আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে রেকর্ড বৃষ্টি। আলিপুরদুয়ার থেকে ফালাকাটা যোগোযোগ বন্ধ। চর তোর্ষা ডাইভারশনের উপর দিয়ে জল বইছে। দু’ধারে আটকে রয়েছে বহু গাড়ি। জল কমার অপেক্ষায় বহু মানুষ। আজ, রবিবার দুপুর নাগাদ ঘটে এই ঘটনা।
অপরদিকে সঞ্জয় নদীর ডাইভারশন ভেঙে গিয়েছে। তার উপর দিয়ে জল বইছে। লাগাতার বর্ষণে আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ারে ২৩০.২০ মিলিমিটার, হাসিমারাতে ২৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
একদিকে ভুটান পাহাড়ে অবিরাম বৃষ্টিপাত, পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারে অতি বর্ষণে বিপর্যস্ত জনজীবন। আলিপুরদুয়ার পুরসভার দ্বীপচর, ১৮,১৫,৮,৯, ৫ নম্বর ওয়ার্ডগুলিতে জল জমে গিয়েছে। বিপর্যস্ত অবস্থা দ্বীপচর এবং ১৫ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। প্রচুর বাড়ি জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আলিপুরদুয়ারে কালজানি-সহ অন্যান্য নদীগুলিতে জল বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘খাবার নেই, নেটওয়ার্ক নেই, বাড়ি ফেরান দ্রুত…’ পর্যটকদের কাতর আর্তি! সিকিমের লাচুংয়ে প্রবল আতঙ্ক!
ইতিমধ্যে সেচ দফতর থেকে আলিপুরদুয়ারে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের নোনাই নদীর বাঁধ অতিবর্ষনে ভেঙে পড়েছে। নদীর জল যে হারে বাড়ছে, তাতে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। আলিপুরদুয়ার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান মাম্পি অধিকারী বলেন, ‘‘বৃষ্টিতে নোনাই বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। সেচ দফতরকে বলা হয়েছে। জানানো হয়েছে মহকুমা প্রশাসনকেও।’’ অবিলম্বে ওই এলাকার বাঁধ মেরামতির দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ পরিদর্শনও করেছেন। আলিপুরদুয়ার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থপ্রতিম মণ্ডল বলেন, ‘‘কালজানি নদীর জল বাড়ছে। এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩০০টি পরিবার। ফ্লাড সেন্টার খোলা হয়েছে। নদীতে জল বাড়লে বাসিন্দাদের সরিয়ে আনা হবে। সতর্ক রয়েছে সেচ দফতর। ঘণ্টায় ঘণ্টায় জলের পরিমাপ নেওয়া হচ্ছে।’’
অনন্যা দে