Tag Archives: cooch behar

সব পড়ুন কোচবিহারের খবর (Cooch Behar News)  এখানে

Madhyamik Result 2024: মারা গেছেন বাবা, চরম আর্থিক-অনটনেও মাধ্যমিকে বিরাট সাফল্য, দীপার পারিবারিক রোজগার শুনলে অবাক হবেন!

নিশিগঞ্জ: কোচবিহার জেলার নিশিগঞ্জ এলাকার এক অভাবী কিন্তু মেধাবী পড়ুয়ার নাম দীপা ভৌমিক। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬২২ নম্বর পেয়ে সকলকে অবাক করেছে দীপা। দীপার বাবা মারা গিয়েছেন তাঁর ক্লাস এইটে পড়ার সময়। তাঁর মা বর্তমান সময় গোটা সংসার পরিচালনা করেন। প্লাইবোর্ডের জন্য পাতি কাটার দিন মজুরির কাজ করেই সংসার চলে তাঁদের। দিনে পঞ্চাশ থেকে একশো টাকা উপার্জন হয়। তাই দিয়েই চলে মা-মেয়ের খাওয়া খরচ। তবে এত অভাবের মাঝেও দীপার এই সাফল্য একরাশ খুশি বয়ে নিয়ে এসেছে তাঁর বাড়িতে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় দীপা। ভবিষ্যতে ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে দীপার। তবে এই স্বপ্ন পূরণে প্রধান বাধাই হল আর্থিক যোগান।

দীপা জানায়, “তাঁদের পারিবারিক আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। মায়ের উপার্জনে কোনও রকমে সংসার চলে তাঁদের। খাওয়া খরচটুকু জোগাড় করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়। সেই পরিস্থিতিতে পড়াশোনার খরচ যোগানো তাঁর মায়ের পক্ষে চাপের বিষয়। তবে তার ইচ্ছে রয়েছে সায়েন্স বিভাগ নিয়ে পড়াশোনা করে। ভবিষ্যত দিনে একজন ভাল মানের চিকিৎসক হয়ে পরিবারের এবং এলাকার মুখ উজ্জ্বল করা। তবে এই বিষয়ে তার সামনে একটাই বাধা। তা হল আর্থিক যোগান।”

আরও পড়ুন-     শৈশবে চরম কষ্ট, বাবা দেননি মেয়ের মর্যাদা, পড়াশোনা ছেড়ে চলচ্চিত্রে এসেই বলিউডের এভারগ্রীন তিনি, বলুন তো মায়ের কোলে ‘এই’ শিশুটি কে?

দীপার মা শঙ্করী ভৌমিক জানান, “পাতি কেটে সামান্য আয় হয়। সঙ্গে ভাতার এক হাজার টাকা পাই। সেই দিয়ে সংসার চলে না। মেয়ের পড়াশোনার খরচ কোথা থেকে আসবে সেই দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটছে।” স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে সে। আর তখনই শিক্ষকদের নজরে আসে দীপার করুণ আর্থিক অবস্থার কথা।

আরও পড়ুন-  অসহ্য নরকযন্ত্রণা! বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারতেন না…! দিনে ৩০টি করে ওষুধ খেতেন এই নায়িকা, মনে হয়েছিল জীবনটাই শেষ, তারপর…

দীপার পরিবারের এই আর্থিক অবস্থার কথা জানতে পেরে নিশিময়ী হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এসেছে। দীপা যাতে বিনা খরচে স্কুলে পড়তে পারে সেই উদ্যোগ নিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম পোদ্দার। দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়ার একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয়, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে বইপত্র-সহ বাকি খরচের কিছু দায়িত্ব স্কুলের শিক্ষকরাই সামলাবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা। এছাড়া দীপার কয়েকজন গৃহ শিক্ষকও দীপার পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।

Sarthak Pandit

Higher Secondary 2024: মাধ্যমিক ২ নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় স্থান হয়নি, এবারের উচ্চমাধ্যমিকে মেয়েদের মধ্যে প্রথম প্রতীচি, ভাল ফল করার গোপন মন্ত্র শেয়ার করলেন

কোচবিহার: ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক ২০২৪-র ফলাফল। সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করলেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। উচ্চমাধ্যমিকে রাজ্যে চতুর্থ কোচবিহারের প্রতীচী রায় তালুকদার। সে সুনীতি অ্যাকাডেমির ছাত্রী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৩। শতাংশের নিরিখে হল ৯৮.৬ শতাংশ। তবে সে মেয়েদের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হয়েছে।

মাধ্যমিকে ৬৮২ পেয়েছিল প্রতীচী। তখন মাত্র দু’নম্বরের জন্য মেধাতালিকায় নাম ওঠেনি তাঁর। সেই আক্ষেপ পূরণ করতেই উচ্চমাধ্যমিকে এই সাফল্য। বর্তমান সময়ে তার ফলাফলে রীতিমতো খুশি তাঁর বাবা-মা ও স্কুল কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন – ১৭ বছর বয়সী প্রেমিকার সঙ্গে সঙ্গম! মেয়ের মা এনেছিল মারাত্মক অভিযোগ, ৪০ বছরের পুরনো অভিযোগে ৪ সন্তানের বাবা জেলে

প্রতীচী জানায়, “প্রতিদিন আনুমানিক ১০ ঘণ্টা পড়াশোনা করতো সে। তবে নির্দিষ্ট কোন নিয়ম ছিল না। শরীর চর্চা করার পর পড়তে বসলে পড়ায় মনোযোগ বসে। মূলত এই কারণেই শরীরচর্চা করার পরই পড়তে বসতো সে। উচ্চমাধ্যমিকে তার মোট সাতজন গৃহ শিক্ষক ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তাঁর গান ছবি আঁকা ব্যাডমিন্টন, ক্রিকেট এইসব ভাল লাগে। শ্রেয়া ঘোষালের গান রয়েছে পছন্দের তালিকায় একেবারে শীর্ষে। অবসরে গল্পের বই পড়া পছন্দ করে সে। ভবিষ্যৎ দিনে তাঁর ইচ্ছে রয়েছে সে একজন ডাক্তার হবে। ইতিমধ্যেই সেই জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সে।”

প্রতীচীর মা ঝুমা সাহা তালুকদার জানান, “মেয়ের পড়াশোনার বিষয়ে কোন সময় তাঁকে বলতে হতো না। সে নিজেই পড়ার প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করতো। উল্টে কিছু সময় তারা তাকে পড়াশোনা থেকে সামান্য বিরতি নিতে বলতেন। মেয়ের এই সাফল্য তাঁদের অনেকটাই আনন্দ দিয়েছে। মূলত বাবা-মায়ের অসম্পূর্ণ ইচ্ছে মেয়ে সম্পূর্ণ করতে পেরেছে এমনটাই বক্তব্য তাঁর। ভবিষ্যৎ দিনে মেয়ে আরও সফল হয়ে উঠুক।” বাবা প্রণব রায় তালুকদার জানান, “প্রতীচী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে র‍্যাংক করে রয়েছে ইতিমধ্যেই। তবে আগামীতে সে ডাক্তার হতে চায়। তাই তাঁর ইচ্ছেকে সম্পূর্ণ সহমত জানান তাঁরা।”

মাধ্যমিকের ফলাফলের পর উচ্চ মাধ্যমিকে আবার এই নজর কারা সাফল্য। মূলত এই কারণেইbঅনেকটাই খুশি করেছে কোচবিহারের বাসিন্দারা। আগামী দিনে প্রতীচী আরও সফল হয়ে উঠুক এমনটাই প্রত্যাশা করছেন জেলার প্রত্যেকটি মানুষ। তবে প্রতীচী লক্ষ্য একটাই একজন ভালো মানের ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।

Sarthak Pandit

Viral Rabindranath: ২৫ বৈশাখ এল বলে, তার আগেই দিনহাটার রাস্তায় এ কোন রবীন্দ্রনাথ!

কোচবিহার: সামনেই ২৫শে বৈশাখ। এই বিশেষ দিনেই বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাইতো এই বিশেষ দিনটিকে মনে রাখতে বাঙালি প্রতি বছর সমারোহের সঙ্গে দিনটিকে পালন করে আসছে। তবে এবার ২৫শে বৈশাখের আগেই কোচবিহারের ঘটে গেল এক আশ্চর্য ঘটনা। কোচবিহারের রাস্তায় দেখা মিলল রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের।

তবে রবীন্দ্র নাথ তো পরলোক গমন করেছেন বহুদিন পূর্বে তবে এটা আবার কে? নিশ্চয় প্রশ্ন জাগছে মনে। না ইনি সত্যিই রবীন্দ্র নাথ নয়। অবিকল রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের মতন দেখতে একজন ব্যক্তি। যা বাড়ি কোচবিহার জেলার দিনহাটা মহকুমার আলোকঝাড়ি এলাকায়। তাঁর নাম ফনিন শর্মা। বয়স তাঁর প্রায় ৭৬ বছর।

ফনিন শর্মা জানান, “তিনি শুরু থেকে এরকম ছিলেন না। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর আগে থেকে এই বিষয়টি শুরু হয় তাঁর জীবনে। তাঁর মামা মারা যাওয়ার পর তিনি দাড়ি বড় করতে শুরু করেন। আর তারপর থেকেই তাই জীবন এই পরিবর্তন। তখন অনেকেই তাঁকে দেখে অবিকল রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের মতন মনে করতে শুরু করেন। তারপর থেকে এলাকার মানুষেরাও তাঁকে দেখে রবীন্দ্র নাথ বলেই ডাকতে শুরু করেন। যদিও এই বিষয়টি তিনি বেশ উপভোগ করেন। তবে তিনি সামনাসামনি কোনদিন রবীন্দ্র নাথকে দেখেন নি। এছাড়া তিনি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের মতন লিখতে জানেন না। তবে রবীন্দ্র নাথের সর্ম্পকে লোকের মুখে মুখে শুনেছেন অনেককিছু।\”

তিনি আরও জানান, “২৫ শে বৈশাখের দিনে অন্যান্য বাঙালিদের মতন তিনিও পালন করেন রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী। তবে তিনি কোন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন না। একবার এলাকার কিছু ছেলেরা তাঁকে রবীন্দ্র নাথ সাজাতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি বাড়িতে না থাকায় সেই সুযোগ হয়নি। তবে তিনি এভাবেই ভাল রয়েছেন। তিনি রবীন্দ্র নাথ সেজে ঘুরে বেড়াতে চান না।”

তাঁর ছেলে শিবু শর্মা জানান, “দীর্ঘ সময় ধরে বাবাকে এমন দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। যদিও বাবার এই রূপ দেখতে তাঁদের বেশ মজাই লাগে। তবে তাঁর বাবাও এই বিষয়টিকে বেশ অনেকটাই উপভোগ করেন।” তবে রাস্তায় এই ব্যক্তিকে চোখে পড়লে যেকোন মানুষ রবীন্দ্র নাথ বেঁচে উঠেছেন ভেবে ভুল করতেই পারেন।

Sarthak Pandit

Healthy Lifestyle: মুঠোমুঠো ওষুধ, গাদাগাদা টাকা খরচ, লাভের লাভ হচ্ছে না, বাবা হতে চান, মেনে চলুন এই ছোট কয়েকটি টিপস

বর্তমান সময়ে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বেশীরভাগ দম্পতিকে। এক্ষেত্রে সমস্যা যেমনি মহিলাদের থাকে। তেমন পুরুষদের ও নানা সমস্যা দেখা দেয়।
বর্তমান সময়ে সন্তান নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বেশীরভাগ দম্পতিকে। এক্ষেত্রে সমস্যা যেমনি মহিলাদের থাকে। তেমন পুরুষদের ও নানা সমস্যা দেখা দেয়।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক অমিত দত্ত জানান, বাবা হতে চেষ্টা শুরু করলে প্রথমেই জীবন যাত্রার পরিবর্তন আনা উচিত। শরীর ভাল রাখার জন্যে প্রথমেই ডায়েটে বদল আনা অনেকটাই জরুরি।
অভিজ্ঞ চিকিৎসক অমিত দত্ত জানান, বাবা হতে চেষ্টা শুরু করলে প্রথমেই জীবন যাত্রার পরিবর্তন আনা উচিত। শরীর ভাল রাখার জন্যে প্রথমেই ডায়েটে বদল আনা অনেকটাই জরুরি।
খাবারের তালিকা থেকে জাঙ্কফুড, মিষ্টিজাতীয় খাবার এবং কোল্ড ড্রিংক দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। এসবের বদলে শাক-সবজি এবং ফল বেশি মাত্রায় খেতে হবে যাতে শরীরে পুষ্টি থাকে পর্যাপ্ত।
খাবারের তালিকা থেকে জাঙ্কফুড, মিষ্টিজাতীয় খাবার এবং কোল্ড ড্রিংক দ্রুত সরিয়ে ফেলতে হবে। এসবের বদলে শাক-সবজি এবং ফল বেশি মাত্রায় খেতে হবে যাতে শরীরে পুষ্টি থাকে পর্যাপ্ত।
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা আপনার শরীরের জন্যে খুবই ক্ষতিকারক। এরফলে যৌন জীবনে প্রভাব পড়ে অনেকটাই। যার কারণে সন্তানের সম্ভবনা কমে যায়। তাই প্রতিদিন সকালে মেডিটেশন করে উচিত।
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা আপনার শরীরের জন্যে খুবই ক্ষতিকারক। এরফলে যৌন জীবনে প্রভাব পড়ে অনেকটাই। যার কারণে সন্তানের সম্ভবনা কমে যায়। তাই প্রতিদিন সকালে মেডিটেশন করে উচিত।
ঘুম শরীরের জন্য বেশ অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই সন্তান নেওয়ার চিন্তা থাকলে দৈনিক প্রতি রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো অত্যন্ত প্রয়োজন।
ঘুম শরীরের জন্য বেশ অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই সন্তান নেওয়ার চিন্তা থাকলে দৈনিক প্রতি রাতে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো অত্যন্ত প্রয়োজন।
সন্তান নেওয়ার চিন্তা থাকলে প্রথমেই ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে। কারণ নিকোটিন স্পার্ম কাউন্টে প্রভাব ফেলে বেশ অনেকটাই । এছাড়াও ছেড়ে দিতে হবে মদ্যপানের আসক্তিও।
সন্তান নেওয়ার চিন্তা থাকলে প্রথমেই ধূমপান ছেড়ে দিতে হবে। কারণ নিকোটিন স্পার্ম কাউন্টে প্রভাব ফেলে বেশ অনেকটাই । এছাড়াও ছেড়ে দিতে হবে মদ্যপানের আসক্তিও।
সন্তানের সম্ভবনা বাড়াতে রোজকার রুটিনে রাখতে হবে শরীরচর্চা! ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকবে। এবং শরীরের সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যাবে।
সন্তানের সম্ভবনা বাড়াতে রোজকার রুটিনে রাখতে হবে শরীরচর্চা! ফলে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং অক্সিজেনের সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকবে। এবং শরীরের সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যাবে।

Lok Sabha Election 2024: জেলা জুড়ে অশান্তির বাতাবরণের মাঝেই এই বুথে ভিন্ন ছবি! হাসিমুখে ভোট দিলেন ভোটাররা

কোচবিহার: লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল। কোচবিহারের লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তির বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছিল জেলা জুড়ে। একের পর এক বিচ্ছিন্ন ঘটনায় সরগরম ছিল রাজ্য-রাজনীতি। তবে শুধুমাত্র বিক্ষিপ্ত ঘটনায় নয়। কোচবিহার শহরের এক ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে চোখে পড়ল একেবারেই ভিন্ন ছবি। দীর্ঘ লম্বা লাইন ভোটারদের। মুখে চওড়া হাসি নিয়ে ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। বহু ভোটার ভোট দিয়ে হাসিমুখে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরছেন।

কোচবিহার শহরের পৌর এলাকার ১৫ নং ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডে করুণাময়ী উচ্চ বিদ্যালয় দীর্ঘ সময় ধরে ভোট গ্রহণ কেন্দ্রর আয়োজন করা হয়। তবে ভোটগ্রহণ পর্বের সূচনা লগ্ন থেকেই এই বুথে কোন প্রকার অশান্তির ঘটনা ঘটে না। এলাকার ভোটারেরা সম্পূর্ণ নির্ভীক ভাবেই দীর্ঘ সময় ধরে ভোট দিয়ে আসছেন। বর্তমান সময় যেখানে গোটা কোচবিহারের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির ঘটনা ঘটেই চলেছে। সেই মুহূর্তেও কোচবিহারের এই ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছেন ভোটারেরা। দলমত নির্বিশেষে ভোটারের লাইনে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ভোট দিচ্ছেন সকল ভোটার।

এলাকার এক প্রবীণ মহিলা ভোটার দিপালী গুপ্ত জানান,”দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই এলাকার ভোটার তিনি। লোকসভা বিধানসভা কিংবা পৌরসভা ভোটেও কোন প্রকার অশান্তির ছবি এই বুথে ধরা পড়ে না। সকল ভোটারেরা সম্পূর্ণ নির্বিঘ্নে হাসিমুখে ভোট দিয়ে বাড়িতে ফেরেন।” এবারের লোকসভা নির্বাচনে যেখানে গোটা কোচবিহার থেকে বিভিন্ন ধরনের অশান্তির ঘটনা ঘটছে। সেখানে শহরের এই বুথের মধ্যে কোন প্রকার অশান্তির ছবি নেই। এই বিষয়টি এই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র কে গড়ে তুলেছে একেবারেই ভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্র।

আরও পড়ুনঃ T20 World Cup 2024: টি-২০ বিশ্বকাপে বড় দায়িত্ব পাবেন কোহলি! চাপ বাড়ল রোহিতের? জানুন বিস্তারিত

এলাকার দুই ভোটার কারিশমা হোর ও বর্ষবরণ সাহা জানান,”ছোটবেলা থেকেই নির্বিঘ্নে ভোট দিচ্ছেন তাঁরা। জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন অশান্তির ঘটনা ঘটলেও। এই এলাকায় রীতিমতো শান্তিতেই ভোট হয়। এবং তাদের ধারণা আগামীদিনেও শান্তিপূর্ণভাবেই কোচবিহারের এই ভোটকেন্দ্রে ভোট হবে।” দলমত নির্বিশেষে এই এলাকার মানুষেরা ভোট উৎসবে মেতে উঠেন ভোট আসলেই। তাইতো জেলার বুকে লোকসভা নির্বাচনে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে এই ভোট গ্রহণ কেন্দ্র।

Sarthak Pandit

Udayan Guha: ভোটের সকালেই ‘স্বমূর্তি’ ধরছে কোচবিহার! দিকে-দিকে অশান্তি, আসরে নামলেন উদয়ন গুহ

কোচবিহার: আজ দেশজুড়ে প্রথম দফার নির্বাচন। বাংলায় তিনটি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোট। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে প্রথম পর্বের ভোটগ্রহণ চলছে। নির্বিঘ্নে ভোট সম্পন্ন করাই এখন কমিশনের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এরই মধ্যে কোচবিহারে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর মিলেছে। আসরে নেমেছেন তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ। বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন তিনি। পাল্টা অভিযোগ তুলেছে বিজেপিও।

জানা গিয়েছে, কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের চান্দামারিতে বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূলের বাহিনী দ্বারা ‘আক্রান্ত’ হন বিজেপি নেতা লব সরকার। এমনই অভিযোগ বিজেপির। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, মারধর করে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ছিনতাই করে নেওয়া হয় তাঁর বাইক-সহ টাকাপয়সা। আহত অবস্থায় ওই বিজেপি কর্মী কোচবিহারের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন: ভোট শুরুর সকালেই বড় ঘটনা! মৃত্যু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের! চর্চায় ‘সেই’ মাথাভাঙ্গা

এদিকে, তৃণমূলের দাবি, শুক্রবার সকালের সংঘর্ষে তাদেরও এক কর্মী আহত হয়েছেন। তৃণমূলের অভিযোগ, সকাল থেকেই তাদের বুথ এজেন্টদের বসতে বাধা দেয় বিজেপি। বাধা দিতে গেলে নাকি মারধর করে বিজেপির গুন্ডারা। কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে মারধর করার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তৃণমূল নেতাকে দেখতে যান দিনহাটার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ।

উদয়ন গুহ বলেন, ”দিনহাটা ব্লক টু-তে পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বিজেপির নেতা৷ তার কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা আছে৷ সেই নিরাপত্তাবাহিনী নিয়ে, দু’জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে নিয়ে পুলিশের স্টিকার লাগানো গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, এটা বেআইনি৷ নেতার নাম অরণীকান্ত বর্মণ৷”

এদিকে, কোচবিহারের একটি বুথে পর্যাপ্ত আলো না থাকার অভিযোগ। যার জেরে টর্চ নিয়ে ভোট দিতে হয় ভোটারদের। পরে অবশ্য ইলেক্ট্রিশিয়ান এসে আলোর ব্যবস্থা করেন। শীতলকুচিতেও তৃণমূলের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে।

CRPF Jawan Death: ভোট শুরুর সকালেই বড় ঘটনা! মৃত্যু কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের! চর্চায় ‘সেই’ মাথাভাঙ্গা

মাথাভাঙ্গা: গোটা দেশজুড়ে শুরু হল লোকসভা ভোট। প্রথম দফায় নির্বাচনে মোট ২১টি রাজ্যের ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটগ্রহণ শুরু হল৷ এ রাজ্যের মোট তিনটি লোকসভা কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ হচ্ছে প্রথম দফায়৷ উত্তরবঙ্গের মোট তিনটি আসনে ভোটগ্রহণ করা হল। এরই মধ্যে কোচবিহারের মাথাভাঙ্গায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক ইনসপেক্টরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ বাথরুমে অচেতন হয়ে পড়ে যান ওই জওয়ান। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। কিউআরটি টিমে থাকার কথা ছিল তাঁর। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তথ্য কমিশন সূত্রে।

আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফা শুরু, ভোট পরবে মেতে উঠেছে গোটা দেশ

জানা গিয়েছে, মৃত জওয়ানের নাম মিলেশ কুমার নিলু(৪২)। তিনি মাথাভাঙ্গা বেলতলা এলাকায় একটি স্কুলে ভোটের ডিউটিতে এসেছিলেন বিহার থেকে। তবে গভীর রাতে তার সহকর্মীরা অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন তাঁকে। এরপর মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই জওয়ানকে চিকিৎসকরা মৃত বলে জানান।

এদিকে, শিলিগুড়ি ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি কেন্দ্রের ১৯/৮৮ চতুরাগছ বুথ (ফুলবাড়ী ১) বিজেপি কার্যালয়ে গভীর রাতে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। সেই নিয়ে ভোটদানের সময়েই হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠল উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা৷ যদিও ঘটনার পর বিজেপি অভিযোগ করেছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তৃণমূল৷ শাসক দল সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷

Mamata Banerjee: উত্তরবঙ্গের ভোট প্রচারে ঝড় তুলতে চান মুখ্যমন্ত্রী, কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে আজ সভা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের

আবীর ঘোষাল, কোচবিহার: একই দিনে কোচবিহারের দুই প্রান্তে সভা  করেন মোদি ও মমতা। তাঁদের সভা ঘিরে তৃণমূল ও বিজেপি দুই শিবিরেই তুঙ্গে ব্যস্ততা ছিল। গত ৪ এপ্রিল কোচবিহারের রাসমেলার মাঠে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্য দিকে, আজ, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা হবে রাসমেলার মাঠে।

রাজ্যের শাসক দলের শিবিরের প্রধানের সভা ঘিরে সাজ সাজ রব রাজার শহরে। জানা গিয়েছে, রেকর্ড জমায়েত করে সভা হবে শহরের রাসমেলা ময়দানে। গত ৪ এপ্রিল থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে লোকসভার চূড়ান্ত লড়াই। সে দিন একই জেলার পৃথক দু’টি জায়গায় সভা করেছিলেন মোদি এবং মমতা। প্রধানমন্ত্রী জনতার কাছে আবেদন করেছিলেন, কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে জেতানোর ৷ অন্য দিকে, মমতার আবেদন ছিল তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়াকে জেতানোর। জনগণ কোন দিকে থাকবেন, তা নথিভুক্ত হবে আগামী ১৯ এপ্রিল। আর ফল জানা যাবে, ৪ জুন।

আরও পড়ুন– সপ্তাহ জুড়েই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে! চরম গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া

অন্য দিকে, সভার প্রস্তুতি চূড়ান্ত লগ্নে তৃণমূল শিবিরেরও। গত ২ এপ্রিল থেকে কোচবিহারে আসতে শুরু করেছেন অভিষেক। তার পর ৪ এপ্রিল দলনেত্রীর সভা হয়। রাসমেলার মাঠে সভা মমতা আগেও একাধিকবার সভা করেছেন। এই মাঠ তাঁর বহু দিনের চেনা। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে সাজ সাজ রব। মাঠ সাজানোর কাজও চলছে জোরকদমে। সভা সফল করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অঞ্চলে প্রস্তুতি সভা করছেন স্থানীয় নেতারা। রবিবার সন্ধ্যায় এলাকায় প্রস্তুতি সভা করতে এসেছিলেন কোচবিহারে একাধিক নেতা।

আরও পড়ুন– রাশিফল ১৫ এপ্রিল; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, তিনি বলেন, ‘‘আমরা এলাকা ধরে ধরে প্রস্তুতি সভা করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী আগের বার যখন রাসমেলার মাঠে সভা করেছিলেন, সেই ভিড় তাকেও ছাপিয়ে যাবে। আর প্রধানমন্ত্রীর সভা ভরাতে বিজেপি অসম থেকে লোক এনে মাঠ ভরিয়েছে। এমন মানুষের সভা শুনতে কোচবিহারবাসী আগ্রহী নয়, যিনি এক বর্ণও বাংলা বলতে পারেন না। বাংলা তথা কোচবিহার তার মেয়েকেই চায়। তাই মমতার সভায় সব রেকর্ড ভাঙব আমরা।’’

কোচবিহার লোকসভা আসনটি এমনিতেই পদ্ম শিবিরের দখলে রয়েছে। শুধু দখলে থাকাই নয়, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও বটে। রাম মন্দির নিয়ে গোটা দেশের পাশাপাশি কোচবিহারেও বিজেপির যে উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাতে কিছুটা হলেও চিন্তায় পড়েছেন জেলার তৃণমূল নেতারা। এই অবস্থায় মমতা কোচবিহারে আসছেন, এই খবর জানাজানি হতেই তৃণমূল নেতা-কর্মীরা যেন বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন।

Abhishek Banerjee: অভিষেকের একটা বৈঠক, তৃণমূলের পক্ষে দারুণ খবর! ‘খেলা’ ঘুরে যাবে এই হেভিওয়েট কেন্দ্রে?

কোচবিহার: হাতে মাত্র আর কয়েকদিন৷ রাজ্যের অন্যতম নজরকাড়া কেন্দ্র কোচবিহার। সেখানে জোরদার প্রচারে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল।কোচবিহার জয়ের অন্যতম অস্ত্র হল রাজবংশী ভোট।হারানো আসন পুনরুদ্ধারে তাই রাজবংশী মন পেতে প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরের রাজবংশী সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । পাশে আছে তৃণমূল- সেখানেই তিনি এই বার্তা দেন।

রাজবংশীরাও জানান, তাঁদের সমর্থন এবার তৃণমূল প্রার্থীর পক্ষে।বিজেপি প্রতিশ্রুতি রাখেনি, তৃণমূল কংগ্রেস কথা রেখেছে, এই বার্তা দিতেই গ্রামে গ্রামে শেষ লগ্নে প্রচারে জোর তৃণমূলের।কোচবিহার উত্তর আর মাথাভাঙ্গা এই দুই বিধানসভায় রাজবংশী ভোট সবচেয়ে বেশি। আছে নমঃশূদ্র ভোট।
কোচবিহার জেলায় সব আসনে রাজবংশী ভোট রয়েছে৷ লোকসভায় ৪২% ভোট হল রাজবংশী।

আরও পড়ুন: ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য! ইজরায়েলকে নিশানা করে ইরানের ভয়াবহ হামলা, ভিডিও দেখে চমকে উঠছে বিশ্ব

রাজবংশী এলাকায় তাই সব থেকে বেশি জোর দিচ্ছে প্রচারে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল প্রচারে বলছে,

* নারায়ণী ব্যাটেলিয়ন গড়া হবে বলে বিজেপি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।* সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের মতো কোচবিহারে পঞ্চানন বর্মার মূর্তি বসানো হবে। সেটাও হয়নি।* রাজবংশী কালচারাল বোর্ড গড়া হয়নি কেন্দ্রের তরফে।* অষ্টম তফসিল অনুযায়ী ভাষার স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি কেন্দ্রের তরফে।
এছাড়া রাজবংশী সমাজের সামনে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের কথা বলেছিল বিজেপির নেতারা৷ বিশেষ করে নিশীথ প্রামাণিক, জন বার্লা ও অনন্ত রায়। তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পক্ষে নয়৷ তাই এই বিষয়ে প্রচারে তারা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন: ইরানের একের পর এক আঘাত, ইজরায়েলের বাজি আয়রন ডোম! কী এই তুরুপের তাস? কী হয় এতে?

তৃণমূল কংগ্রেস প্রচারে তুলে আনছে – * রাজবংশী ও কামতাপুরি ভাষাকে স্বীকৃতি। * রাজবংশী অ্যাকাডেমি গড়া হয়েছে। * মণীষী পঞ্চানন বার্মার নামে বিশ্ববিদ্যালয়।* চিলা রায়ের মূর্তি হয়েছে।* রাজ্য পুলিশের নারায়ণী ব্যাটেলিয়নে যুবদের নিয়োগ নিয়ে প্রচার।সূত্রের খবর, অভিষেকের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে, গত কয়েকটি নির্বাচনে বাংলা বিরোধীরা রাজবংশীদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে, তাঁদের ভুল বোঝায়। ফলে ইভিএমে তার প্রতিফলন হয়। কিন্তু রাজবংশীদের উন্নয়নের স্বার্থে কোনও কাজ করেননি বাংলা-বিরোধী নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা।

সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে নিজেদের সেই বঞ্চনার কথা জানান রাজবংশী নেতারা। অভিষেক জানান, মা-মাটি-মানুষের সরকার বরাবরই রাজবংশীদের উন্নয়নে কাজ করেছে। ভোট না পেলেও উত্তরের উন্নয়নে কোনও কার্পন্য করেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।

Viral Smart Didi: স্বামীর সঙ্গে দোকান চালান ‘স্মার্ট দিদি’! উপচে পড়ছে ভিড়, কী খাবার মিলছে

কোচবিহার: কলকাতার স্মার্ট দিদির দোকানের গল্প তো কম বেশি সবাই শুনেছেন। বর্তমানে স্মার্ট যুগে কোন বিষয় ভাইরাল হতে সময় লাগে না খুব বেশি। তাই ইতিমধ্যেই কোচবিহারের এক মহিলার খোলা নতুন ফাস্ট ফুডের দোকান ভাইরাল হয়েছে। কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারের বড় রাস্তার পাশে এই দোকানটি নিয়ে হাজির হন মহিলা ও তাঁর স্বামী। তারপর শুরু করা হয় দোকান সাজানোর পালা। একে একে সমস্ত খাবারের জিনিস তৈরি করা শুরু করা হয়। দামে কম এই খাবারগুলি খেতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বহু মানুষের ভিড় জমে এই দোকানের সামনে।

স্মার্ট দিদি এবং দোকানের কর্ণধার কোমল বানিয়া জানান, পারিবারিক আর্থিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতে এই উদ্যোগ। একটা সময় পর্যন্ত এই জায়গায় তাঁর স্বামী চায়ের দোকান করতেন। তবে মূল্য বৃদ্ধি ক্রমাগত হয়ে চলেছে। সেই জন্য স্বামী বা স্ত্রীর একা কাজ করলে চলছিল না। তার উপরে আবার দু’টি সন্তান তাঁদের। সংসারের অবস্থার উন্নতি ঘটাতে এই দোকান শুরু করার চিন্তা নেন তাঁরা। ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তাঁর। কাজের ফাঁকেই তিনি সেগুলি করেন। মূলত সেই কারণেই দোকানের গ্রাহকেরা তার নাম দিয়েছে ‘স্মার্ট দিদি’।

সন্দীপ কুমার বানিয়া জানান, লকডাউনের পর থেকেই আর্থিক পরিস্থিতি কিছুটা দুর্বল হয়ে যায় তাঁদের। দুই সন্তান থাকার কারণে সংসার টানতে  অনেকটাই চাপের মুখে পড়তে হচ্ছিল। শুধুমাত্র চায়ের দোকান করে সংসার চালানো অনেকটাই সমস্যার হয়ে উঠছিল। মূলত এই কারণেই স্ত্রী তাঁকে এই দোকান করার পরামর্শ দেন। তারপর শুরু হয় এই দোকান। বর্তমান সময়ে এই দোকানে বহু মানুষের ভিড় জমে। বহু মানুষ তাঁকে শুধুমাত্র ‘স্মার্ট দিদি’র বর হিসাবেই চেনেন। প্রত্যেকেই তাঁদের দোকানের খাবারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। এই বিষয়টি তাঁর বেশ ভাল লাগে।

বর্তমান সময়ে কোচবিহারের বুকে বহু ফাস্টফুডের দোকান থাকলেও। এই স্মার্ট দিদির দোকান ব্যাপক ভাইরাল লোকের মুখে মুখে। ছোট থেকে বড় সকলেই এই দোকানের বিশেষ কিছু খাবারের আকর্ষণে ছুটে আসেন সন্ধ্যাবেলায়। তবে শুধুমাত্র কোচবিহারই নয়। জেলার বাইরের মানুষদের কাছেও এই দোকান কিন্তু সমান আকর্ষণীয় বর্তমান সময়ে।

সার্থক পণ্ডিত