শিলিগুড়ি: বর্ষা ঢুকেছে পাহাড়ে। আর এই বৃষ্টির মরশুমে প্রকৃতির কোলে কিছুটা সময় উপভোগ করতে ঘুরে আসতে পারেন কালিম্পং-এর এই গ্রামে।কালিম্পং শহরের একটি অফবিট গ্রামের নাম দাড়াগাঁও । কালিম্পং থেকে গ্যাংটক যাওয়ার পথে রমধুরা গ্রাম ছাড়িয়ে একটু এগোলেই পরে শান্ত, নিরিবিলি, পাহাড়ের কোলে ছোট্ট এই গ্রাম।
ঘরে বসে কাঞ্চনজঙ্ঘা উপভোগ করা থেকে শুরু করে রাতের রংপো শহর জ্বলজ্বল করতে দেখা, এ এক চরম আনন্দের দৃশ্য। কালিম্পং শহর থেকে মাত্র ১৩ কিলোমিটার ও শিলিগুড়ি শহর থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে এই পাহাড়ি ছোট্ট গ্রাম।
এখানে এলে পুরনো ধাঁচের বাড়ির দেখা মিলবে। এখানে তামাং সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস বেশি। অন্য সম্প্রদায়ের লোকও রয়েছে। তবে সেই সংখ্যাটা কম। এখানে এক বৌদ্ধ মনেস্ট্রিও রয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ চাষ করেন। প্রায় প্রতিটি বাড়ির সঙ্গেই রয়েছে চাষের জমি।শিলিগুড়ি, কালিম্পং, দার্জিলিং বা গ্যাংটক থেকে খুব সহজেই শেয়ার গাড়িতে আসতে পারবেন এখানে।এখানে থেকে আপনি জলসা বাংলো, তিস্তা ভিউ পয়েন্ট, বার্মিক মহাদেব ধাম, হিমালি পার্ক, লাভা, রিশপ, লোলেগাঁও, ডেলো, দুরপিন দাঁড়া বা পুরো কালিম্পং শহর, সিলেরি গাও, ইচ্ছে গাও, রামধুরা, ইত্যাদি জায়গাগুলি সব ঘুরতে পারবেন।
সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশের সঙ্গে আপনি এই পাহাড়ি গ্রামে থেকে হিমালয় পর্বতমালা তথা কাঞ্চনজঙ্ঘার অপূর্ব দৃশ্য দেখার ও সুযোগও পাবেন। চারিদিক দিক দিয়েই পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই গ্রাম । পাহাড়ের নীচে দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা নদী, যার একদিক সিকিমের আর একদিক পড়ছে দার্জিলিং-এর মধ্যে। থাকার অন্যতম সেরা স্থান এই গ্রামের হোমস্টে এটিসি টিবেটিয়ান ভিলা, দাড়াগাঁও। ফোন: 7031626241/6289421510 নিউ জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়ি, মালবাজার বা বাগডোগরা এয়ারপোর্ট থেকে পিক আপ /ড্রপ বা এখানে আসে পাশে ঘোরার জন্যে গাড়ি পাওয়া যাবে।
অনির্বাণ রায়