প্রতীকী ছবি৷

Left Front: কলকাতার বুকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় বামেদের! শুনতে অবিশ্বাস্য, কোথায় এল জয়?

সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গিয়েছে আবার শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে বামেদের। শুধু তাই নয় দুটি আসন ছাড়া বাকি আসনগুলিতে জামানত জব্দ হতে হয়েছে। দলের এই পরিস্থিতি কেনও হয়েছে তার পর্যলোচনা করেছে রাজ্য কমিটি। তাতে যে বিষয়গুলি দেখা গিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম গরিব মানুষের সমর্থন চলে যাওয়া। ঠিক এমন সময়েই দলীয় নেতা কর্মী সমর্থকদের আশা জাগিয়েছে একটি খবর।

কলকাতা পুরসভার একটি সমবায়ের নির্বাচনে বিপুল ভাবে জয়লাভ করেছে বামেরা। শুধু জয়লাভই করেনি,  বামেদের বিরুদ্ধে কেউ প্রার্থীও দিতে পারেনি। অর্থাৎ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়। যে খবর শুনে কার্যত চমকে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।

শুক্রবার কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন সাউথ সুবারবান ইউনিট স্টাফ কোঅপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনে সিআইটিইউ সহ অন্যান্য বামপন্থী ইউনিয়ন সমূহের জোটের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়। এই নির্বাচনে তৃণমূল এবং বিজে প্রভাবিত ইউনিয়ন কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি বলে দাবি বাম নেতৃত্বের। জানা গিয়েছে, এখানে বারোটি ডাইরেক্টর পদের জন্য নির্বাচন হয়। এর মধ্যে ছিল একজন এসসি, এবং দুজন মহিলা প্রার্থী। অন্য কোনও প্রার্থী না থাকায় নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সিআইটিউ জোটের ১২ জন প্রার্থীকেই ডাইরেক্টর পদের জন্য নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

১৯৭৬ সালের মিউনিসিপালিটির সময়কাল থেকেই পৌর কর্মীদের এই সমবায়টি চলছে। বরাবরই সিআইটিউ নেতৃত্বাধীন জোটই জিতে বোর্ড চালিয়ে এসেছে। তবে বছর দুয়েক আগে অন্যান্য অনেক জায়গার মতোই এই সমবায়টিরও বোর্ড ভেঙে দিয়ে তৃণমূল সরকারের সমবায় দফতর নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় বলে বামেদের অভিযোগ। এর বিরুদ্ধে কর্মীরা লাগাতার আন্দোলনে সামিল হন। রাজ্য সরকারের সমবায় দফতর বাধ্য হয়ে পৌর কর্মীদের হাতে সমবায় পরিচালনার দায়িত্ব ফিরিয়ে দিতে নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে বলে দাবি নেতৃত্বের। আগামী ১০ জুলাই বেলা ১২ টায় নব নির্বাচিত সদস্যদের প্রথম সভা হবে। সেখান থেকেই বোর্ডের চেয়ারম্যান সহ অন্যদের নির্বাচিত করা হবে৷

লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই রাজ্যের চারটি বিধানসভায় উপনির্বাচন। তার মধ্যে দুটি আসনে সিপিএমের প্রার্থী। জোট শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক লড়ছে একটি আসনে। কংগ্রেসের জন্য রায়গঞ্জ আসনটি ছাড়া হলেও বাগদা আসনেও প্রার্থী দিয়েছে তারা। তবে সদ্য সমাপ্ত লোকসভা ভোটে হেরে কার্যত হতাশ বাম কর্মীদের প্রচারের ঝাঁজ তাই অনেকটাই কম বলে মনে করছে নেতৃত্ব। কর্মীদের মনোবল বাড়াতে এই সমবায় নির্বাচনের ফলাফল ভোকাল টনিকের কাজ করবে বলে মনে করছেন বাম নেতারা৷