এসি আশীর্বাদ না অভিশাপ? বিজ্ঞানীদের বড় দাবি, শুনলে মাথায় হাত দেবেন

কলকাতা: এবার ভারতে গ্রীষ্মের তাপ আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি তীব্র। প্রখর সূর্যের তাপ অস্থির করে তুলেছে মানুষকে । প্রচণ্ড গরম এড়াতে অনেকেই বাড়ি এবং অফিসে এয়ার কন্ডিশনারের আশ্রয় নিয়েছেন। এমনকী গাড়িতেও এসির হাওয়া যেন স্বস্তি দিচ্ছে!

শহর হোক বা গ্রাম, আজকাল এই প্রচণ্ড গরমে সব জায়গায় এসি পাওয়া যাচ্ছে। গোটা দেশে এসির বিক্রি ব্যপক হারে বেড়েছে। কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনের মতে, বর্তমানে ভারতে প্রতি ১০০টির মধ্যে মাত্র ৮টি বাড়িতে এসি রয়েছে। কিন্তু এই সংখ্যা খুব দ্রুত বাড়ছে।

আরও পড়ুন- মহম্মদ শামি-সানিয়া মির্জার কি সত্যি বিয়ে? সানিয়ার বাবা যা বললেন, চমকে যাবেন

গরম বাড়ার সাথে সাথে এসির চাহিদাও বেড়েছে। বাড়ি ও অফিস তো এসির জন্য ঠান্ডা হচ্ছে। কিন্তু এই এসি পৃথিবীকে আরও উষ্ণ করে দিচ্ছে। এসি থেকে যে গ্যাস বের হয়, তা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।

হাইড্রো ফ্লুরোকার্বন অর্থাৎ এইচএফসি হল কুল্যান্টে ব্যবহৃত রাসায়নিক গ্যাস। এসি থেকে নির্গত এই গ্যাস ওজোন স্তরের ক্ষতি করে।

এসির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে। একটানা এসি চলার কারণে ট্রান্সফরমারের লোডও বেড়েছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখনও কিছু দেশে কয়লা ব্যবহার করা হয়। সেই কারণে দূষণও বাড়ছে। গত ২৫ বছরে বিশ্বের তাপমাত্রা ০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে, যার একটি অন্যতম কারণ হল এসি।

আরও পড়ুন- এসি বারবার ON,OFF করলে কী হয়? কতক্ষণ চালিয়ে বন্ধ করবেন AC, অনেকেই জানেন না

এসির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং তাদের ২৪ ঘন্টা চলার কারণে বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে। বর্তমানে বিল্ডিংগুলিতে ব্যবহৃত প্রায় ২০% বিদ্যুৎ শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের কারণে হয়। এটি বিশ্বব্যাপী বিদ্যুৎ ব্যবহারের ১০%।

এসি থেকে গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনও বেড়েছে। মানুষ নিজের স্বাচ্ছন্দ্যের জন্য প্রকৃতির ক্ষতি করে আগেও অনেক আবিষ্কার করেছে। তবে এয়ার কন্ডিশনার কোনও শব্দ ছাড়াই প্রকৃতির বড় ক্ষতি করে চলেছে।