ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল ও উপকারী। নিয়মিত ফল খেলে শরীরে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়া যায়। সেজন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার জন্যেই নিয়ম করে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন।নানা ধরনের ফল পাওয়া যায় বাজারে। কোনও ফলে রয়েছে প্রভূত আয়রন, তো কোনওটি সমৃদ্ধ ভিটামিনে। কিন্তু আপনি কি জানেন পৃথিবীতে প্রথম কোন ফলের জন্ম হয়েছিল..? আজ আমরা সেই সম্পর্কেই বিস্তারিত জানব এই প্রতিবেদনে।আম, আপেল, আঙুর, কলা, পেঁপে… অনেক ধরনের ফল বাজারে দেখতে পাওয়া যায়। এর প্রত্যেকটির নিজস্ব বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চিকিৎসকরাও বলছেন, প্রকৃতির দেওয়া এসব ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।কিন্তু আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে পৃথিবীতে প্রথম কোন ফলের জন্ম হয়েছিল? আপনি যদি কাউকে জিজ্ঞাসা করেন যে পৃথিবীতে প্রথম ফল কী জন্মেছিল?দেখবেন বেশির ভাগ মানুষই জানেন না উত্তর। যদিও ইন্টারনেটে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এশিয়ার বনাঞ্চলে প্রথম যে ফলটির জন্ম হয়েছিল তা ছিল কলা।বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করার জন্য নানা গবেষণা করেছেন। তবে এই নিয়ে যাবতীয় মতামতকে একপাশে রেখে, যদি আমরা জানার চেষ্টা করি ফল হিসেবে ‘কলা’র জন্ম ঠিক কী ভাবে হয়, তাহলে দেখা যাচ্ছে বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, ৫০ শতাংশ প্রমাণ রয়েছে যা নির্দেশ করে যে এটিই পৃথিবীতে জন্মানো প্রথম ফল।কারণ, সাধারণত আমরা যে বীজ খাই এবং ফেলে দিই তা উদ্ভিদে পরিণত হয় এবং তা থেকে জন্মায় ফল। কলা ১০,০০০ বছর আগে উদ্ভূত বলে বিশ্বাস করা হয় এবং বিজ্ঞানীদের একাংশ তাঁদের গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্তে এসেছেন যে এটি বিশ্বের প্রথম ফল হতে পারে।মালয় উপদ্বীপ, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং নিউ গিনি অন্তর্ভুক্ত অঞ্চলে প্রথম কলা জন্মায় বলে মনে করা হয়। তবে এই নিয়ে এখনও গবেষণা চলছে। উদ্যানতত্ত্ব গবেষকদের মতে, কলা সম্ভবত পৃথিবীতে পাওয়া প্রথম ফল। যদিও এখনও পৃথিবীতে পাওয়া প্রথম ফলের সঠিক পরিচয় নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।অন্যদিকে ভারতীয় ঐতিহ্য অনুসারে, কলাকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে সেরা নৈবেদ্য বলা হয়। কারণ এই ফলকে বলা হয় সেই বিশেষ ফল যা স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠা উদ্ভিদ থেকে জন্মিয়েছে। তদুপরি, বিশেষজ্ঞদের মতে, পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, কলাই পৃথিবীতে প্রথম আবির্ভূত ফল।অস্বীকৃতি: আমাদের এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্য প্রদানের জন্য। এই সংক্রান্ত আরও তথ্যের জন্য এবং চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের আগে অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞের বা আপনার ব্যক্তিগত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
