদি আসেন শিউলিবোনা। তাহলে বিক্ষিপ্ত ভাবে দেখতে পাবেন ধাত্রীবাবা এবং শময়িতা মঠের স্পর্শ লেগে রয়েছে পুরো গ্রামটাতে। বলা যায় না হয়ত আপনিও খুঁজে পেতে পারেন নতুন কোন ঘুরে দেখার আবেগ।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী