হলদিয়া: আবারও হলদিয়া শিল্পাঞ্চল শহরে বিধ্বংসী আগুন। তবে এবার শিল্পাঞ্চল শহরের কোন কারখানায় নয়। শনিবার রাত্রে আগুন লাগল হলদিয়া বন্দরে। সম্প্রতি অতিতে বেশ কয়েকবার হলদিয়া শিল্পাঞ্চল শহরের বেশ কয়েকটি কারখানায় বড়সড় অগ্নিসংযোগ ঘটনা ঘটেছে। এবার কারখানায় নয়, হলদিয়া বন্দরে বড়সড় অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটল। আর অল্পের জোরে রক্ষা পেল বন্দর। জাহাজ থেকে পণ্য খালি করার সময়ই এই বড়সড়ো অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। আর তাতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় হলদিয়া বন্দর এলাকা জুড়ে।
১৫ জুন শনিবার রাতে হলদিয়া বন্দরে একটি স্বয়ংক্রিয় ক্রেনে আগুন লেগে আতঙ্ক ছড়াল। জাহাজ থেকে কয়লা খালাসের সময় ওই ঘটনা ঘটে। বন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাত ১০ টা নাগাদ বন্দরের ডক এরিয়াতে ২ নম্বর বার্থে একটি স্বয়ংক্রিয় মোবাইল হারবার ক্রেনে আগুন লাগে। এদিন সন্ধে ৬টা নাগাদ ইন্দোনেশিয়া থেকে কোকিং কোল নিয়ে আসে একটি বিদেশি জাহাজ। পারাদীপ বন্দরে কিছুটা কয়লা নামিয়ে হলদিয়া এসেছিল জাহাজটি। জাহাজে প্রায় ৩৭ হাজার টন কয়লা ছিল।
হলদিয়া বন্দরে দুই নম্বর বার্থে জাহাজ আসার পর রাত ৮ টা ১০ নাগাদ কয়লা নামানোর কাজ শুরু করে। হঠাৎই ক্রেনের অপারেটর সেন্সর দেখে বুঝতে পারেন ক্রেনে আগুন লেগেছে। চার তলা সমান উঁচু ট্রেনের কেবিন থেকে দ্রুত নেমে আছেন ওই ক্রেন অপারেটর। নেমে আসার কয়েক মুহূর্ত পরই দাউ দাউ করে জ্বলতে শুরু করে ক্রেন। বন্দরের হ্যান্ডেলিং এজেন্সি রিপ্লের কর্মী কার্তিক অধিকারী বলেন, চোখের সামনেই দাউ দাউ করে জ্বলে গিয়েছে ক্রেন। বন্দর ও দমকল বিভাগের ৬ টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় ঘণ্টা দেড়েক পর আগুন আয়ত্বে আসে। তবে বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছেন ক্রেন অপারেটর। সেন্সর ঠিকমতো বুঝতে না পারলে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটত।
জাহাজ থেকে কয়লা খালি করার সময় ক্রেনে আগুন লাগে। দমকলের ছটি ইঞ্জিন দ্রুতই আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। না হলে কয়লা ভর্তি ওই বাড়তে আরো বড়সড়ো অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটতো বলে মনে করছেন হলদিয়া বন্দরের বিভিন্ন শ্রমিক থেকে আধিকারিকেরা। বলা ভালো অল্পের জোরে রক্ষা পেল হলদিয়া বন্দর।
সৈকত শী