Tag Archives: Maharashtra

Teen Gets Pregnant: বিয়ের আগেই দু’বার আলাদা ব‍্যক্তির দ্বারা গর্ভবতী কিশোরী! সন্তানদের বিক্রি, অভিযুক্ত বাবা-মা…জানলে আঁতকে উঠবেন

মহারাষ্ট্র: মাত্র ১৭ বছর বয়স পেরোনোর আগেই দু’দুবার গর্ভবতী। কিশোরীর দুই সন্তানকে বিক্রি করে দেয় বাবা-মা। মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলার সপ্তদশী বালিকার জীবনের ঘটনায় আঁতকে উঠছে গোটা দেশ। বালিকা পুলিশকে জানায় তাঁর দুবার গর্ভবতী হওয়ার কথা। পাশাপাশি বাবা-মা, একটি স্কুলের প্রিন্সিপাল, দুই মহিলা ডাক্তার এবং এক সমাজকর্মী, এক আইনজীবী-সহ মোট ১৬ জনের নামে অভিযোগ জানায়।

ঘটনায় কিশোরীর বাবা-মা সহ অন্তত ১৬ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইন এবং জুভেনাইল জাস্টিস অ‍্যাক্ট অনুযায়ী, শিশুকে ধর্ষণ এবং বিক্রি করার জন‍্য মামলা রুজু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: গরমে রোজ দই খাচ্ছেন? তলে তলে বাড়ছে না তো ইউরিক অ‍্যাসিড? জেনে নিন

দেশের এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ‍্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, বালিকা দুই আলাদা ব‍্যক্তির দ্বারা গর্ভবতী হয়। জানা গিয়েছে, ২০২১ সালে ২৩ বছররে এক যুবকের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে ওই কিশোরীর। পরে তারা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়। কিশোরী গর্ভবতী হওয়ার পর তার বাবা-মা সমস্ত কিছু জানতে পারেন। বালিকার কথায় তার বাবা-মা স্কুলের প্রিন্সিপাল এবং এক সমাজকর্মীর সহায়তা চেয়েছিলেন সেই সময়।

সপ্তম শ্রেণিতেই পড়াশোনায় ইতি হয় ওই কিশোরীর। পরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে তাকে চিকিত্‍সার জন‍্য নিয়ে যাওয়া হয়। কিশোরীর কথায়, গর্ভাবস্থার মধ‍্যেই বাবা-মা তাকে এক আইনজীবীর কাছে নিয়ে যায়। কিছু কাগজপত্রে সইও করতে হয়। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এক কন‍্যাসন্তানের জন্ম দেয় বালিকা। পরে সেই কন‍্যা সন্তানকে এক সমাজকর্মীকে দিয়ে দেওয়া হয়।

সন্তানের জন্মের ৬ মাস পরে ওই ২৩ বছরের যুবকের সঙ্গে ফের যোগাযোগ করে বালিকা। কিশোরীর অভিযোগ, যুবক বালিকাকে বিয়ে করতে চাইলেও তাকে অন‍্যরা বাধা দেয়। কিশোরীর আরও অভিযোগ ওই যুবক জানায়, ওই সমাজকর্মীকে তিনি ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছেন।

কিশোরীর অভিযোগ এই টাকা তার বাবা-মা এবং এক পরিচিত কাকু প্রত্যেকে ১.৫ লাখ টাকা পেয়েছেন। সমাজকর্মী-সহ অন‍্য কয়েকজন অবশিষ্ট ১ লক্ষ টাকা ভাগাভাগি করেছেন। পরে কিশোরীকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এখানে অন‍্য এক ২৩ বছরের যুবকের সঙ্গে তার বিয়ের কথা চলে।

এই যুবকের দ্বারা ফের গর্ভবতী হয় কিশোরী। পরে কিশোরীর পূর্ব সম্পর্কের কথা জানতে পেরে যুবক বিয়ে করতে অস্বীকার করে। দ্বিতীয়বার পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় কিশোরী। এই সন্তানটিকেও অন‍্য এক সমাজকর্মীর মাধ‍্যমে বিক্রির সিন্ধান্ত নেয় কিশোরীর বাবা-মা। তখনই পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানায় অভিযোগকারী কিশোরী।

Lok Sabha Elections 2024: আগে ভোট, পরে বিয়ে! বরের পোশাকে ভোট দিতে এসে শিরোনামে মহারাষ্ট্রের তরুণ

দেশ জুড়ে চলছে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। ২৬ এপ্রিল দেশের ৮৮টি কেন্দ্রে চলছে লোক সভার দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ। ভোট চলছে মহারাষ্ট্রের একাধিক আসনে। এর মধ্যেই বরের বেশে ভোট দিতে এসে শিরোনামে এক তরুণ।

আরও পড়ুন: ভোট চলাকালীন মৌমাছির হামলা, আহত লাইনে দাঁড়ানো প্রায় ১৫ জন ভোটার

দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনেই বিয়ের দিন পড়েছিল মহারাষ্ট্রের এক তরুণের। বিয়ের জন্য ভোট মিস করতে নারাজ সেই তরুণ। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে বিয়ের দিনই পরিবার নিয়ে ভোট দিতে এসেছিলেন এক তরুণ। কনের সাজে ভোট কেন্দ্রে এসে সেই যুবকের মন্তব্য, ‘বিয়ের জন্য অপেক্ষা করা যায়, কিন্তু ভোট গুরুত্বপূর্ণ‍’। কিন্তু বিয়ের দিন ভোট দিতে এলে বিয়ে করবেন কখন! যুবকের জানান, বিয়ে করবেন দুপুর দুটোয়, তার আগে তাই সপরিবারে ভোট দিয়ে এলেন।

আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে বাড়ির মেঝে খুঁড়ে উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্রের ভাণ্ডার! সিবিআই তল্লাশিতে উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি বোমা, বিদেশি বন্দুক

প্রসঙ্গত এ দিন মহারাষ্ট্রের ৮টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। বিভিন্ন কাজ ফেলে মানুষ লোকসভা নির্বাচনের জন্য ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আসছেন। তাই বিয়ের দিনেই বরের পোশাকে সপরিবারে ভোট কেন্দ্রে হাজির হলেন এই যুবক।

Maharashtra: কুয়োয় পড়ল বিড়াল, বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল পাঁচ জনের! মহারাষ্ট্রে মর্মান্তিক পরিণতি

আহমেদনগর: পরিত্যক্ত কুয়োয় পড়ে গিয়েছিল একটি বিড়াল৷ আর সেটিকে উদ্ধার করতে গিয়েই বিষাক্ত গ্যাসে ভরা সেই কুয়োয় ডুবে মৃত্যু হল পাঁচজনের৷ কোনওক্রমে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে একজনকে৷ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের আহমেদনগরে৷

জানা গিয়েছে, আহমেদনগরের ওয়াকড়ি গ্রামের ওই পরিত্যক্ত কুয়োটি বায়ো গ্যাস তৈরিতে ব্যবহার করা হত৷ কোনওভাবে সেই কুয়োর মধ্যে একটি বিড়াল পড়ে যায়৷ সেই বিড়ালটিকে উদ্ধার করতে কুয়োয় নামেন এক গ্রামবাসী৷ কিন্তু কুয়োর ভিতরের পাকে আটকে গিয়ে ডুবে যেতে থাকেন তিনি৷

আরও পড়ুন: সম্মানের লড়াই, তবু হার-জিতের হিসেব ভুলে হুগলিতে চমকে দিলেন রচনা-লকেট!

ওই ব্যক্তিকে সাহায্য করতে কুয়োয় নামেন গ্রামের আরও এক বাসিন্দা৷ তাঁরও পরিণতি একই হয়৷ এর পর একে একে গ্রামের আরও চারজন বাসিন্দা অন্যদের বাঁচাতে কুয়োয় ঝাঁপ দেন৷ কিন্তু বিষাক্ত গ্যাস এবং পাকের মধ্যে থেকে উঠে আসতে পারেননি কেউই৷

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল৷ একে একে কুয়ো থেকে পাঁচ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়৷ জীবিত অবস্থায় একজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷ জানা গিয়েছে, যে ব্যক্তিকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তিনি কোমরে দড়ি বেঁধে কুয়োয় নেমেছিলেন৷ পুলিশ জানিয়েছে, কীভাবে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷

Crime News: ৯ বছরের খুদের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার! অপহরণের পর দাবি লক্ষ লক্ষ মুক্তিপণ, তাহলে কেন খুন? কারণ জানলে শিউরে উঠবেন

মহারাষ্ট্র: ৯ বছরের শিশুকে প্রথমে অপহরণ করে পরে খুন করা হয়। মহারাষ্ট্রের থানে জেলার গুরগাঁও গ্রামের ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। সূত্রের খবর, ২৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করার পরেও হত‍্যা করা হয় শিশুটিকে। অভিযুক্তের বাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয় শিশুর বস্তাবন্দি দেহ।

মহারাষ্ট্রের থানে জেলার গুরগাঁও গ্রামের ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। দেশের সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ‍্যমে প্রকাশিত ত‍থ‍্য অনুযায়ী, শিশুটিকে অপহরণ করে সলমন মালুভি নামে এক স্থানীয় দর্জি। স্থানীয় মসজিদে প্রার্থনা করছিল ৯ বছরের ছোট্ট ছেলেটি। প্রার্থনা শেষে মসজিদ থেকে বেরিয়ে আসার পরেই তাকে অপহরণ করা হয়। অভিযোগ শিশুটিকে অপহরণ করার পর ২৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। মালুভির আসল উদ্দেশ‍্য ছিল নতুন বাড়ি করার জন‍্য টাকা তোলা।

আরও পড়ুন: কেজরিওয়ালের কুর্সিতে স্ত্রী সুনীতা? বড় চমক দিতে পারে আপ, জোর জল্পনা

দীর্ঘক্ষণ সন্ধ্যার নামাজের পরও বাড়ি না ফেরায় শিশুটি নিখোঁজ বুঝতে পারে। তারা আশেপাশে খোঁজাখুঁজি করতে শুরু করেন। এর মাঝেই মুক্তিপণ চেয়ে ফোন পান মৃত শিশুর বাবা মুদ্দাসির। পুলিশে অপহরণের অভিযোগ জানান হয়। এরপরেই গ্রামবাসীরা এবং পুলিশ নিঁখোজ শিশুটির তল্লাশি শুরু করে।

সোমবার বিকেলে পুলিশ অভিযুক্ত মৌলভীর বাসভবনের সন্ধান পায়। বাড়ির পেছনে লুকানো বস্তায় ৯ বছরের শিশুর মৃতদেহ আবিষ্কার করে।

থানের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট ডক্টর ডিএস স্বামী জানিয়েছেন, “অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। আসামি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। কী কারণে শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

News18 Mega Opinion Poll: মহারাষ্ট্রে ৪১ লোকসভা এনডিএ-র দখলে, ইন্ডিয়া জোটের কোনও মতে ৭

নয়াদিল্লি: সামনেই লোকসভা নির্বাচন ২০২৪। তার আগে নিউজ ১৮-এর জনমত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের ৪৮টি আসনের মধ্যে ৪১টি এনডিএ ও ৭টি ইন্ডিয়াকে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্যদের আসনে শূন্য। এনডিএ-র ভোট শেয়ার ৪৮ শতাংশ, ৩৪ শতাংশ ইন্ডিয়ার।  

আসন্ন লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রে বিজেপি বিরোধী ‘মহাজোট’ হতে পারে। প্রকাশিত খবরে দাবি, তিন দলের ‘মহাবিকাশ অঘাড়ী’ জোটের বৈঠকে প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, সে রাজ্যের ৪৮টি লোকসভা আসনের মধ্যে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন শিবসেনা (ইউবিটি) ২০, কংগ্রেস ১৮ এবং শরদ পওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি (শরদচন্দ্র পওয়ার) ১০টিতে লড়বে।

২০১৯ সালে, শিবসেনা এনডিএ-র সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল এবং ১৮ টি আসন জিততে সক্ষম হয়েছিল। যদিও বিজেপি তখন ২৩টি আসন পেয়েছিল।

আরও পড়ুন: তেলঙ্গানায় জোর টক্করে কংগ্রেস-বিজেপি! ৮ NDA, ইন্ডিয়ার ‘হাতে’ ৬

এনসিপি তখন কংগ্রেসের ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ অ্যালায়েন্সের (ইউপিএ) অংশ ছিল। সেই সময় এনসিপি জিতেছিল ৮টি আসনে এবং কংগ্রেস জিতেছিল একটি আসনে। মহারাষ্ট্র থেকে ২০১৯ সালে একজন AIMIM এবং একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও নির্বাচিত হয়েছেন। আসন অনুযায়ী জনমত সমীক্ষার তথ্য থেকে জানা যায় যে বিজেপি মুম্বই উত্তর, মুম্বই উত্তর-পূর্ব, মুম্বই উত্তর-মধ্য, পালঘর, ভিওয়ান্ডি, পুনে, আহমেদনগর, সোলাপুর, সাংলি, নাগপুর, নন্দুরবার, ধুলে, জলগাঁও, রাভার, ডিন্ডোরি, আকোলা, অমরাবতী। আসন্ন নির্বাচনে ওয়ার্ধা, ভান্ডারা-গোন্দিয়া, গাদচিরোলি-চিমুর, চন্দ্রপুর, নান্দেড, জালনা, লাতুর এবং বিড লোকসভা কেন্দ্র।

আরও পড়ুন: নিউজ 18 ওপিনিয়ন পোল: বিহার-মধ্যপ্রদেশে NDA ঝড়, কেরলে খাতা খুলতে চলেছে বিজেপি!

নাসিক, পারভানি, ঔরঙ্গাবাদ, ওসমানাবাদ, মুম্বই দক্ষিণ, রত্নাগিরি-সিন্ধুদুর্গ, শিরডি এবং হাতকঙ্গলের লোকেরা বলেছেন যে তারা এবার শিবসেনা (ইউবিটি) নির্বাচন করতে চান। বুলধানা, ইয়াভাতমাল-ওয়াশিম, মুম্বাই উত্তর-পশ্চিম, মুম্বাই দক্ষিণ সেন্ট্রাল, কল্যাণ এবং থানে নির্বাচনী এলাকা শিবসেনা: একনাথ শিন্ডে গোষ্ঠীর দ্বারা জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শরদ পাওয়ারের নতুন এনসিপি শিরুর, মাধা এবং সাতারায় একটি শক্ত ঘাঁটি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। অজিত পাওয়ার ভগ্নাংশের বারামাতি, কোলহাপুর, মাভাল এবং রায়গড়ে জেতার বড় সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে রামটেক ও হিঙ্গোলিতে কংগ্রেসের জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।

Onion Price Hike: ঝড়ের বেগে বাড়ল পেঁয়াজের দাম! কাটার আগেই চোখে জল! কমবে কবে? জানুন

মহারাষ্ট্র: পেঁয়াজ এবং রসুন। দুই আনাজ ছাড়া বাঙালির রান্নাঘর একেবারে অসম্পূর্ণ। প্রায় প্রতিটি রান্নায় নিত‍্য সঙ্গী পেঁয়াজ। তবে এবার মধ‍্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে পেঁয়াজের দাম। রসুনের দাম আগেই বেড়েছিল। এবার হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম।

পেঁয়াজের পাইকারি দামেও বৃদ্ধি লক্ষ‍্য করা যাচ্ছে। সোমবারই মহারাষ্ট্রের লাসলগাঁও এগ্রিকালচারাল প্রোডাক মার্কেট কমিটিতে (এপিএমসি) পেঁয়াজের গড় পাইকারি দাম ৪০% বেড়েছে। কিন্তু কেন বাড়ছে পেঁয়াজের দাম?

আরও পড়ুন: চাকরির স্বপ্ন নিয়ে পুলিশের পরীক্ষায় যুবক, অ‍্যাডমিট কার্ড দেখাতেই এ কী কাণ্ড, ছুটে এল ক্রাইম ব্রাঞ্চ

দেশের সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ‍্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী এবং মহারাষ্ট্রের ডিন্ডোরির (নাসিক গ্রামীণ) সাংসদ ডঃ ভারতী পাওয়ার গত রবিবার নিজেই বলেছিলেন যে পেঁয়াজের উপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকারে পক্ষ থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৩ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে। দেশে বাড়তে থাকা পেঁয়াজের দামে রাশ টানতে সরকার রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে ফের রপ্তানি চালু করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ রাখার কথা ছিল। তবে সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরকারি বিজ্ঞপ্তি আসেনি।

দেশের সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ‍্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, একজন APMC আধিকারিক জানিয়েছেন যে দেশের বৃহত্তম পাইকারি পেঁয়াজের বাজার লাসলগাঁওয়ে গড় দামের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। লাসলগাঁওয়ে পেঁয়াজের গড় দাম শনিবার প্রতি কুইন্টাল ১২৮০ টাকা থেকে বেড়ে সোমবার ১৮০০ টাকা হয়েছে। এদিন প্রায় ১০,০০০ কুইন্টাল পেঁয়াজ নিলাম হয়। সোমবার, পেঁয়াজের সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ পাইকারি মূল্য যথাক্রমে ১০০০ টাকা এবং ২১০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল রেকর্ড করা হয়েছে।

নীল ছবি দেখার নেশা ১৪ বছরের ছেলের! এমন শাস্তি দিল বাবা, শিউরে উঠল পুলিশও

শোলাপুর: নিয়মিত মোবাইলে নীল ছবি দেখত ১৪ বছর বয়সি ছেলে৷ স্কুল থেকেও তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ আসছিল৷ সেই রাগেই নিজের ছেলেকে বিষ খাইয়ে খুন করল বাবা!

নৃশংস এমন ঘটনাই ঘটেছে মহারাষ্ট্রের শোলাপুরে৷ অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম বিজয় বাট্টু৷ পেশায় দর্জি ওই ব্যক্তি নিজের স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে শোলাপুরেই থাকতেন৷

তবে ছেলেকে খুন করে সেকথা প্রথমে সবার থেকে আড়াল করার চেষ্টা করেছিল বিজয়৷ তার স্ত্রীও কিছু টের পাননি৷ এমন কি, গত ১৩ জানুয়ারি স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়ে ছেলে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশে অভিযোগও জানিয়ে এসেছিল অভিযুক্ত ব্যক্তি৷

আরও পড়ুন: রোজ রাতে বিকৃত যৌন তাড়না! স্বামীর গোপনাঙ্গে ‘হামলা’ স্ত্রীর, হাসপাতালে যুবক

অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ৷ কয়েক দিন পরে ওই দম্পতির বাড়ির কাছেই একটি ড্রেন থেকে বিশাল নামে ১৪ বছর বয়সি ওই কিশোরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ৷

ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, বিশালের শরীরে বিষাক্ত সোডিয়াম নাইট্রেটের নমুনা মিলেছে৷ এর পরেই খুনের মামলা রুজু করে ওই কিশোরের পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ৷

তদন্ত চলাকালীন মৃত কিশোরের বাবা বিজয়ের দেওয়া তথ্যয় অসঙ্গতি পায় পুলিশ৷ এরই মধ্যে গত ২৮ জানুয়ারি বিজয় নিজের স্ত্রীর কাছে ছেলেকে খুন করার কথা স্বীকার করে৷ বিজয় জানায়, ছেলে বিশাল অন্যান্য সহপাঠীদের বিরক্ত করার পাশাপাশি পড়াশোনায় মন না দেওয়ায় বার বার ছেলের স্কুল থেকে তার কাছে অভিযোগ জানানো হচ্ছিল৷ শুধু তাই নয়, যেভাবে ছেলে নীল ছবির প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিল তাতেও হতাশা গ্রাস করেছিল বিজয়কে৷

শেষ পর্যন্ত গত ১৩ জানুয়ারি বিশালকে নিজের বাইকে করে নিয়ে বের হয় বিজয়৷ এর পর সোডিয়াম নাইট্রেট মেশানো একটি পানীয় ছেলেকে খেতে দেয় সে৷ বিশাল সেই পানীয় খেয়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে ছেলের দেহ বাড়ির কাছে ওই ড্রেনে ফেলে দেয় বিজয়৷

স্বামীর এই স্বীকারোক্তির পর বিজয়ের স্ত্রী নিজেই পুলিশে খবর দেন৷ এর পরেই বিজয়কে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে পুলিশ৷

Atal Setu Accident: উদ্বোধনের পর অটল সেতুতে প্রথম দুর্ঘটনা, রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে পাল্টি খেল গাড়ি! শিউরে ওঠা ভিডিও

মুম্বই: গত ১২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয়েছে সমুদ্রের উপর দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সেতু। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মহারাষ্ট্র সফরে গিয়ে মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক (এমটিএইচএল)-এর উদ্বোধন করেছেন তিনি। উদ্বোধনের ১০ দিনের মাথায় রবিবার প্রথম গাড়ি দুর্ঘটনার সাক্ষী হল এই ব্রিজ। একটি গাড়ির ড্যাশবোর্ডে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়েছে সেই দুর্ঘটনার ভিডিও।

দেখা গিয়েছে, লাল একটি ছোট গাড়ি প্রচণ্ড গতিতে এসে ডানদিকের রেলিংয়ে ধাক্কা মারে এবং একাধিকবার পাল্টি খায়। ঘটনাটি ঘটে এদিন দুপুর ৩টে নাগাদ। দুই মহিলা ও শিশুদের নিয়ে গাড়িটি চিরলের দিকে যাচ্ছিল। যদিও দুর্ঘটনায় কোনও প্রাণহানি হয়নি।

আরও পড়ুন: সকাল না বিকেল, কোন সময় হাঁটা শরীরের জন্য সবচেয়ে ভাল জানেন? চিকিৎসকের পরামর্শ জানুন

মহারাষ্ট্রের এই ব্রিজ দেশের অন্যতম বড় ব্রিজগুলির মধ্যে অন্যতম। দেশের বাণিজ্য নগরী মুম্বইতে এই ব্রিজ সংযোগ রক্ষার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করছে। ২১.৮ কিলোমিটারের এই মুম্বই ট্রান্স হারবার লিঙ্ক যা আনুষ্ঠানিকভাবে অটল সেতু হিসাবে পরিচিত, তা মুম্বইবাসীদের জন্য একাধিক সুবিধা এনেছে।

আরও পড়ুন: কয়েক ঘণ্টা পরেই রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা, রবি-রাতে আলো ঝলমল ?নয়নাভিরাম? সরযূ নদীর পাড়, দেখুন

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়েছে ‘অটলবিহারী বাজপেয়ী সেওয়ারি-নভ সেবা অটল সেতু’। সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সেতুর দৈর্ঘ্য ২১.৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে ১৬.৫ কিলোমিটার সমুদ্রের উপর দিয়ে। বাকি ৫.৫ কিলোমিটার স্থলভাগের উপর দিয়ে প্রসারিত। সমুদ্রের উপর এত দীর্ঘ সেতু এ দেশে আর নেই।

Inspiration: লিঙ্গ পরিবর্তনে নারী থেকে পুরুষে পরিণত কনস্টেবল এ বার বাবা হলেন! স্ত্রীর কোলে সদ্যোজাত

বীড়: ছক ভেঙেছিলেন ললিতকুমার সালভে৷ সমাজের তথাকথিত নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে মহারাষ্ট্রের বীড় জেলার এই পুলিশ কনস্টেবল তাঁর লিঙ্গ পরিবর্তন করে নারী থেকে পুরুষ হয়েছিলেন ২০২০ সালে৷ ঘর বেঁধেছিলেন এক নারীর সঙ্গে৷ নতুন বছরের ১৫ জানুয়ারি পিতৃত্বের স্বাদ পেলেন লিঙ্গ পরিবর্তিত ওই কনস্টেবল৷ তাঁর স্ত্রী জন্ম দিয়েছেন পুত্রসন্তানের৷ এই খবরে খুশির জোয়ারে ভাসছেন রাজেগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ললিতকুমার৷ তাঁর জীবনে সুসংবাদে উচ্ছ্বসিত ট্রান্সসেক্সুয়াল কমিউনিটিও৷

১৯৮৮ সালের জুনে ললিতা সালভে হয়ে জন্ম ললিতের৷ ২০১৩ সালে তাঁর শরীরে কিছু পরিবর্তন ধরা পড়ে৷ ডাক্তারি পরীক্ষায় তাঁর দেহে Y chromosome-এর অস্তিত্ব ধরা পড়ে৷ ‘জেন্ডার ডিসফোরিয়া’ শনাক্ত করে ডাক্তাররা লিঙ্গ পরিবর্তনের জন্য অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন৷ প্রসঙ্গত পুরুষ দেহে এক্স এবং ওয়াই দু’ ধরনের ক্রোমোজোম থাকে৷ কিন্তু নারীদেহে থাকে শুধু ওয়াই ক্রোমোজোম৷

আরও পড়ুন : ৭ লক্ষ ফলোয়ার! দিনরাত Food Vlogging করেও CAT 2023-এ ৯৯.১৪ পার্সেন্টাইল জনপ্রিয় পুলকিতের!

২০১৮ সালে সরকারি অনুমতি পেয়ে ওই কনস্টেবল লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রোপচার করান৷ ২০১৮ থেকে ২০২০-র মধ্যে তিন বার অস্ত্রোপচার হয় তাঁর৷ এর পর জীবনের নতুন পর্বে পা রাখেন তিনি৷ নাম পাল্টে ললিতা থেকে ললিত হন৷ বিয়ে করেন এক নারীকে৷ তৈরি হয় তাঁর জীবনের নতুন এক মাইলফলক৷

 

সংবাদমাধ্যমকে ললিত জানিয়েছেন, ‘‘নারী থেকে পুরুষ হওয়ার পথ ছিল খুবই কঠিন৷ তবে পাশেও পেয়েছি বেশ কয়েকজনকে৷ এ বার আমার স্ত্রী সীমা উপহার দিলেন সন্তান৷ পিতৃত্বের স্বাদ পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত৷ খুশি হয়েছেন আমার পরিবারের সদস্যরাও৷’’

Indian Village: বিয়ের পর দু থেকে তিন দিনের মধ্যেই এই গ্রাম থেকে পালিয়ে যান বেশির ভাগ নববধূ! কারণ শুনলে চমকে উঠবেন

বিয়ে করার বড় জোর দু থেকে তিনদিন। তারই মধ্যে সমস্ত নব বিবাহিত মহিলারা কেউই এই গ্রামে থাকতে চান না। বিয়ে হওয়া সত্ত্বেও সুখী সাংসারিক জীবন কেমন হয় তা এই গ্রামের অনেক পুরুষই জানেন না। কারণ এই গ্রামে বেশির ভাগ মহিলাই বিয়ের পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। কারণ শুনলে হতবাক হয়ে যাবেন আপনি।
বিয়ে করার বড় জোর দু থেকে তিনদিন। তারই মধ্যে সমস্ত নব বিবাহিত মহিলারা কেউই এই গ্রামে থাকতে চান না। বিয়ে হওয়া সত্ত্বেও সুখী সাংসারিক জীবন কেমন হয় তা এই গ্রামের অনেক পুরুষই জানেন না। কারণ এই গ্রামে বেশির ভাগ মহিলাই বিয়ের পর বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। কারণ শুনলে হতবাক হয়ে যাবেন আপনি।
নাসিক থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে সুরগানা তালুকের ছোট গ্রাম দান্ডিচি বারি। গোটা গ্রামে মেরেকেটে ৩০০ জনের বাস। কিন্তু এই গ্রামে কোনও পুরুষের বিয়ে হলে আনন্দ করার বদলে প্রমাদ গোনেন সেই পরিবার এবং গ্রামের বাকিরা। বিশেষ এক কারণে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন এই গ্রামের নববধূরা।
নাসিক থেকে প্রায় ৯০ কিলোমিটার দূরে সুরগানা তালুকের ছোট গ্রাম দান্ডিচি বারি। গোটা গ্রামে মেরেকেটে ৩০০ জনের বাস। কিন্তু এই গ্রামে কোনও পুরুষের বিয়ে হলে আনন্দ করার বদলে প্রমাদ গোনেন সেই পরিবার এবং গ্রামের বাকিরা। বিশেষ এক কারণে বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি ছাড়েন এই গ্রামের নববধূরা।
দান্ডিচি বারি গ্রামের বাসিন্দারা সারা বছরই পানীয় জলের সমস্যায় ভুগতে থাকেন। তীব্র জলকষ্টের মধ্যে থাকলেও যাঁরা এই গ্রামে বড় হয়েছেন, তাঁরা এই জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত। কিন্তু সমস্যায় পড়েন তাঁরা, যাঁরা বাইরে থেকে এই গ্রামে আসেন। আর তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নববিবাহিতা।
দান্ডিচি বারি গ্রামের বাসিন্দারা সারা বছরই পানীয় জলের সমস্যায় ভুগতে থাকেন। তীব্র জলকষ্টের মধ্যে থাকলেও যাঁরা এই গ্রামে বড় হয়েছেন, তাঁরা এই জীবনের সঙ্গে অভ্যস্ত। কিন্তু সমস্যায় পড়েন তাঁরা, যাঁরা বাইরে থেকে এই গ্রামে আসেন। আর তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই নববিবাহিতা।
শ্বশুরবাড়িতে কিছু দিন কাটানোর পর তাঁরা পানীয় জলের সঙ্কট নিয়ে এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যে, এই গ্রামে থাকতে চান না। বিয়ে-স্বামী-শ্বশুরবাড়ি সব ফেলে ফিরে যেতে চান বাপের বাড়ি। এই গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ ওয়াঘমারে এ রকমই একটি বিয়ের কথা শুনিয়েছেন, যা মাত্র দু’দিন টিকেছিল।
শ্বশুরবাড়িতে কিছু দিন কাটানোর পর তাঁরা পানীয় জলের সঙ্কট নিয়ে এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যে, এই গ্রামে থাকতে চান না। বিয়ে-স্বামী-শ্বশুরবাড়ি সব ফেলে ফিরে যেতে চান বাপের বাড়ি। এই গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ ওয়াঘমারে এ রকমই একটি বিয়ের কথা শুনিয়েছেন, যা মাত্র দু’দিন টিকেছিল।
গোবিন্দ বলেন, “২০১৪ সালে গ্রামের এক জনের বিয়ে হয়েছিল। সেই বিয়ে মাত্র দু’দিনের জন্য স্থায়ী হয়েছিল। বিয়ের দু’দিনের মাথায় স্বামীর ঘর ছা়ড়েন ওই বধূ। এই ঘটনা লোকমুখে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।’’ গোবিন্দ আরও জানান, জল আনার জন্য ওই নববধূ গ্রামের বাকি গৃহবধূদের সঙ্গে পাহাড়ের নীচে গিয়েছিলেন। এক দিন জল আনতে গিয়েই বুঝে গিয়েছিলেন যে, এই গ্রামে বসবাস করা কতটা কঠিন।
গোবিন্দ বলেন, “২০১৪ সালে গ্রামের এক জনের বিয়ে হয়েছিল। সেই বিয়ে মাত্র দু’দিনের জন্য স্থায়ী হয়েছিল। বিয়ের দু’দিনের মাথায় স্বামীর ঘর ছা়ড়েন ওই বধূ। এই ঘটনা লোকমুখে ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।’’ গোবিন্দ আরও জানান, জল আনার জন্য ওই নববধূ গ্রামের বাকি গৃহবধূদের সঙ্গে পাহাড়ের নীচে গিয়েছিলেন। এক দিন জল আনতে গিয়েই বুঝে গিয়েছিলেন যে, এই গ্রামে বসবাস করা কতটা কঠিন।
অনেকটা পথ পেরিয়ে পাহাড়ের নীচ পর্যন্ত গিয়ে পানীয় জল আনতে হয় গ্রামের মহিলাদের। ওই নববধূ বুঝে গিয়েছিলেন, ওই গ্রামে থাকলে তাঁর জীবন কঠিন হয়ে যাবে। পালানো ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই। তাই জল আনতে গিয়ে সেখানেই জলের কলসি রেখে ওই বধূ বাপের বাড়ি পালিয়ে গিয়েছিলেন।
অনেকটা পথ পেরিয়ে পাহাড়ের নীচ পর্যন্ত গিয়ে পানীয় জল আনতে হয় গ্রামের মহিলাদের। ওই নববধূ বুঝে গিয়েছিলেন, ওই গ্রামে থাকলে তাঁর জীবন কঠিন হয়ে যাবে। পালানো ছাড়া আর কোনও পথ খোলা নেই। তাই জল আনতে গিয়ে সেখানেই জলের কলসি রেখে ওই বধূ বাপের বাড়ি পালিয়ে গিয়েছিলেন।
গোবিন্দ আরও জানিয়েছেন, এই গ্রামের মহিলাদের প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ মার্চ থেকে জুন মাস, দেড় কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পাহাড়ের নীচে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া একটি নদী থেকে জল আনতে হয়। শুকনো নদীর সামনে থাকা পাথরের ফাটল থেকে গ্রামের গৃহবধূদের জল ভরতে হয়। নদীর ধারে থাকা পাথরের ফাটলে হাত ঢুকিয়ে একটি বাটি দিয়ে সেই জল তুলে পাত্রে ভরতে হয় তাঁদের। ফাটলের ভিতরের জল ফুরোলে সেই জল আবার ভর্তি হওয়ার জন্য মহিলাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এর পর দু’টি করে পাত্র মাথায় চাপিয়ে তাঁদের আবার পাহাড় ডিঙিয়ে গ্রামে ফিরতে হয়।
গোবিন্দ আরও জানিয়েছেন, এই গ্রামের মহিলাদের প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে অর্থাৎ মার্চ থেকে জুন মাস, দেড় কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পাহাড়ের নীচে প্রায় শুকিয়ে যাওয়া একটি নদী থেকে জল আনতে হয়। শুকনো নদীর সামনে থাকা পাথরের ফাটল থেকে গ্রামের গৃহবধূদের জল ভরতে হয়। নদীর ধারে থাকা পাথরের ফাটলে হাত ঢুকিয়ে একটি বাটি দিয়ে সেই জল তুলে পাত্রে ভরতে হয় তাঁদের। ফাটলের ভিতরের জল ফুরোলে সেই জল আবার ভর্তি হওয়ার জন্য মহিলাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এর পর দু’টি করে পাত্র মাথায় চাপিয়ে তাঁদের আবার পাহাড় ডিঙিয়ে গ্রামে ফিরতে হয়।
গ্রামের মহিলারা দিনে দু’বার পাহাড়ের নীচে জল আনতে যান। ভোর ৪টে থেকে জল আনার তোড়জোড় শুরু হয়। এক বার জল আনার পর বেলায় আবার জল আনতে যেতে হয়। গ্রীষ্মকালে বেশির ভাগ দিনই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে। সেই গরমেই পাথুরে রাস্তা হেঁটে পেরোতে হয় গ্রামের মহিলাদের।
গ্রামের মহিলারা দিনে দু’বার পাহাড়ের নীচে জল আনতে যান। ভোর ৪টে থেকে জল আনার তোড়জোড় শুরু হয়। এক বার জল আনার পর বেলায় আবার জল আনতে যেতে হয়। গ্রীষ্মকালে বেশির ভাগ দিনই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি থাকে। সেই গরমেই পাথুরে রাস্তা হেঁটে পেরোতে হয় গ্রামের মহিলাদের।
গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘একটি কলসি পূর্ণ হতে তিন ঘণ্টাও লাগতে পারে। জল ভরে ফিরতে অনেক সময়েই রাত হয়ে যায়।’’ তিনি জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে বন্য প্রাণীদের হামলার ভয়ও থাকে। আর সেই কারণে রাতে ফেরার সময় মশাল জ্বালিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। সঙ্গে থাকে টর্চও।
গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ‘‘একটি কলসি পূর্ণ হতে তিন ঘণ্টাও লাগতে পারে। জল ভরে ফিরতে অনেক সময়েই রাত হয়ে যায়।’’ তিনি জানিয়েছেন, রাতের অন্ধকারে বন্য প্রাণীদের হামলার ভয়ও থাকে। আর সেই কারণে রাতে ফেরার সময় মশাল জ্বালিয়ে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। সঙ্গে থাকে টর্চও।
খাড়াই রাস্তা ধরে মাথায় দু’টি কলসি এবং হাতে টর্চ জ্বেলে বাড়ি ফেরেন গ্রামের মহিলারা। শুধু জল ভরতে যাওয়া নয়, বাড়ির অন্যান্য কাজও করতে হয় মহিলাদেরই। এই কষ্টকর জীবন কাটাতে রাজি থাকেন না অনেক মহিলাই। আর এই কারণে বিয়ে করে আসার পর অনেক নববধূ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান।
খাড়াই রাস্তা ধরে মাথায় দু’টি কলসি এবং হাতে টর্চ জ্বেলে বাড়ি ফেরেন গ্রামের মহিলারা। শুধু জল ভরতে যাওয়া নয়, বাড়ির অন্যান্য কাজও করতে হয় মহিলাদেরই। এই কষ্টকর জীবন কাটাতে রাজি থাকেন না অনেক মহিলাই। আর এই কারণে বিয়ে করে আসার পর অনেক নববধূ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান।
দান্ডিচি বারি গ্রামের প্রধান জয়রাম ওয়াঘমারে জানিয়েছেন, তিনি অনেক দিন ধরেই গ্রামের মানুষদের জন্য জলের ট্যাঙ্ক বসানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, “অনেকে এসে আমাদের কষ্টের ছবি তোলেন। কিন্তু কেউ সাহায্য করেন না। আমাদের গ্রাম প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে খরায় ভুগছে।”
দান্ডিচি বারি গ্রামের প্রধান জয়রাম ওয়াঘমারে জানিয়েছেন, তিনি অনেক দিন ধরেই গ্রামের মানুষদের জন্য জলের ট্যাঙ্ক বসানোর চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, “অনেকে এসে আমাদের কষ্টের ছবি তোলেন। কিন্তু কেউ সাহায্য করেন না। আমাদের গ্রাম প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে খরায় ভুগছে।”
জয়রাম স্বীকার করেছেন যে, বিয়ে না টেকার ব্যাপারে এই গ্রামের বদনাম রয়েছে। ২০০৮-’০৯ সালে তিন জন বিবাহিত মহিলা জলের অভাবে বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই গ্রাম ছেড়েছিলেন। এখন অনেকেই তাঁদের মেয়েদের এই গ্রামের পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হন না। জয়রাম বলেন, “এক বার যখন কেউ জানতে পারেন যে বরের বাড়ি দান্ডিচি বারিতে, তখনই তাঁরা বিয়ের আলোচনা বন্ধ করে দেন।”
জয়রাম স্বীকার করেছেন যে, বিয়ে না টেকার ব্যাপারে এই গ্রামের বদনাম রয়েছে। ২০০৮-’০৯ সালে তিন জন বিবাহিত মহিলা জলের অভাবে বিয়ের কয়েক দিনের মধ্যেই গ্রাম ছেড়েছিলেন। এখন অনেকেই তাঁদের মেয়েদের এই গ্রামের পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি হন না। জয়রাম বলেন, “এক বার যখন কেউ জানতে পারেন যে বরের বাড়ি দান্ডিচি বারিতে, তখনই তাঁরা বিয়ের আলোচনা বন্ধ করে দেন।”