Interesting fact

West Bengal news: মায়ের মৃত্যুতে চোখে জল নয়, বরং ব্যান্ড-ডিজে বাজিয়ে মহানন্দে শেষযাত্রা পরিবারের

মালদহ: মায়ের শেষ বিদায়ে বাজল ব্যান্ড, ডিজে। শোক নয় বরং আনন্দ- উল্লাসে ছেলেমেয়ে-সহ পরিবারের সকলে মিলে শেষযাত্রায় শামিল হলেন মালদহে। শনিবার মানিকচকের কামালপুর অঞ্চলের ঠাকুরপাড়া এলাকায় এমনই ঘটনার সাক্ষী গ্রামবাসীরা। পাড়ায় কেউ তাঁকে বলতেন ঠাকুমা। আবার কেউ বলতেন দিদা।

শনিবার সকালে সজ্ঞানে পরলোকগমন করেন তিনি। এরপরে সকলকে কার্যত অবাক করে দিয়ে শতায়ু রানি মণ্ডলের (১১০) শেষ বিদায়ে দুঃখ নয়, বরং উল্লাস আনন্দে মাতলেন পরিবারের সদস্যরা। রানি মণ্ডলের চার ছেলে, পুত্রবধূ, নাতি-নাতনী নিয়ে বিশাল পরিবার। আজ তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের সকলে মিলে আনন্দ, উৎসবের মধ্যে দিয়ে আবিরের রঙে হরিনাম কীর্তন-সহ শেষযাত্রা সম্পন্ন করেন মানিকচক মহাশ্মশানে।

আরও পড়ুন: চিরাগ পাসোয়ান থেকে কুমারস্বামী- মোদির মন্ত্রিসভায় কারা? বাংলা থেকেই বা কে মন্ত্রী হতে পারেন?

মৃতের ছেলেদের কারও বয়স ৬০ বছর, কেউ ৭০ বছর বয়সি, কারও বয়স আবার ৮০। বড় ছেলে জ্যোতিষ মণ্ডল জানান, মা প্রায় ১১০ বছর পৃথিবীকে আঁকড়ে ধরেছিলেন। কখনও তাঁকে খুব বেশি অসুস্থ হতেও দেখা যায়নি। শেষদিন পর্যন্ত সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতেন। গতকাল পর্যন্ত নিজে স্নান খাওয়া সবই করেন। এরপরেই সকালে তিনি পরলোক গমন করেন। এত বছর সুস্থ হয়ে থাকাটাই আনন্দের। এজন্যই শেষযাত্রায় বিষাদ নয় বরং জোর দেওয়া হয় আনন্দে। মৃতার শেষযাত্রায় পরিবার ছাড়াও যোগ দেন পাড়া-প্রতিবেশীরাও। শেষযাত্রায় শামিল অনেককে আবার ব্যান্ড ও ডিজের তালে নাচতেও দেখা যায়।

স্থানীয়দের একাংশ জানান, নিজের জীবদ্দশায় অত্যন্ত হাসিখুশি স্বভাবের ছিলেন শতায়ু রানি মণ্ডল। তিনিও পরিবারকে জানিয়েছিলেন, তাঁর মৃত্যুতে যেন কোনও শোকের আবহ তৈরি না হয়। মৃত্যু নিয়ে কান্নাকাটি তাঁর মোটেও পছন্দ ছিল না। এদিন ধুমধাম করে বিদায়ের মাধ্যমে তাঁর শেষ ইচ্ছেকেও সম্মান জানানো হয়েছে, এমনটাই দাবি পরিবারের।