রেস্তরাঁর থিম জামাইষষ্ঠী।

Jamaishashthi Special: মালদহে রেস্তরাঁর থিম জামাইষষ্ঠী! অভিনব আয়োজনে আপ্লুত জামাই-শাশুড়িরা

মালদহ: মালদহে রেস্তরাঁর থিম জামাইষষ্ঠী। ষষ্ঠীর ডালা সাজানো থেকে শুরু করে, জামাই স্পেশাল মেনু, ব্যাকগ্রাউন্ডে জামাই আমি হিট গান। সবমিলিয়ে মালদহে রেস্তরাঁতেই জামাইষষ্ঠীতে মাতলেন জামাই-শাশুড়িরা। অভিনব থিম ভাবনার ব্যবস্থা করে মালদহের রেস্তরাঁ ‘ঠাম্মির হেঁসেল’। সব আয়োজনই তৈরি ছিল, শুধু জামাইকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুর-শাশুড়িরা হাজির হতেই উৎসবের শুরু।

আরও পড়ুন: রাজনীতি থেকে সাময়িক ছুটি নিচ্ছেন অভিষেক, সমাজমাধ্যমে কারণও জানালেন তৃণমূলের সেনাপতি

কর্মব্যস্ত জীবনে জামাইদের রকমারি পদ রান্না করে খাওয়ানোর ঝক্কি সামলাতে নাজেহাল হন অনেক শাশুড়িই। তাঁদের জন্য জামাই আপ্যায়নের এলাহি ব্যবস্থা করা হয়েছিল পুরাতন মালদহের সাহাপুর এলাকার রেস্তরাঁতে। ইলিশ পাতুরি, ডাব চিংড়ি, সর্ষে ইলিশ, ইলিশ গঙ্গা-যমুনা, চিংড়ির মালাইকারি, ভেটকি পাতুরি, মটন কষা, চিকেন কারি , লাউ চিংড়ি, কড়াই পনির থেকে শুরু করে মোচার ঘণ্ট, কচুশাক কী নেই মেনুতে। শেষ পাতে মালদহের সুমিষ্ট আম। এদিন অনেক শ্বশুর-শাশুড়িকে দেখা গেল জামাইদের সঙ্গে এনে আপ্যায়নের ব্যবস্থা করেছেন রেস্তোরাঁয়। আয়োজনে সন্তুষ্ট জামাইরাও।

শুরুতে রেস্তোরাঁতেই সাজিয়ে রাখা ডালা দিয়ে জামাইষষ্ঠীর আচার-অনুষ্ঠান পালন। এরপর খাওয়াদাওয়ার হরেক আয়োজন। নিরামিষ থালিতে ছিল অন্তত ২০ পদ খাবার। খরচও নাগালের মধ্যে, মাত্র ৬৯৯ টাকা। আর আমিষ মেনু ২৫ পদের, প্লেট প্রতি খরচ ৯৯৯ টাকা। রেস্তরাঁর মালিক মৌসুমি চক্রবর্তীর দাবি , “ঠাম্মীর হেঁসেল মানেই ষোলয়ানা বাঙালিয়ানা। আগেকার দিনে মা, দিদা, ঠাকুমারা যেভাবে বাঙালি রান্নাবান্না করতেন। সেভাবেই জামাই-আপ্যায়নের জন্য হরেকরকম খাবারের করা হয়েছে। বুধবার ও বৃহস্পতিবার রেস্তোরাঁর থিম জামাইষষ্ঠী”।

আর রেস্তোরাঁতে আসা শাশুড়ি চৈতালি সেনগুপ্ত বললেন, “এমন আয়োজন হতে পারে তা কল্পনাও করতে পারিনি। নিজে চেষ্টা করলেও এত রকমারি রান্না করতে পারতাম না”। জামাই রীতেশ কুন্ডু বলেন, “নিউটাউন থেকে মালদহে জামাইষষ্ঠীতে এসে অনেক স্মৃতি নিয়ে ফিরতে হচ্ছে। এমন আয়োজন বহু দিন মনে থাকবে”।