সম্পত্তির লোভে শ্বশুরকে খুন করল বৌমা

Viral News: ৩০০ কোটির সম্পত্তির লোভে শ্বশুরের সঙ্গে এ কী করল বৌমা? হাড়হিম ঘটনায় দেশে শোরগোল

নাগপুর: প্রথমে দেখে মনে হয়েছিল পথদুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে শ্বশুরের। কিন্তু পরে জানা গেল এর পিছনে রয়েছে বৌমার সুনিপুণ পরিকল্পনা। ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি হাতিয়ে নিতে ছেলের বৌ-এর এমন কাণ্ড ভাবতে পারবেন না। ঘটনাটি ঘটেছে নাগপুরে।

সুপারি কিলারকে ১ কোটি টাকা দিয়ে শ্বশুরকে খুন করান বৌমা, পুলিশের তদন্তে এমনই হাড়হিম ঘটনা ঘটেছে। ঠিক কী হয়েছিল? রাস্তায় হাঁটতে বেরিয়ে গাড়িচাপায় নিহত হয়েছেন বিরাশি বছরের এক বৃদ্ধ। প্রাথমিক ভাবে সবাই এটিকে দুর্ঘটনা হিসাবে ধরে নেয়। তবে কয়েকদিন যেতে না যেতেই ক্রমে এর নেপথ্যের রহস্য প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। আসলে এটি যে নিছক কোনও দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি পরিকল্পিত খুন, তদন্তে নেমে সে তথ্যই আসে পুলিশের হাতে। তদন্তে জানা যায় খুনের নেপথ্যে ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি। পুলিশ সূত্রে খবর, শ্বশুর পুরুষোত্তম পুত্তেওয়ারের ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তির আত্মসাৎ করতে ভাড়াটে খুনিকে এক কোটি টাকা দিয়েছেন পুত্রবধূ অর্চনা মণীশ পুত্তেওয়ার।

আরও পড়ুন: ছিটেফোঁটা বৃষ্টিরও দেখা নেই দক্ষিণে, এরই মধ্যে স্বস্তির খবর! কবে নামবে বৃষ্টি? জানাল আবহাওয়া দফতর

পুলিশ জানিয়েছে, শ্বশুরকে খুন করার জন্য এক দুষ্কৃতীকে ভাড়া করেন অর্চনা। শুধু তাই-ই নয়, ওই দুষ্কৃতীকে বেশ কিছু টাকাও দিয়েছিলেন একটি পুরনো গাড়ি কেনার জন্য। সেই গাড়ি দিয়েই বৃদ্ধকে চাপা দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন অর্চনা। ঘটনার দিন অসুস্থ স্ত্রীকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন পুরষোত্তম। সেখান থেকে ফিরছিলেন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পিছনে থেকে একটি গাড়ি এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছিল বৃদ্ধের। তদন্তে নেমে অর্চনার কথায় সন্দেহ হয় পুলিশের। তারপরেও তার গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু হয়।

আরও পড়ুন: দিঘায় এবার নয়া আকর্ষণ! ৮০ আসনের ক্রুজে প্রমোদভ্রমণ-খানাপিনা! কবে থেকে বুকিং শুরু? জানুন

ঘটনার তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, শ্বশুরকে খুন করার জন্য পরিবারের গাড়িচালক বাগড়ে এবং তার দুই সঙ্গী নীরজ নিমচে এবং সচিন ধার্মিককে এক কোটি টাকা দিয়েছিলেন অর্চনা। অর্চনা-সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে মামলা করেছে পুলিশ। শহর উন্নয়ন দফতরের অতিরিক্ত কর্মকর্তা অর্চনা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিজের প্রভাব খাটিয়ে অনেক দুর্নীতিমূলক কাজ করেছেন তিনি। রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় কোনও পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি অর্চনার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত জালে এসেছে অভিযুক্তরা।