উত্তরবঙ্গ: লোকসভা নির্বাচনে চা বলয়ে তিন আসনে হার হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। ২০১৯ সালেও তিন আসনে হেরেছিল তৃণমূল। তবে, ২০২৪ সালে হার হলেও ব্যবধান অনেক কমিয়ে এনেছে বাংলার শাসকদল। আর এর কারণ হিসাবে চা বলয়ে লাগাতার প্রচার চালিয়ে হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টাকেই কারণ হিসাবে দেখছে ঘাসফুল শিবির।
চা বাগানে ডুয়ার্সের ৪৮৩ বুথে তৃণমূল কংগ্রেস জয় পেয়েছে ২৪৪ বুথে। দার্জিলিং সমতলে ৭১ বুথের মধ্যে ৩৮ বুথে তৃণমূল কংগ্রেস জয় পেয়েছে। যে যে বিধানসভার চা বাগানে তৃণমূলের ফুল ফুটেছে, তা হল কুমারগ্রাম, আলিপুরদুয়ার, মাদারিহাট, ফালাকাটা, মাল, নাগরাকাটা, ফাঁসিদেওয়া ও মাটিগাড়া-নকশালবাড়িতে।
তৃণমূল মনে করছে এর পিছনে একাধিক কারণ কাজ করেছে৷-
১) চা বাগানে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার।
২) চা বাগানের বাসিন্দাদের পাট্টা প্রদান।
৩) চা সুন্দরী প্রকল্পের বাড়ি।
৪) লাগাতার চা বাগানে রাজনৈতিক সভা, সমিতি।
৫) নবজোয়ারের আদলে শ্রমিক সংগঠনের চা বাগানে রাত্রিবাস
চা বাগানে সংগঠন বৃদ্ধির লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ঋতব্রত বন্দোপাধ্যায় দায়িত্বে ছিলেন। তিনি জানাচ্ছেন, ‘‘শুধু বিভিন্ন বুথে লিড নয়। যে বুথে হেরেছি, সেখানেও ব্যবধান ভীষণ কম রয়েছে। সামনে মাদারিহাট বিধানসভার উপনির্বাচন আছে। আশা করা যায় সেখানে ফল ভাল হবে।’’
পরিসংখ্যান বলছে, নাগরাকাটা বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেস জিতে আছে ২০২৪-এর ফলের প্রেক্ষিতে। এছাড়া, চা বাগান অধ্যুষিত বিধানসভায় ২০২১ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে ব্যবধান অনেক কমেছে।