পুরুলিয়া : খাদ্য রসিক মানুষ বরাবরই নিত্য নতুন খাবারের সন্ধানে থাকে। আর তা যদি হয় সন্ধ্যের খাবারের স্নাক্সের আইটেম তা হলে তো সোনায় সোহাগা।
পুরুলিয়া শহরে একাধিক ফাস্টফুডের ও স্নাক্সের দোকান রয়েছে। সেখানে নানান ধরনের খাবার পাওয়া যায়। এছাড়াও রয়েছে একাধিক ফুডকার্ট। কিন্তু এই প্রথমবার পুরুলিয়া শহরে দেখা মিলল এক অভিনব ফুডকার্টের।
একটি টোটো গাড়িকে রেনোভেট করে ফুডকার্ট বানিয়েছেন এক ব্যবসায়ী। যা রীতিমতো নজর কেড়েছে শহরবাসীর। এই ফুডকার্টে মিলছে লোভনীয় সব চাটের আইটেম, পুরোপুরি ভেজ। পুরুলিয়ার সাহেব বাঁধের পাড়ে হরিপদ সাহিত্য মন্দিরের সামনেই দেখা মিলছে এই অভিনব ফুড ভ্যানের।
শহরের মানুষকে দেখা যাচ্ছে উৎসাহের সঙ্গে এই ফুডভ্যান থেকে খাবার কিনতে। পুরুলিয়ার ছেলে গৌতম কৈবর্ত, তাঁর একটি টোটো গাড়ি ছিল। সেই গাড়িটিকেই রেনোভেট করে তিনি এই ফুডকার্টটি বানিয়েছেন।
বরাবরই তাঁর অভিনব কিছু করার ইচ্ছা ছিল। আর সেই চিন্তা ভাবনা থেকেই এই ফুডকার্টটি তিনি তৈরি করিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ইউটিউবে দেখে তিনি এই টোটোকে ফুডভ্যান বানানোর আইডিয়া পেয়েছিলেন। কারণ বর্তমানে বেশিরভাগ জায়গাতে নিজের দোকান করতে গেলে অনেকটাই ব্যয়সাপেক্ষ।
সেই জায়গায় এই ফুডকার্ট যে কোনও জায়গাতেই নিয়ে যাওয়া আবার সেখান থেকে নিয়ে চলে আসা অনেক সহজ। তাই তিনি এই পরিকল্পনা নিয়েছেন। মানুষজনের যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছেন।
এ বিষয়ে দোকানে আসা ক্রেতা বলেন , তিনি মাঝের মধ্যেই এই দোকানে চাট খেতে আসেন। অনেক নিত্য নতুন ধরনের চ্যাটের আইটেম পাওয়া যায় এখানে। টেস্টও যথেষ্ট ভালো। আর এইরকম টোটো গাড়ির উপরে ফুড ফুডকার্ট পুরুলিয়া শহরে এর আগে তিনি দেখেননি।
পুরুলিয়া শহরের এই অভিনব ফুডভ্যান যথেষ্টই দৃষ্টি আকর্ষণ করছে শহরের মানুষদের। তাই অনেকেই একবার হলেও ঢুঁ মেরে যাচ্ছেন এই ফুটভ্যানে।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি