প্রতীকী ছবি৷

Hooghly mob lynching: ‘জীবনটা শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল!’ পাণ্ডুয়ায় নির্মম মারে মৃত্যু স্বামীর, হাহাকার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর

সোমনাথ ঘোষ, পাণ্ডুয়া: বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী৷ আর সামান্য বচসার জেরে মারধরের কারণে মৃত্যু হল স্বামীর৷ নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির পাণ্ডয়ায়৷ মৃত যুবকের নাম আশিস দলুই৷

গত বৃহস্পতিবার পাণ্ডুয়ার গমুকপাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে৷ জানা গিয়েছে মনসা পুজোয় মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গ্রামবাসীদের একাংশ আশিস দলুই নামে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করে৷ ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই যুবক৷

প্রথমে ওই যুবককে পাণ্ডুয়ায় এবং পরে চুঁচুড়়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখান থেকে কল্যাণীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় আশিসকে৷ অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফলে শনিবার তাঁকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ কলকাতায় নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের৷ এই ঘটনায় দু জনকে গ্রেফতার করেছে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ৷

আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে নির্মম মার, আরও দুই মৃত্যু! গণপিটুনি রোগ এবার ঝাড়গ্রাম, তারকেশ্বরে

ঘটনায় বাকরুদ্ধ আশিসের পরিবার৷ তাঁর স্ত্রী অপর্ণা বলেন, ‘জীবন শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল৷’ অশিসের দাদু নেপাল বাউল দাস বলেন, মনসা পুজোয় মাইক বাজানো নিয়ে বার বার অশান্তি হয়৷ কেউ প্রতিবাদ করলেই তাঁকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়৷ অভিযুক্তদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়৷

এই নিয়ে গত চার দিনে গণপিটুনির শিকার হয়ে রাজ্যে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এল৷ গত শুক্রবার বউবাজারের একটি ছাত্রাবাসে মোবাইল চুরির সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ৷ এর পর সল্টলেক, ঝাড়গ্রাম, তারকেশ্বর থেকেও চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারার ঘটনা সামনে আসে৷ সেই তালিকায় যুক্ত হন হুগলির পাণ্ডুয়ার এই ঘটনা৷