বানেশ্বর: দীর্ঘ সময় ধরে কোচবিহারের বানেশ্বর এলাকার মিষ্টি দই বেশ অনেকটাই প্রসিদ্ধ। জেলায় তৈরি হওয়া এই দই বিক্রি হতে দেখা যায় আশেপাশের জেলা এবং নিম্ন আসামের বেশ কিছু এলাকায়। দীর্ঘ সময় থেকে এই দইয়ের স্বাদ এখনও পরিবর্তন হয়নি। তাই তো বিভিন্ন পুজো পার্বণ কিংবা অনুষ্ঠানের সময় এই দইয়ের চাহিদা বেড়ে ওঠে অনেকটাই। বিক্রেতারা তখন দুইয়ের যোগান দিতে রীতিমতো চাপের মুখে পড়ে যান। সাধারণ সময়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কেজি দই তৈরি করতে হয় বিক্রেতাদের। তবে বিশেষ অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে সেই দইয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ৭০ থেকে ৮০ কেজির উপরে। তবুও পর্যাপ্ত ভাবে যোগান দেওয়া যায় না বাজারের মধ্যে। ফলে অনেক ক্রেতারাই হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরেন।
বানেশ্বর এলাকার দই প্রস্তুতকারী প্রশান্ত পাল জানান, তাঁদের বাপ-ঠাকুরদার সময় থেকেই এই দইয়ের ব্যবসা করছেন। দীর্ঘ সময় অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে এই ব্যবসার মধ্যে। একটা সময় গুটিকয়েক লোক এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল। এখন সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে অনেকটাই। তবে দীর্ঘ সময় বাদেও এই দইয়ের চাহিদা কমেনি বাজারে। পুজো পার্বণ কিংবা অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে এই দইয়ের চাহিদা বেড়ে ওঠে অনেকটাই। আবার অনেক সময় অনেক ফেরিওয়ালারা এই দই সংগ্রহ করে নিয়ে যান ফেরি করে বিক্রি করার জন্য। সব মিলিয়ে দুইয়ের বিক্রি কিন্তু এখনও পর্যন্ত অক্ষুন্ন রয়েছে। অনেকে মনে করেন, আজও প্যাকেট জাত দইকে সহজেই টেক্কা দিতে পারে এই দই।
আরও পড়ুন: সিকিমে বিপর্যয়ের ধাক্কা, উত্তরের নদীতে ফের হড়পা বান, ডুবল ট্রাক্টর
তিনি আরও জানান, সাধারণ দিনে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ কেজি দই তিনি নিজে হাতেই তৈরি করে থাকেন। তাঁর কোনও কারিগর নেই। তবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের দিনগুলিতে সেই মাত্রা বেড়ে দাঁড়ায় ৭০ থেকে ৮০ কেজির উপরে। ফলে অনেকটাই চাপ বেড়ে যায় ওই সময়টাতে। চলতি বছরে জামাইষষ্ঠী ও গরমের কারণে এই একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাজারে চাহিদা বেড়ে উঠেছে এই দইয়ের। ফলে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে তৈরি করতে হচ্ছে এই মিষ্টি দই। গ্রাহকেরাও প্রতিনিয়ত এসে ভিড় জমাচ্ছেন তাঁর দোকানে। দীর্ঘ সময়ের প্রসিদ্ধ বানেশ্বরের এই মিষ্টি দই বর্তমান সময়ে যে কোনও দইকেই সহজে টেক্কা দিতে পারে।
সার্থক পণ্ডিত