আসানসোল: রানিগঞ্জ সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় ধৃত সোনু সিং এখন চিকিৎসাধীন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। রবিবার রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ গুলি চালায়। তাতে গুলিবিদ্ধ হয় সোনু সিং।
আরও পড়ুন: বড় বিপর্যয়, বন্ধ করে দেওয়া হল সিকিম-বাংলা সংযোগকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক
পুলিশ ধৃত সুরজ সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিহারের সিওয়ান থেকে আটক করে ।ধৃত সোনু সিং প্রথমে ধানবাদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। সোমবার গভীর রাতে ধৃত সোনু সিংকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগে ভর্তি করা হয় বলে জানান হাসপাতালের সুপার তাপস কুমার ঘোষ।
আরও পড়ুন: বোপরোয়া ডাকাতের সঙ্গে একা লড়ে নায়ক হয়েছিলেন সাব-ইন্সপেক্টর মেঘনাদ, গ্রেফতার এখনও দুই
হাসপাতালের সুপার তাপস কুমার ঘোষ বলেন, “নিরাপত্তার জন্য ধৃতকে হাসপাতালের পুলিশ সেলে রাখা হয়েছে। তবে অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা করছেন। গুলি ধৃতের পিঠে লেগে বেরিয়ে যায়।তার শরীরে কোন গুলি নেই। এই মুহূর্তে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল”।
হাসপাতালের সেলে কড়া পুলিশি পাহাড়ায় রাখা হয়েছে ধৃত সোনু সিংকে।তাকে ধরা হয়েছে ধানবাদ থেকে। ধানবাদে ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন ছিল সে। তাকে ধানবাদ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করে পুলিশ। সেখান থেকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার কোমরে গুলি লাগে। এদিন সকালে তাকে রানিগঞ্জের ঘটনায় গ্রেফতার দেখিয়ে প্রয়োজনীয় নথি আসানসোল আদালতে রানিগঞ্জ থানার পুলিশের তরফে পেশ করা হয়েছে।সোনুকে ঝাড়খণ্ড পুলিশের সহায়তায় গ্রেফতার করে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ। আসানসোল থেকে ইতিমধ্যেই তিনটি পৃথক তদন্তকারী দল বিহারে গিয়েছে। বিহারের সিওয়ান জেলার বাসিন্দা এই সোনু সিং।
রানিগঞ্জে শোরুমে ডাকাতির ব্লু-প্রিন্ট সাজিয়েছিল সিওয়ান গ্যাং। অপারেশনের নেতৃত্বে ছিল ধৃত সুরজ সিং। সঙ্গে আরও দু’জন। এই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড বিহারের বেউড় জেলে বন্দি কুখ্যাত সুবোধ সিং। দেশজুড়ে সোনা লুটের মূলচক্রী এই সুবোধ। পুলিস ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জের অপারেশনে আসা সাতজনের মধ্যে চারজনই সুবোধের অতি ঘনিষ্ঠ। শিল্পাঞ্চলে একাধিক সোনার দোকানে ও স্বর্ণঋণ প্রদানকারী সংস্থার অফিসে লুটের ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সুবোধের সঙ্গে সুরজের যোগ রয়েছে।