বাবা মায়ের সঙ্গে দেবার্পণ

Siliguri News: অভাবনীয়…! টাইম ট্রাভেলকে বাস্তবে এনে দেখাল ছোট্ট দেবার্পণ… হতবাক শিক্ষকেরা

শিলিগুড়ি: টাইম মেশিনের সাহায্যে একজন মানুষ পাঁচ হাজার বছর আগের মিশরে গিয়ে নিজের চোখে পিরামিড তৈরির ব্যাপারটা দেখে আসতে পারে। কিংবা ভবিষ্যৎ দেখতে পারে। টাইম ট্রাভেলের গল্প আপনি হয়তো শুনেছেন কিংবা সিনেমাও দেখেছেন । এই টাইম ট্রাভেল, বিগ ব্যাং থিওরির মতো শব্দগুলো চেনা হলেও ভিতরের তত্ত্ব হয়তো অনেকেই বুঝতে পারেন না । কিন্তু মাত্র ১৪ বছর বয়সি দেবার্পণ পাল যা করল সেটা একেবারে চমকে দেবার মতো। অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের এই জটিল বিষয়গুলি নিয়ে দেবার্পণ লিখে ফেলেছে আস্ত একটা বই। গত ১১ জুন সেই বই নোশনপ্রেসের প্রকাশনায় প্রকাশিত হয়েছে। বইয়ের নাম ‘ইজ ইট পসিবল ইন ইউনিভার্স’? তার লেখা বই এখন ১৮০টি দেশে পাওয়া যাচ্ছে।

ছোটবেলা থেকেই ইলেকট্রনিক জিনিসের প্রতি তার বিশেষ ঝোঁক। তাই পুরনো দোকান থেকে অনেক ইলেকট্রিক্যাল জিনিস সংগ্রহ করে তৈরি করছে নানা মডেল। নিজের ঘরকে সে আস্ত একটা ল্যাব বানিয়ে ফেলেছে । সেখানে তার হাতের তৈরি বিভিন্ন ধরনের মডেল রয়েছে। শিলিগুড়ির ডিএভি ফুলবাড়ি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে দেবার্পণ। তার গবেষণার মাধ্যমে কঠিন বিষয়গুলোকে সহজ ভাষায় তুলে ধরেছে ১১৮ পাতার বইটিতে।

দেবার্পণের কথায়, ‘এই বইতে এমন অনেক বিষয় রয়েছে, যেগুলি সাধারণভাবে আমাদের মনে হয় অসম্ভব। বিগ ব্যাং থিয়োরি, যেখান থেকে ইউনিভার্সের সৃষ্টি। এই বিষয়টাকে তুলে ধরেছি। তারপর টাইম ট্রাভেলও যে সম্ভব, সেটা বলা হয়েছে।’

দেবার্পণের বাবা দেবদত্ত পাল জানান, তিনি ছোটবেলায় বিভিন্ন বিজ্ঞানীদের গল্প শোনাতেন। সেখান থেকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ। বিশেষ করে অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের প্রতি আকর্ষণটা বেশি। ছেলেকে সবসময় উৎসাহ জোগাতে কোনওমতেই পিছপা হননা তাঁরা। দেবার্পনের মা পিংকি পালের কথায়, ছোটবেলা থেকেই লিখতে ভালবাসে সে। কোনও পড়া মুখস্ত না করে নিজের মতো করে লিখতে বেশি পছন্দ করে। তার গবেষণার বিষয়গুলো যাতে খুদে বিজ্ঞানপ্রেমীরা খুব সহজেই বুঝতে এবং জানতে পারে, সেজন্য সে বই লেখার কাজ করেছে।

খুশি তার শিক্ষকেরাও। শিক্ষক দেবব্রত দাস বলেন, ‘ওর মধ্যে এত গুণ সহজে বোঝা যায় না। গরমের ছুটিতে যখন ওর বন্ধুরা যখন মোবাইলে ব্যস্ত তখন, ও এই বইটা লিখছে। ভবিষ্যতে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় সে। আগামী দিনের সাফল্য কামনা করি।’

অনির্বাণ রায়