মর্নিং স্কুলের দাবি বাঁকুড়ায়

Bankura News: হাঁসফাঁস করছে বাঁকুড়ার পড়ুয়ারা! মর্নিং স্কুল চান অভিভাবকেরা

বাঁকুড়া: প্রবল গরমে হাঁসফাঁস দশা জেলার মানুষের, তার মাঝেই সরকারি নির্দেশিকা মেনে খুলল স্কুল। অসুস্থ হয়ে পড়লেন ওন্দার ছোটকুরপা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, করলেন দুইবার বমি। এদিকে গরমের ছুটি শেষ হলেও, গরম এসেছে ফিরে। তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪৩ ডিগ্রির কাছাকাছি। ফলেই ছাত্র ছাত্রীদের উপস্থিতির হারও কিছুটা কম, স্কুলে এসে অসুস্থ বোধ করছেন পড়ুয়া থেকে শিক্ষক শিক্ষিকা। সেই কারণেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে মর্নিং স্কুলের। বাঁকুড়ার তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রী ছাড়িয়েছে, কিন্তু শেষ হয়েছে সরকারি গরমের ছুটি। দোসর চড়া রোদকে মাথায় করে পিঠে ব্যাগ নিয়ে স্কুলে আসছে পড়ুয়ারা। এমনিতেই হাঁসফাঁস দশা জেলার মানুষের।

সোমবার সরকারি নির্দেশিকা মেনে খুলেছে স্কুল। তাই একদিনের মধ্যেই বোঝা যাচ্ছে প্রতিটি স্কুলেই পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার হাতেগোনা। যারা স্কুলে এসেছে তাদের গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বাড়ছে। অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বয়স্ক শিক্ষক শিক্ষিকারাও। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে মর্নিং স্কুলের দাবি। কোথাও আবার স্কুলের ছুটি বৃদ্ধির দাবিও জোরালো হচ্ছে। অভিভাবক দীপক দাস বলেন,” বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাচ্ছি। কিন্তু এই প্রচণ্ড গরমে মর্নিং স্কুল হলে খুবই ভাল হয়।”

আরও পড়ুন : শালগাছের সারি, জঙ্গলে ঢুকলে দমকা ঠান্ডা হাওয়া…পৌঁছে যান ঘণ্টা তিনেকেই, হরিণ থেকে হাতি কী নেই…

প্রবল দাবদাহে পুড়ছে পশ্চিমের জেলাগুলি। সোমবার বাঁকুড়ার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রীর কোঠা পার করে ফেলে। সঙ্গে বাতাসে মাত্রাতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির কারনে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ। দক্ষিনবঙ্গের জন্য বৃষ্টির আশার কথা এখনও শোনাতে পারেনি আবহাওয়া দফতর। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে এমন অস্বস্তিকর আবহাওয়া দক্ষিণবঙ্গে স্থায়ী হতে পারে আরো কয়েকদিন। ফলেই যেন মিসক্যালকুলেশন হয়ে গেল।

আরও পড়ুন : ভয়ঙ্কর সুন্দর শিল্প! দেখুন ডোকরার জটিল প্রক্রিয়া

সরকারি নির্দেশিকা মেনে স্কুল খুলে গেলেও গরমের প্রভাব তীব্র। সরকারি স্কুলগুলিতে ছাত্র ছাত্রী ছাড়াও শিক্ষক শিক্ষিকাদের একাংশও অস্বস্তিকর গরমের শিকার হয়েছেন। আবার অত্যাধিক গরমের কারণে মন বসছে না পড়াশোনাতে। সেই কারণেই, অনেকেই মনে করছেন মর্নিং স্কুলের দাবি যথেষ্ট যুক্তিযুক্ত।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই পরিস্থিতিতে ছাত্র ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবক এমনকি শিক্ষক শিক্ষিকাদের তরফেও ক্রমশ জোরালো হচ্ছে মর্নিং স্কুলের দাবি।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী