How To Become Crorepati: বৃদ্ধ বয়সে হাত পাততে হবে না, মাত্র ২০০০ টাকা বিনিয়োগই মিলবে ৩ কোটি টাকারও বেশি

অবসর জীবন সবার পক্ষে যে সুখের হবেই, তার কোনও মানে নেই। বিশেষ করে যাঁরা প্রাইভেট সংস্থায় কাজ করেন, তাঁদের তো সঞ্চয়ের চিন্তা থেকেই যায়। ফলে, বৃদ্ধ বয়স যদি নির্ঝঞ্ঝাটে কাটাতে হয়, হাতে একটা ঠিকঠাক পরিমাণ টাকা থাকা দরকার।
অবসর জীবন সবার পক্ষে যে সুখের হবেই, তার কোনও মানে নেই। বিশেষ করে যাঁরা প্রাইভেট সংস্থায় কাজ করেন, তাঁদের তো সঞ্চয়ের চিন্তা থেকেই যায়। ফলে, বৃদ্ধ বয়স যদি নির্ঝঞ্ঝাটে কাটাতে হয়, হাতে একটা ঠিকঠাক পরিমাণ টাকা থাকা দরকার।
তাহলে অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হয় না। কত টাকা, সেটা একেকজনের ক্ষেত্রে হিসেব একেকরকম হবে। তবে, কোটি টাকার তহবিল গড়ে তুলতে পারলে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন সকলেই। কীভাবে, সেই হিসেব দেখে নেওয়া যাক।
তাহলে অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হয় না। কত টাকা, সেটা একেকজনের ক্ষেত্রে হিসেব একেকরকম হবে। তবে, কোটি টাকার তহবিল গড়ে তুলতে পারলে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন সকলেই। কীভাবে, সেই হিসেব দেখে নেওয়া যাক।
এক্ষেত্রে আমাদের কাজে আসবে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান, সংক্ষেপে এসআইপি। বিনিয়োগের এই মাধ্যম বাজার-সংযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে, ঠিক যেমন এখানে লাগালে টাকার পরিমাণও বাড়তে থাকে। কেন না, এখানে পাওয়া যায় চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের সুবিধা।
এক্ষেত্রে আমাদের কাজে আসবে সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান, সংক্ষেপে এসআইপি। বিনিয়োগের এই মাধ্যম বাজার-সংযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়ে চলেছে, ঠিক যেমন এখানে লাগালে টাকার পরিমাণও বাড়তে থাকে। কেন না, এখানে পাওয়া যায় চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের সুবিধা।
এসআইপির গড় রিটার্ন ১২ শতাংশ ধরে নেওয়া হয়। এই হিসেব ধরে এগোলে মাত্র ২০০০ টাকার বিনিয়োগ কীভাবে ৩ কোটি টাকারও বেশি তহবিল গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে, হিসেব না দেখলে অবিশ্বাস্য মনে তো হবেই।
এসআইপির গড় রিটার্ন ১২ শতাংশ ধরে নেওয়া হয়। এই হিসেব ধরে এগোলে মাত্র ২০০০ টাকার বিনিয়োগ কীভাবে ৩ কোটি টাকারও বেশি তহবিল গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে, হিসেব না দেখলে অবিশ্বাস্য মনে তো হবেই।
ধরা যাক, বিনিয়োকারী তাঁর ২৫ বছর বয়সে ২০০০ টাকার একটি এসআইপি শুরু করলেন। শুরু করার পরে, তাঁকে পুরো এক বছরের জন্য এই অ্যাকাউন্টে মাত্র ২০০০ টাকাই জমা করতে হবে, তার বেশি নয়। যদিও পরের বছর ২০০০ টাকার ১০ শতাংশ অর্থাৎ ২০০ টাকা বাড়াতে হবে। এটা এমন কিছু কঠিন ব্যাপার নয়।
ধরা যাক, বিনিয়োকারী তাঁর ২৫ বছর বয়সে ২০০০ টাকার একটি এসআইপি শুরু করলেন। শুরু করার পরে, তাঁকে পুরো এক বছরের জন্য এই অ্যাকাউন্টে মাত্র ২০০০ টাকাই জমা করতে হবে, তার বেশি নয়। যদিও পরের বছর ২০০০ টাকার ১০ শতাংশ অর্থাৎ ২০০ টাকা বাড়াতে হবে। এটা এমন কিছু কঠিন ব্যাপার নয়।
এই ভাবে, পরের বছর এই এসআইপি হবে ২২০০ টাকা। তার পরের বছর আবার ২২০০ টাকা ১০ শতাংশ হারে ২২০ টাকা বাড়াতে হবে, এমন পরিস্থিতিতে এসআইপি হয়ে যাবে ২৪২০ টাকা। এই ভাবে, প্রতি বছর বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ শতাংশ করে বাড়িয়ে যেতে হবে ৬০ বছর ধরে।
এই ভাবে, পরের বছর এই এসআইপি হবে ২২০০ টাকা। তার পরের বছর আবার ২২০০ টাকা ১০ শতাংশ হারে ২২০ টাকা বাড়াতে হবে, এমন পরিস্থিতিতে এসআইপি হয়ে যাবে ২৪২০ টাকা। এই ভাবে, প্রতি বছর বিনিয়োগের পরিমাণ ১০ শতাংশ করে বাড়িয়ে যেতে হবে ৬০ বছর ধরে।
এবার ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে এসআইপিতে বার্ষিক ১০ শতাংশের টপ আপ করে কেউ যদি ৩৫ বছরের জন্যও বিনিয়োগ করেন, তাহলে মোট বিনিয়োগ হবে ৬৫,০৪,৫৮৫ টাকা। যদি আমরা ১২ শতাংশের গড় রিটার্ন ধরে এগোই, শুধুমাত্র সুদের থেকে ২,৯০,২৯,২৯৪ টাকা পাওয়া যাবে।
এবার ২০০০ টাকা থেকে শুরু করে এসআইপিতে বার্ষিক ১০ শতাংশের টপ আপ করে কেউ যদি ৩৫ বছরের জন্যও বিনিয়োগ করেন, তাহলে মোট বিনিয়োগ হবে ৬৫,০৪,৫৮৫ টাকা। যদি আমরা ১২ শতাংশের গড় রিটার্ন ধরে এগোই, শুধুমাত্র সুদের থেকে ২,৯০,২৯,২৯৪ টাকা পাওয়া যাবে।
বিনিয়োগ করা পরিমাণ এবং সুদ সহ ৩৫ বছর পর মোট ৩,৫৫,৩৩,৮৭৯ টাকা আসবে। আর যদি এই বিনিয়োগে ১৫ শতাংশ রিটার্ন আসে, তাহলে তো কথাই নেই, লাভ প্রায় দ্বিগুণ হবে এবং মোট ৬,৭০,২৪,২১২ টাকা লাভ হবে।
বিনিয়োগ করা পরিমাণ এবং সুদ সহ ৩৫ বছর পর মোট ৩,৫৫,৩৩,৮৭৯ টাকা আসবে। আর যদি এই বিনিয়োগে ১৫ শতাংশ রিটার্ন আসে, তাহলে তো কথাই নেই, লাভ প্রায় দ্বিগুণ হবে এবং মোট ৬,৭০,২৪,২১২ টাকা লাভ হবে।