মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিহাসের বহুমূল্য সম্পদ। ঠিক তেমনই আছে বহু প্রাচীন কালের মন্দির। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ব্লকে অবস্থিত পদমুর গ্রাম। এই গ্রামেই অবস্থিত জটাধারী আশ্রম। সেখানে একসঙ্গে আছে গোপালের মন্দির থেকে হনুমানজীর মন্দির। এমনকি আছে, শিবমন্দির থেকে রাধাগোবিন্দের মন্দির।
একটি আশ্রমের মধ্যে একাধিক মন্দির নিয়ে গঠিত গাছে ঘেরা আশ্রম সহ মন্দির।আশ্রম কর্তৃপক্ষ নিত্যানন্দ মহারাজ জানান, ভরতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আট কিলোমিটার দুরে অবস্থিত এই পদমুর গ্রাম। গ্রামে প্রবেশের আগেই পদমুর কুসুমডাঙ্গা পাহাড় হিসেবে পরিচিত এলাকা।
গ্রামের মধ্যেই এই জটাধারী আশ্রম বহু বছরের প্রাচীন। বর্তমানে এখানেই কিছু সেবাইত তারা এই মন্দির পরিচালনা করে থাকেন। ভক্তদের টাকায় গড়ে উঠেছে ধীরে ধীরে বেশ কিছু মন্দির। সারা বছর যেমন ভক্ত সমাগম হয়, ঠিক তেমনই বহু পর্যটকরা আসে একদিনের জন্য ঘুরতে আসে এই আশ্রমে।আশ্রমে ঢুকেই চোখে পড়বে একটি গোপালের মুর্তি।
তারপরেই হরিদাস মন্দির, এবং আছে পবন পুত্র হনুমানজীর মুর্তি সহ বিশাল মন্দির, তারপরেই চোখে পড়বে কৃষ্ণের জন্ম, এমনকি রয়েছে শিবের মন্দির। পাশেই রয়েছে সুবিশাল পুকুর। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য ও গাছের মধ্যে ঘেরা এই আশ্রম সহ মন্দির একদিনের জন্য ঘুরে আসতেই পারেন।
মন যেমন ভাল হবে, ঠিক তেমনই মিলবে মনের শান্তি, এমনই বিশ্বাস বহু দূর থেকে আশা ভক্তদের।বছরের নির্দিষ্ট সময়ে দশ দিন ধরে চলে উৎসব। তবে সারাবছর এই মন্দির সহ আশ্রম খোলা থাকে ভক্তদের জন্য। ফলে পর্যটকদের আহ্বান করছেন মন্দির দর্শনের সেবাইতরাও।
Kaushik Adhikary