ছবি ব্যবসায় সাফল্য আসবে নাকি ব্যর্থতা, এর কোনও নিশ্চয়তা নেই। কারণ দারুণ কাস্ট, প্রচুর খরচ করার পরেও ছবি মুখ থুবড়ে পড়তে পারে বক্স অফিসে। আবার কম বাজেটের ছবি দারুণ ফল করতে পারে।কোনও সূত্রই সবসময়ের জন্য কার্যকরী নয়। শাহরুখ বা অক্ষয়, রজনীকান্ত বা অমিতাভ বচ্চন, বলিউডে কোনও অভিনেতারই ১০০% সাফল্যের হার নেই, তবে কেবল একজন পরিচালক অলৌকিকভাবে এর ব্যতিক্রম তৈরি করেছেন।এমনকি যশ চোপড়া এবং মনমোহন দেশাইয়ের মতো কিংবদন্তিরাও ব্যর্থ হয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু এই পরিচালক দীর্ঘ পেশাগত জীবনে ফ্লপ এড়িয়ে গিয়েছেন আজ পর্যন্ত।২০ বছর ধরে ফিচার ফিল্ম পরিচালনা করছেন এবং শুধুমাত্র হিট-ই দিয়েছেন। তিনি রাজকুমার হিরানি। ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’, ‘লাগে রাহো মুন্নাভাই’, ‘৩ ইডিয়টস’, ‘পিকে’, ‘সঞ্জু’, ‘ডানকি’র মতো ছবিগুলি বক্স অফিসে দারুণ সাফল্য পেয়েছে।এই ৬টির মধ্যে চারটি বিশ্বব্যাপী ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছে। দু’টি ছিল সেই সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি। এই ছবিগুলির সম্মিলিত বিশ্বব্যাপী আয় ২৪০৯ কোটি টাকা। যে কোনও বলিউড পরিচালকের জন্য এটিই সর্বোচ্চ আয়ের অঙ্ক।তিনি রাজকুমার হিরানি। প্রথম ছবি ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’ সুপারহিট ছিল। ১০ কোটি টাকা বাজেটে সঞ্জয় দত্তের মতো ম্লান হয়ে যাওয়া তারকাকে নিয়ে ছবিটি বানিয়েছিলেন। ১০ কোটি টাকার ছবি আয় করেছিল ৫০ কোটি টাকা।তারপর আমির খানের সঙ্গে দু’টি ছবি বানিয়ে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে যান রাজকুমার। ‘৩ ইডিয়টস’ এবং ‘পিকে’-তে দু’টি সর্বকালের ব্লকবাস্টার উপহার দেন পরিচালক। রণবীর কাপুরকে তাঁর প্রথম ব্লকবাস্টার পাইয়ে দেন ‘সঞ্জু’র হাত ধরে। উপহার দেন।এবং অবশেষে বলিউড কিং শাহরুখ খানের সঙ্গে তাঁর শেষতম ছবি ‘ডানকি’। এই ছবিটি এমন সময় বানালেন, যেই সময় নিজেকে পরিচালনার জগতে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার যাত্রা শুরু করেছেন হিরানি। এটিও বড় হিট। রাজকুমার হিরানি এখন পর্যন্ত বক্স অফিসে ব্যর্থতা এড়াতে সক্ষম হয়েছেন।
