ফুটপাথ দখল মুক্ত করতে উদ্যোগী পৌরসভা ও পুলিশ 

Murshidabad News: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরেই তৎপর! ফুটপাথ দখলমুক্ত করতে তোড়জোড় মুর্শিদাবাদে

মুর্শিদাবাদ: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরেই জঙ্গিপুর পৌরসভা থেকে বহরমপুর পৌরসভা এলাকায় এ বার অবৈধ হকার উচ্ছেদ শুরু করল পুরসভা।এমন কী ফুটপাত দখল মুক্ত করতে অভিযান করা হল।

জঙ্গিপুর ট্র্যাফিক পুলিশের উদ্যোগেই চলল ফুটপাথ খালি করার কাজ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌরসভার চেয়ারম্যানদের নিয়ে নবান্নয় প্রশাসনিক বৈঠক করেন। আর সেই বৈঠকে বিভিন্ন পৌরসভার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর তারপরে এবার নড়েচড়ে বসল জঙ্গিপুর পৌরসভা ও বহরমপুর পৌরসভা।

জঙ্গিপুর পৌরসভার অন্তর্গত রঘুনাথগঞ্জের ফুলতলা মোড়ে নিত্যদিন যানজটের স্বীকার হন সাধারণ মানুষজন। রাস্তার দু’ধারে ফুটপাথ দখল করে বহু দোকান আছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। বারবার পুরসভাকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। এ বার জঙ্গিপুর পৌরসভা এলাকাতে ফুটপাথ দখল অভিযানে নামল স্থানীয় ট্রাফিক পুলিশ কর্মীরা। ফুটপাথ দখল করে যাতে কোনও দোকান না রাখা হয় তার জন্য সচেতন করা হয় ব্যবসায়ীদের। পাশাপাশি, আগামী দিনে এই ফুটপাথ দখল মুক্ত করা হবে বলেও জানানো হয়েছে পৌরসভার পক্ষ থেকে।

অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদ জেলার সদর শহর বহরমপুর পৌরসভা। বহরমপুর শহরে চিকিৎসা থেকে শুরু করে বিভিন্ন প্রয়োজনে আসেন বহু মানুষ। কিন্তু ফুটপাথ দখলের জেরে নাজেহাল হতে হয় পথচারীদের। তাই বহরমপুর পৌরসভাতেও এই অবৈধ হকার উচ্ছেদ করা হয়। বহরমপুরের যত্রতত্র ফুটপাথ দখল করেই চলে ব্যবসা। যার কারণে দখলদারির মুখে পড়েছে ফুটপাথ। ফলে মুর্শিদাবাদ জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ডিএসপি ট্রাফিক ও বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়-সহ প্রশাসনিক আধিকারীকদের নেতৃত্বে এদিন বিভিন্ন দোকানে গিয়ে অভিযান করা হয়। বোঝানো হয়, ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা করা যাবে না।

বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় জানান, বহরমপুর ওল্ড কল্পনা হাউস মোড়, বহরমপুর ষ্টেশন, এমন কী মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঢুকতে রোগীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেই এলাকায় গিয়ে দোকান ঠিক রেখে ফুটপাথ যাতে রক্ষা পায় তার দিকে তাকিয়ে দোকান মালিকদের সচেতনতা করা হল। আগামী দিনে বৈঠক করে সমস্ত সমস্যার সমাধান করা হবে বলেই জানান পৌরসভার চেয়ারম্যান ।

তবে এই ঘটনার পরেই হকাররা অভিযোগ করছেন, কোথায় যাবেন তাঁরা ব্যবসা নিয়ে। এত বছর ধরে অনেকেই ব্যবসা করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কিন্তু তাঁদের কথাকেও শুনছেন না বলেই অভিযোগ। আগামী দিনে যদি উচ্ছেদ হয় তাহলে কোথায় গিয়ে ব্যবসা করবেন ব্যবসায়ীরা বলেও উঠছে প্রশ্ন।

কৌশিক অধিকারী