Indian Railway: রাঙাপানি দুর্ঘটনার জের! এবার সিগনালিং ব্যবস্থা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করতে চলেছে রেল

উত্তরবঙ্গ: রাঙাপানি ট্রেন দুর্ঘটনার জের। ট্রেন নিয়ন্ত্রণ প্রয়োগের বিষয়ে এবার শুরু নয়া ভাবনাচিন্তা। সূত্রের খবর, রেলে অটোমেটিক সিগন্যাল সমস্যা থাকলে, ট্রেন নিয়ন্ত্রণ করা বা চালানোর সময় যে ফর্ম দেওয়া হয়, তা সহজ ও বোধগম্য করার ভাবনাচিন্তা শুরু করল রেল। রাঙাপানি দুর্ঘটনার পরেই হয়ে গেল রেলের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। জানা গিয়েছে, সমস্ত জেনারেল ম্যানেজারদের সাথে বৈঠকে এই আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর, CCRS –ই এই বিষয়ে তাঁর রিপোর্টে আলোকপাত করছেন।

জানা গিয়েছে, রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালককে পেপারলাইন ক্লিয়ারেন্স টিকিট দিয়েছিলেন ৮:২০ মিনিটে। তারপরে সেই ট্রেন রাঙাপানি স্টেশন থেকে ছেড়ে এগোয় ৮:২৭ মিনিটে।

রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশন মাস্টার পণ্যবাহী ট্রেনকে পেপার লাইন ক্লিয়ারেন্স দেন ৮:৩৫ মিনিটে। পণ্যবাহী ট্রেনের চালক সেই কাগজ নিয়ে ট্রেন রওনা করেন ৮:৪২ মিনিটে। রাঙাপানি স্টেশন থেকে চটেরহাট স্টেশন অবধি ন’টি সিগন্যাল পোস্টের জন্য ট্রেনকে এই কাগজ নিয়ে চলার অনুমতি দেন রাঙাপানির স্টেশন মাস্টার।

আরও পড়ুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু! বুধবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ, ঠিক কী ঘটেছিল সেই দিন?

এই দুর্ঘটনার তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হল অটোমেটিক সিগন্যাল ৬৫৪, ৬৫২, ৬৫০ নম্বর পোস্ট। এর মধ্যে রাঙাপানি স্টেশন ছাড়ার পরেই ৬৫৪ নম্বর সিগন্যাল পোস্ট। এর পরেই আছে লেভেল ক্রসিং।

সেই লেভেল ক্রসিংয়ের পরেই রয়েছে ৬৫২ নম্বর সিগন্যাল পোস্ট। তারপর রয়েছে ৬৫০ নম্বর সিগন্যাল পোস্ট। এর পরে ফের আর একটা লেভেল ক্রসিং। সেটা পেরোলেই ৬৪৮ নম্বর সিগন্যাল পোস্ট।

সোমবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে ৬৫২ নম্বর ও ৬৫০ নম্বর সিগন্যাল পোস্টের মাঝে।

আরও পড়ুন: আপনার পাতে কি বার বার চুল পড়ে? জানেন এটা কিসের ইঙ্গিত…গোটা বিষয়টা জানালেন জ্যোতিষ বিশেষজ্ঞ

প্রাথমিক ভাবে তদন্তে উঠে এসেছে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের গতি নিয়ন্ত্রিত ছিল। অর্থাৎ ১৫ কিমি প্রতি ঘণ্টায়। এর সাথেই লেভেল ক্রসিং দেখে ট্রেন দাঁড় করিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল চটেরহাটের দিকে। প্রথম লেভেল ক্রসিং পেরিয়ে দ্বিতীয় লেভেল ক্রসিংয়ের আগে ট্রেন এগোলেও গতি ভীষণ কম করে রাখা হয়েছিল।

এই কারণে ৮:২৭ মিনিটে ছাড়া কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাস্থলে ছিল ৮:৫৫ মিনিটে।

অন্যদিকে, মালগাড়ির চালক তার পেপার লাইন ক্লিয়ারেন্স দেখে নিয়ে ট্রেন চালিয়েছে। কপিবুক গতিতে ট্রেন ছুটেছে। সেক্ষেত্রে লেভেল ক্রসিং যা ৬৫৪ আর ৬৫২ নম্বরের মাঝে আছে, সেখানের পরিস্থিতি কী ছিল তা-ই জানার।