বিনোদন Bollywood Actor: ক্লাস ৮-এ ডাহা ফেল! ‘না’ শুনতে হয়েছে বহু নায়িকার থেকে, চেনেন তো সুপারস্টারকে? Gallery June 29, 2024 Bangla Digital Desk সাফল্য রাতারাতি আসে না। কখনও কখনও স্বপ্ন ছুঁয়ে ফেলার আগের মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হয়। আজ আমরা এমন একজন অভিনেতার জীবনকাহিনি বলব, যিনি দেশের অন্যতম সফল শিল্পী হওয়ার আগে সমস্ত লড়াই-সংগ্রামের মুখোমুখি হয়েছেন। হিন্দি থেকে দক্ষিণী, একাধিক ইন্ডাস্ট্রিতে উল্লেখযোগ্য জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। সুপারহিট নায়ক এক সময়ে জীবনের পথে চড়াই-উতরাই পেরিয়ে এসেছেন। সবথেকে দুঃখজনক ঘটনা, তিনি একবার ৮ম শ্রেণিতে ফেল করেছিলেন। কারণ অঙ্কে কেবল ৩৯ শতাংশ পেয়েছিলেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ভাল ছাত্র ছিলাম না। মা-বাবা খুবই কষ্ট পেয়েছিল।’’ ‘‘তাঁরা চেয়েছিলেন আমি বিয়ে করি এবং টাটা স্টিলে কাজ করি, বাবার বাড়িতেই থাকি। কিন্তু সেটা আমি করিনি। আমার বাবা সাধারণত আবেগপ্রবণ হন না, কিন্তু মনে আছে, শেষ একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটিও যখন আমার অ্যাপ্লিকেশন প্রত্যাখ্যান করল, সেদিন বাবাকে অন্যরকম দেখেছিলাম।’’ ‘‘আমরা রেলওয়ে ট্র্যাক ধরে হাঁটছিলাম। চোখে জল নিয়ে বাবা জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি তোমার কী খারাপ করেছি?’ আমি উত্তর দিয়েছিলাম, ‘বাবা, আমি জানি না আমি কী হব, তবে আমি জানি আমি তোমার কাজটা করতে চাই না।’’ ‘‘যদি আমি ৩০ বছর ধরে একটি ডেস্কেই বসে থাকি, আমি হয়তো কাউকে আঘাত করে ফেলতে পারি। ওই কাজ আমার জন্য নয়। আমি শুধু প্রতিশ্রুতি দিতে পারি যে আমি তোমাকে হতাশ করব না।’’ কথা হচ্ছে আর মাধবনকে নিয়ে। দক্ষিণী সুপারস্টার, বলিউড সুপারস্টার। ‘তনু ওয়েডস মনু’, ‘৩ ইডিয়টস’, ‘শয়তান’ এবং ‘রকেট্রি: দ্য নাম্বি এফেক্ট’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের মনজয় করেছেন। সেই অভিনেতারই ছোটবেলার একটি ঘটনা তুলে ধরা হল। যেই ঘটনার সঙ্গে ‘৩ ইডিয়টস’-এ তাঁর চরিত্র ফারহান কুরেশির মিল রয়েছে। বাবার কথায় ইঞ্জিনিয়ারিং না করে নিজের পছন্দমতো পেশা বেছে নিয়েছিল ফারহান। মাধবনের গল্পটাও বেশ একইরকম। আপনি কি জানেন, এমন একটি সময় ছিল যখন অভিনেত্রীরা মাধবনের সঙ্গে কাজ করতে রাজি ছিলেন না। ‘তনু ওয়েডস মনু’ ছবির প্রযোজক শৈলেশ আর সিং এক সাক্ষাৎকারে চমকপ্রদ তথ্য দিয়েছিলেন। কঙ্গনা রানাউতের কাছে যাওয়ার আগে অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সকলেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন কারণ তাঁরা মাধবনের সঙ্গে কাজ করতে চাননি। কিছু অভিনেত্রী এমনকি বলেছিলেন, তাঁরা রাজি হবেন যদি নায়ক পাল্টানো হয়। সুপারস্টার হয়ে যাওয়ার পরেও খুব কঠিন সময় কাটিয়েছেন আর মাধবন। এমনও সময় গিয়েছে, ৪ বছর কাজ পাননি। এক সাক্ষাৎকারে মাধবন বলেছিলেন, “আমার একটি ছেলে আছে। পরিবার আছে। কোভিডের সময় আমি কিছুই উপার্জন করিনি।’’ ‘‘এমনকি কোভিডের দুই বছর আগেও আমি কিছু রোজগার করতে পারিনি কারণ আমি রকেট্রি ছবিতে কাজ করছিলাম। ওটিটি প্রজেক্ট (নেটফ্লিক্সের ডিকাপল্ড)-এর মতো সুযোগগুলিই আমাকে টিকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু শেষ ছবি ‘বিক্রম ভেদা’র পর আমি আর কোনও ছবি করিনি।’’