ব্যবসা-বাণিজ্য ৪৫ বছর বয়সে ৩০ হাজার টাকার মাসে SIP করেছেন? ৫ বছর পর কত টাকা পাবেন ? Gallery June 17, 2024 Bangla Digital Desk SIP বর্তমানে মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। নির্দিষ্ট সময় অন্তর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা করতে হয়। মেয়াদ শেষে মেলে মোটা রিটার্ন। তবে এসআইপি-র মাধ্যমে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ বাজারের ওঠানামার সঙ্গে যুক্ত। রিটার্নের কোনও গ্যারান্টি নেই। এখন ধরা যাক, ৪৫ বছর বয়সী ব্যক্তি বিভিন্ন ফান্ডে প্রতি মাসে ৩০ হাজার টাকার এসআইপি করেছেন। পাঁচ বছর বাদে তিনি কত টাকা রিটার্ন পাবেন। জমি বা ফ্ল্যাট কেনার জন্য কোন ফান্ডে এসআইপি করলে সবচেয়ে বেশি লাভ মিলতে পারে? আর্থিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসআইপি থেকে ভবিষ্যতে কেমন রিটার্ন মিলবে সেটা ফান্ডের বাজার পারফরম্যান্সের উপর নির্ভর করে। সাধারণত দীর্ঘমেয়াদে ইক্যুটি ফান্ডে ১০ থেকে ১৫ শতাংশের বার্ষিক রিটার্ন পাওয়া যায়। পাঁচ বছর মেয়াদে মাঝারি রিটার্ন আশা করতে পারেন বিনিয়োগকারী। হিসেব অনুযায়ী, ৩০০০০ টাকা মাসে এসআইপি-তে বিনিয়োগ করলে আপনার মোট বিনিয়োগ হবে ১৮ লাখ টাকা ৷ ১২ শতাংশ সুদ হিসেবে সুদ পেলে আপনি সুদ হিসেবে পাবেন ৬,৭৪,৫৯১ টাকা ৷ অর্থাৎ মোট হিসেবে আপনি পেয়ে যাবেন ২৪ লাখ টাকারও বেশি ৷ পেশাদার ফান্ড ম্যানেজারদের দ্বারা পরিচালিত ফান্ড বাজারকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে ইনডেক্স ফান্ডে সেই সুযোগ নেই। সক্রিয়ভাবে পরিচালিত ফান্ড বাজারের অবস্থার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়। উচ্চতর রিটার্ন দেয়। সক্রিয় ব্যবস্থাপনাই এসআইপি বিনিয়োগের বৃদ্ধিকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারে। ইনডেক্স ফান্ড বাজার সূচকগুলি ট্র্যাক করে এবং গড় রিটার্ন দেয়। বাজার পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে না। বাজার অস্থির হলে ঝুঁকি থেকে যায়। এর বিপরীতে রেগুলার ফান্ড দেখভাল করে পেশাদাররা। বিনিয়োগের জটিল ল্যান্ডস্কেপ বুঝতে সাহায্য করে। আর্থিক লক্ষ্য এবং ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতার সঙ্গে মিলে সম্ভাব্য রিটার্ন বাড়ায়। পাশাপাশি বিভিন্ন সম্পদ শ্রেণীতে এসআইপি বিনিয়োগকে ছড়িয়ে দেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ইক্যুইটিতে রিটার্ন বেশি পাওয়া যায়, ডেট ফান্ডে স্থিতিশীলতা। বৈচিত্রের কারণে ঝুঁকি কমে, সুষম বৃদ্ধি নিশ্চিত হয়। বৈচিত্রপূর্ণ পোর্টফোলিও বাজারের ওঠানামা সহ্য করে সামগ্রিক আয় বাড়াতে সাহায্য করে। কর সাশ্রয়ী মাধ্যমেও বিনিয়োগ করতে হবে। ইক্যুইটি-লিঙ্কড সেভিংস স্কিম (ইএলএসএস) এবং পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ) এর মতো কর-সঞ্চয়ী উপকরণ ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। বিনিয়োগের উপর ট্যাক্সের প্রভাব বুঝলে ভবিষ্যতের লক্ষ্যগুলোর জন্য সঞ্চয়কে অপ্টিমাইজ করতে সাহায্য করবে।