T20 World Cup 2024: এক কামড়ে খেয়ে ফেলুন বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম, জেনে নিন বিস্তারিত

বাঁকুড়া: সবুজ ঘাসের গালিচা বিছানো, তার উপরে সদ্য লাগানো হয়েছে ক্রিকেট পিচ, তার উপর রাখা আছে একটি ব্যাট এবং বল। পিচের দুই প্রান্তে লাগানো রয়েছে তিনটি করে স্ট্যাম্পস। মাঠের স্কয়ারে দেখা যাচ্ছে টি ২০ বিশ্বকাপের লোগো। এ যেন নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামেই তিন দলকে দুরমুশ করে ঝড়ের গতিতে সুপার এইটে পৌঁছেছে ভারতীয় ক্রিকেট দল। আশ্চর্য হবেন এই মাঠ এবার তৈরি হল বাঁকুড়ায়। চাইলেই এক কামড়ে খেয়ে ফেলতে পারেন আপনি। বিশ্বকাপ আসলেই ক্রিকেট জ্বরে ভোগে বাঁকুড়া।

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪ ক্রীড়া সূচিT20 World Cup Full Schedule

টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪ পয়েন্ট টেবল T20 World Cup 2024 Points Table

এবার টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আদলে মাঠ তৈরি করলেন বাঁকুড়ার এক গৃহবধূ। সম্পূর্ণ নিরামিষ এই মাঠ আসলে একটি ৪ পাউন্ডের কাস্টোমাইজ করা কেক। বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহির বাসিন্দা সহেলী রক্ষিত এই ধরনের কেক বানিয়ে থাকেন। বিশ্বকাপ চলছে, ইতিমধ্যেই পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ড এবং আমেরিকাকে হারিয়ে সুপার এইটে ভারত, আর সেই কারণেই এমন একটি কেক বানিয়ে ভারতীয় দলকে ট্রিবিউট দিলেন তিনি, কেকটির ধার্য মূল্য ১৬৫০ টাকা এবং এটি বানাতে ব্যাবহার করা হয়েছে, ময়দা, চিনি, হুইপ ক্রিম এবং ফন্ডেন্ট ব্যবহার করে পিচ, ব্যাট এবং বল বানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন T20 Worldcup: ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাজার কাঁপাচ্ছে ‘এই জিনিস!’ দাম কত জানেন?

লক ডাউনের সময় থেকে কেক বানানো শুরু করেছেন সহেলী রক্ষিত। বন্ধুর অনুরোধেই পেশাগত ভাবে কেক বানানো শুরু করেন তিনি। বেশ ভাল মুনাফা করা যায় এই ব্যবসায়, এমনটাই জানালেন সহেলী। ইউটিউব থেকে কেক বানানো শিখেছিলেন তিনি এবং পরবর্তীকালে একদিনের একটি কোর্স করেন বেসরকারি একটি সংস্থায়। এখন সহেলীর কাছে ইতিমধ্যেই ট্রেনিং নিয়েছেন ৪০ জন। যাদের মধ্যে অধিকাংশই গৃহবধূ এবং মহিলারা। এদের মধ্যে অনেকেই সফলতার সঙ্গে করছেন কেক বানিয়ে অর্থ উপার্জন। কেউ কেউ আবার পড়াশোনা ছেড়ে কেক বানাতেই ব্যাস্ত।

ক্রিকেটে মাঠের আদলে স্পেশাল চার পাউন্ডের সম্পূর্ণ নিরামিষ কেক। অর্ডার নিয়ে কেক বানিয়ে দেন সহেলী রক্ষিত। বেশ ভালই জনপ্রিয়তা রয়েছে বাঁকুড়া শহর এবং শহরের বাইরেও। তবে শৈল্পিক চিন্তা ভাবনা থেকে আরও নিত্যনতুন কেক বানাতে উদ্যোগী হয়েছেন তিনি। ভবিষ্যতে কী চমক থাকবে তার উত্তর একমাত্র সময় দেবে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী