দক্ষিণবঙ্গ, পূর্ব মেদিনীপুর Ilish: অপেক্ষার দিন শেষ! এবারে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মিলবে শহর-গ্রামের বাজারে, ওজন কত? দাম কত হবে? Gallery June 18, 2024 Bangla Digital Desk *ইলিশ নিয়ে বছরভর আর অপেক্ষার দিন নয়! গ্রাম বাংলার পুকুরেই হচ্ছে ইলিশ চাষ। শুধুমাত্র ইলিশের জন্য আর বর্ষাকালের অপেক্ষা নয়। সব ঋতুতেই পাওয়া যাবে ইলিশ। আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিসারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিফরি) তত্ত্বাবধানে শুরু হয়েছে আবদ্ধ জলে ইলিশ মাছের চাষ। আর তাতেই আশানুরূপ সফল হয়েছে। এক একটি ইলিশের ওজন হয়েছে প্রায় ৭০০ গ্রাম। সারা বছর যদি পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে দামও আসবে মধ্যবিত্তের হাতের নাগালে, এমনই অনুমান। প্রতিবেদনঃ সৈকত শী। ফাইল ছবি। *ইলিশ মাছ নিয়ে মৎস্য বিজ্ঞানীদের দীর্ঘদিনের গবেষণা অবশেষে সফল হল। ইলিশ মাছ উৎপাদনের সঠিক সমীকরণ বের করতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। অ্যাকোয়া কালচারের মাধ্যমে ইলিশ মাছের উৎপাদন শুরু শুধু সময়ের অপেক্ষা। ফাইল ছবি। *মাছে-ভাতে বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় মাছ ইলিশ। ইলিশের নাম গন্ধ ও স্বাদের ভোজন রসিক বাঙালির দুর্বলতা নতুন করে বলার নয়। তবে এতদিন পর্যন্ত ইলিশ মাছের জন্য নদী ও সমুদ্রের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হত। এবার সেই দিন শেষ। ফাইল ছবি। *এবার ইলিশের উৎপাদন হবে আবদ্ধ পুকুরে। গবেষণা চালিয়ে রীতিমতো সফল হলেন মৎস্য বিজ্ঞানীরা। কোলাঘাট ব্লকের জামিট্যা এলাকায় পরীক্ষামূলকভাবে ইলিশ মাছ চাষ শুরু করে সিফরি। আর তাতেই মিলেছে অভাবনীয় সাফল্য। ফাইল ছবি। *পুকুর ইলিশ মাছের খাদ্য হিসাবে জু প্লাংটন ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে প্রিয় মাছ ইলিশের জন্য ভোজন রসিক বাঙালিদের আর বর্ষাকালের অপেক্ষা করতে হবে না, যে কোনও ঋতুতে পুকুর থেকেই পাওয়া যাবে ইলিশ মাছ।ফাইল ছবি। *পুকুরের আবদ্ধ জলে ইলিশ চাষ নিয়ে আইসিএআর-সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিসারিজ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর ডক্টর বসন্ত কুমার দাস জানান, পুকুরের জলে ইলিশ মাছ নিয়ে আমাদের গবেষণামূলক প্রকল্প চলছে। আর সেই প্রকল্প অনেকটাই সাফল্য লাভ করেছে। মাত্র ৩৬ মাসে একটি ইলিশের ওজন হয়েছে প্রায় ৭০০ গ্রাম। নদী থেকে ইলিশের বাচ্চা নিয়ে এসে পুকুরে প্রতিপালন করা হয়েছে। শুধু ইলিশ প্রতিপালন নয়। ইলিশের প্রজনন ঘটিয়ে ইলিশ উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্য।” ফাইল ছবি। *কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থার দাবি, পুকুরের জলের ইলিশ মাছ চাষ ও মাছের প্রজনন ঘটানো অনেকটাই সফল। ইলিশ মাছ অত্যন্ত ধীরে ধীরে বড় হয়। ফলে সময় লাগে। সেই জায়গায় পুকুরের ইলিশ প্রায় তিন বছরের মধ্যেই ভাল বৃদ্ধি পেয়েছে। ফাইল ছবি। *এই সময় সমুদ্র এবং নদীতেও একটি ইলিশের ওজন এত গ্রাম হয় না। তাই ইলিশ নিয়ে গবেষণামূলক এই সফলতা একটি নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছে নতুন রেকর্ড। দিন দিন নদী ও সমুদ্রে ইলিশের পরিমাণ কমছে। পুকুরের জলে ইলিশের চাষ ও প্রজননের মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে আইসিএআর-এনএএসএফ প্রকল্পে সিফরি কর্তৃপক্ষ রাজ্যের তিন জায়গায় পুকুরে ইলিশ চাষ শুরু করেছে। আগামী দিনে বাঙালির প্রিয় মাছ ইলিশের জন্য শুধুমাত্র বর্ষাকালের অপেক্ষা করতে হবে না। ফাইল ছবি।