north bengal rain

Sikkim and North Bengal news: লাচুংয়ে আটকে ১২০০ ভারতীয় পর্যটক, রয়েছেন বিদেশিও, তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ

রকি চৌধুরী, জলপাইগুড়ি : ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে সিকিম এবং উত্তরবঙ্গ নিয়ে। নর্থ সিকিমে বেড়াতে গিয়ে আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক, রয়েছেন বিদেশি পর্যটকেরাও। সেই সঙ্গে তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধি নিয়েও চিন্তায় প্রশাসন।

সিকিম প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, লাচুংয়ে আটকে রয়েছে ১২০০ ভারতীয় পর্যটক। বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে রয়েছেন তাইল্যাণ্ড, নেপাল এবং বাংলাদেশের ১৫ জন পর্যটক। সিকিম প্রশাসন জানিয়েছে পর্যটকেরা সকলেই সুরক্ষিত আছেন, এমনকী খাবারও মজুত রয়েছে, তবে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নিষেধ করা হয়েছে। কালিম্পংয়ের জেলাশাসক বালাসুব্রহ্মণ্যম বলেন, “নর্থ সিকিমের মঙ্গনের জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। আটকে থাকা পর্যটকেরা সুরক্ষিত আছেন। রংপোয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিম সীমানায় ট্যুরিস্ট হেল্পডেস্ক খোলা হয়েছে। পর্যটকেরা সীমানায় পৌঁছলে কালিম্পং জেলা প্রশাসন পর্যটকদের উদ্ধার করে বাড়ি ফেরাতে প্রস্তুত”।

আরও পড়ুন: আচমকা বজ্রপাত! মর্মান্তিক ঘটনায় মুহূর্তে প্রাণ গেল বিএসএফ জওয়ানের

সেই সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে বাড়ছে তিস্তার জলস্তর। সমতলে মুষল ধারায় বৃষ্টির সঙ্গে সকাল ১০টায় তিস্তার বাঁধ থেকে ১৭৬৩.৪২ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে, ফলে জলস্তর বেড়েছে তিস্তা নদীর। বিপদের আশঙ্কায় জলপাইগুড়ি তিস্তা সেতু সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি বসাল পুলিশ। নদীতে নেমে কাঠ সংগ্রহ বন্ধ করতে নিশেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রতি বছর বর্ষায় পাহাড় এবং সমতলের জঙ্গল থেকে প্রচুর পরিমান কাঠ তিস্তা নদীতে ভেসে আসে।সেই কাঠ সংগ্রহ করতে নদীতে ঝাপিয়ে পড়েন তিস্তার পারের বাসিন্দারা। বিপজ্জনক এই প্রবনতা বন্ধ করতেই নজরদারি বসাল পুলিশ। সেই সঙ্গে তিস্তার জলস্তর বৃদ্ধির দিকে ক্রমাগত নজর রাখছে প্রশাসন, আপাতত বাংলা-সিকিম লাইফলাইন ১০ নং জাতীয় সড়ক দিয়ে পর্যটক এবং যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচল করছে।

সেই সঙ্গে টানা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের মনমহোনধুরা এলাকার দুই গ্রামের মাঝে থাকা সেতু। এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। অসুস্থ রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের।