ভিডিও কলিংয়ের উপরই আপাতত যাবতীয় ফোকাস রয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের। আদতে লক্ষ্য হল, গুগল মিট এবং জুম-কে ছাপিয়ে যাওয়া। এই সপ্তাহে তিনটি নতুন ফিচার নিয়ে এসেছে মেসেজিং অ্যাপ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত ইউজাররাই এগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলিং ফিচার বহু পুরনো। কিন্তু প্রতিদিনই প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে। ফলে মেসেজিং প্ল্যাটফর্মও তাদের ভিডিও কলিং ফিচারকে আপগ্রেড করে তাতে নতুন নতুন বৈশিষ্ট যোগ করার জন্য তৎপর। ভিডিও কলিংয়ে গুগল মিট এবং জুমকে ছাপিয়ে যেতে হোয়াটসঅ্যাপ তিনটি ফিচার নিয়ে এসেছে। সেগুলো কী?
হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিও কলিং – কম্পিউটার এবং মোবাইলের জন্য ৩টি ধামাকাদার ফিচার: এখন থেকে অডিও সহ স্ক্রিন শেয়ারিং করা যাবে। বিটা ভার্সনে এই ফিচার আগেই ছিল। এখন সেটাই অফিসিয়াল। ইউজার বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে সিনেমা বা কনটেন্ট শেয়ার করতে চাইলে ভিডিও কলে স্ক্রিন শেয়ার করতে পারবেন। বন্ধুরা মিলে ভার্চুয়ালি সিনেমা দেখতে পারবেন একসঙ্গে।
হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলের আরেকটি বড় আপডেট হল, শুধু কম্পিউটার বা মোবাইল নয়, যে কোনও ডিভাইসেই হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলে থাকতে পারবেন ৩২ জন। মিটিং, ওয়েবিনার বা আড্ডা, অসুবিধা হবে না কোনও।
শেষ ফিচারটি হল, হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলে স্পিকারকে হাইলাইট করা যাবে। গ্রুপ ইন্টারঅ্যাকশনের সময় স্ক্রিনে স্পিকারকে প্রথম দেখা যাবে।
এগুলো যে অত্যন্ত দরকারি ফিচার তাতে কোনও সন্দেহ নেই। গুগল মিট এবং জুম-কে টক্কর দেওয়ার জন্যই হোয়াটসঅ্যাপ এই ধরনের ফিচার নিয়ে এসেছে সেটাও স্পষ্ট। এসবের পাশাপাশি মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ দাবি করেছে, ভিডিও কলের গুণমান উন্নত করার দিকেও নজর রয়েছে সংস্থার। এই নিয়েও কাজ চলছে। যে সব ইউজার হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাঁরা এই সব ফিচারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা পাবেন বলেও দাবি করেছে মার্ক জুকেরবার্গের সংস্থা। পাশাপাশি ইন্টারনেটের স্পিড কম হলেও যাতে ইউজারদের কল এবং ভয়েসে কোনও সমস্যা না হয় সেদিকেও নজর দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।