Bengal BJP: ডাহা ‘ফেল’! মানুষের মন বুঝতে ‘ব্যর্থ’, ভোট বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে এই তথ্যই উঠে এল বিজেপির বৈঠকে

কলকাতা: মানুষের মন বুঝতে ব্যর্থ! সমস্ত ক্ষেত্রের সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণেই লোকসভা ভোটে লক্ষ্যপূরণে ডাহা ‘ফেল’ বিজেপি! ভোটে পদ্মের বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে প্রথম পর্যালোচনা বৈঠকে এমনটাই মত প্রকাশ করলেন বিভিন্ন জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সাংগঠনিক নেতারা৷ তেমনটাই খবর বিজেপি সূত্রের। সোমবার লোকসভা ভোটের পর প্রথমবার বিপর্যয়ের কাঁটাছেড়ায় বৈঠকে বসে বঙ্গ বিজেপি।

এদিনের বৈঠকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার টানা কয়েক ঘণ্টা বৈঠকে হাজির থাকলেও উত্তরবঙ্গের ট্রেন দুর্ঘটনার কারণে বৈঠক থেকে বেরিয়ে উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেন। বিজেপির সল্টলেক কার্যালয়ে সোমবার পর্যালোচনা বৈঠকে বসে বঙ্গ পদ্ম শিবির। বুথ স্তরে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। হেরে যাওয়া কেন্দ্রগুলিতে পরাজিত প্রার্থীদের পাশাপাশি সাংগঠনিক নেতাদের নিবিড় জনসংযোগের পক্ষে সওয়াল করে সমন্বয় বাড়ানোর কথাও উঠে আসে এদিনের সাংগঠনিক বৈঠকে বলে খবর।

আরও পড়ুন : উত্তরবঙ্গ যাওয়ার আগে হঠাৎ করেই অভিষেকের বাড়িতে হাজির মমতা! প্রায় আধ ঘণ্টা চলল বৈঠক…

বিজেপি সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে ভরাডুবির অন্যতম কারণ হিসেবে রাজ্য থেকে জেলা, জেলা থেকে ব্লক, ব্লক থেকে বুথে নেতৃত্বের মধ্যে সমন্বয়ের অভাবকেও দায়ী করা হয় এদিনের বৈঠকে। বলাবাহুল্য, এ রাজ্যে বিজেপির সংগঠন নড়বড়ে বলে বারবারই পদ্ম শিবিরের অন্দরেই নানান নেতা বলে থাকেন। বিশেষ করে বুথ স্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে বারবারই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে রাজ্য বিজেপিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়ে থাকে।

লোকসভা ভোটের আগেও বুথ স্তরের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে একাধিকবার বুথ সশক্তিকরণ অভিযানে নামে বঙ্গ পদ্ম শিবির। কিন্তু ভোট মিটটেই ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই বিপর্যয়ের কারণ অনুসন্ধানে নানান নেতা নানান যুক্তি সামনে আনলেও লোকসভা ভোট মিটটেই প্রথমবার পর্যালোচনা বৈঠকে বসে ভরাডুবির কারণ হিসেবে সাংগঠনিক দুর্বলতাকেই প্রথম কারণ হিসেবে তুলে ধরলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির সাংগঠনিক নেতৃত্ব।

আরও পড়ুন : ‘এটা আরও মারাত্মক হতে পারত,’ উদ্বেগপ্রকাশ করে উত্তরবঙ্গের পথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা

সেই সঙ্গে সমন্বয়ের অভাবও বিপর্যয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে সাংগঠনিক বৈঠকে উঠে এল বলে সূত্রের খবর। বিজেপির এক নেতার কথায়, ‘‘শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরি হলেও, মানুষ বিজেপিকে বিকল্প হিসেবে মনে করলেও এটা বাস্তব যে, আমরা মানুষের মন বুঝে উঠতে পারিনি। সেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছতে পারিনি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। তবে আগামী দিনে ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষের সমর্থন নিয়েই আমরা আমাদের লক্ষ্যপূরণ করব।’’

এ রাজ্যের ৪২ টি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে লোকসভা ভোটের ময়দানে নেমেছিল গেরুয়া শিবির। সেই লক্ষ্যমাত্রার ধারে কাছে পৌঁছনো তো যাইনি উল্টে গতবারের আঠারোটি আসনও ধরে রাখতে পারেনি বিজেপি। রাজ্য বিজেপির তরফে ফলাফল বিপর্যয়ের পর্যালোচনা বৈঠকে ভরাডুমির কারণ হিসেবে বেশ কয়েকটি বিষয় বৈঠকে উঠে এলেও মূলত নড়বড়ে সংগঠনই যে ‘ডোবাল’ বিজেপিকে এ ব্যাপারে ঐকমত্য সিংহভাগ পদ্ম নেতারাই বলে খবর।