Tag Archives: Mob Lynching

Mamata Banerjee: কী করছে গোয়েন্দা, পুলিশ? পর পর গণপিটুনির ঘটনায় ক্ষুব্ধ মমতা, কড়া নির্দেশ

কলকাতা: গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠকে পুলিশকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “কোনও ভাবেই এই ধরনের ঘটনা বরদাস্ত করা যায় না। পুলিশকে আরও সতর্ক থাকতে হবে। পুলিশের চোখ খুলে রাখতে হবে। পুলিশের টহলদারি বাড়াতে হবে”, পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর।

সূত্রের খবর, বৈঠকে রাজ্যে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া একাধিক গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে গোয়েন্দা ব্যর্থতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারের বৈঠকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা-সহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকেরা উপস্থিত ছিলেন। সেই সঙ্গে পুলিশকে আরও নজরদারি বাড়ানোর পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ দিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, কেন অভিযোগ পাওয়ার পরেও পুলিশ বসে থাকবে? সেই সঙ্গে গণপিটুনির ঘটনায় আক্রান্তদের পরিবারের পাশে রাজ্য। গণপিটুনির ঘটনায় মৃতদের পরিবারের একজনকে স্পেশ্যাল হোমগার্ডের চাকরি দেবে রাজ্য সরকার।

আরও পড়ুন: ‘রাহুলের মতো আচরণ নয়, তথ্য দিয়ে ওনার সঙ্গে লড়াই করুন’, এনডিএ সাংসদদের উপদেশ মোদির

পাশাপাশি রাজ্যে গণপিটুনি রুখতে পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের একাধিক নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের-

১) সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে বিভিন্ন অডিও ভিসুয়াল ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে।

২)ভুয়ো খবর এবং গুজবের উপর নজর রাখতে হবে। যে সব সোশ্যাল সাইট থেকে এই ধরনের ভুয়ো খবর ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে সে গুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

৩) স্পর্শকাতর অঞ্চল গুলিতে নজরদারি করতে হবে। আগে যে সমস্ত এলাকায় এই ধরনের ঘটনায় গন্ডগোল হয়েছে সেই এলাকাগুলিতেও নজরদারি করার কথা বলা হয়েছে।

Hooghly mob lynching: ‘জীবনটা শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল!’ পাণ্ডুয়ায় নির্মম মারে মৃত্যু স্বামীর, হাহাকার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর

সোমনাথ ঘোষ, পাণ্ডুয়া: বাড়িতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী৷ আর সামান্য বচসার জেরে মারধরের কারণে মৃত্যু হল স্বামীর৷ নৃশংস এই ঘটনা ঘটেছে হুগলির পাণ্ডয়ায়৷ মৃত যুবকের নাম আশিস দলুই৷

গত বৃহস্পতিবার পাণ্ডুয়ার গমুকপাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে৷ জানা গিয়েছে মনসা পুজোয় মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গ্রামবাসীদের একাংশ আশিস দলুই নামে ওই যুবককে বেধড়ক মারধর করে৷ ঘটনায় গুরুতর আহত হন ওই যুবক৷

প্রথমে ওই যুবককে পাণ্ডুয়ায় এবং পরে চুঁচুড়়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ সেখান থেকে কল্যাণীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয় আশিসকে৷ অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফলে শনিবার তাঁকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়৷ কলকাতায় নিয়ে আসার পথেই মৃত্যু হয় ওই যুবকের৷ এই ঘটনায় দু জনকে গ্রেফতার করেছে পাণ্ডুয়া থানার পুলিশ৷

আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে নির্মম মার, আরও দুই মৃত্যু! গণপিটুনি রোগ এবার ঝাড়গ্রাম, তারকেশ্বরে

ঘটনায় বাকরুদ্ধ আশিসের পরিবার৷ তাঁর স্ত্রী অপর্ণা বলেন, ‘জীবন শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল৷’ অশিসের দাদু নেপাল বাউল দাস বলেন, মনসা পুজোয় মাইক বাজানো নিয়ে বার বার অশান্তি হয়৷ কেউ প্রতিবাদ করলেই তাঁকে আক্রমণের মুখে পড়তে হয়৷ অভিযুক্তদের যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়৷

এই নিয়ে গত চার দিনে গণপিটুনির শিকার হয়ে রাজ্যে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর সামনে এল৷ গত শুক্রবার বউবাজারের একটি ছাত্রাবাসে মোবাইল চুরির সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ৷ এর পর সল্টলেক, ঝাড়গ্রাম, তারকেশ্বর থেকেও চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারার ঘটনা সামনে আসে৷ সেই তালিকায় যুক্ত হন হুগলির পাণ্ডুয়ার এই ঘটনা৷

Mob lynching: চোর সন্দেহে নির্মম মার, আরও দুই মৃত্যু! গণপিটুনি রোগ এবার ঝাড়গ্রাম, তারকেশ্বরে

ঝাড়গ্রাম এবং তারকেশ্বর: কলকাতা, সল্টলেকের পর ঝাড়গ্রাম, তারকেশ্বর৷ সংক্রামক রোগের মতোই ছড়াচ্ছে গণপিটুনির ব্যাধি৷ গণপিটুনির জেরে রাজ্যের দুই প্রান্তে রবিবার মৃত্যু হল আরও দুই যুবকের৷ দুটি ক্ষেত্রেই চোর সন্দেহে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে৷ দুটি ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

ঝাড়গ্রামের গণপিটুনির ঘটনাটি অবশ্য ঘটেছিল গত ২২ জুন৷ ঝাড়গ্রামের খাটখুরা এলাকার ওই ঘটনায় একসঙ্গে দু জন যুবককে গণপিটুনি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তাঁরা৷ গতকাল তাঁদের মধ্যে সৌরভ শাহু বলে এক যুবকের মৃত্যু হয়৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সৌরভের বন্ধুর৷
অন্যদিকে, হুগলির তারকেশ্বরেও গতকাল চোর সন্দেহে বেধড়ক মারে মৃত্যু হয় বিশ্বজিৎ মান্না (২৩) নামে এক গাড়ি চালকের৷ মৃতের পরিবারের অভিযোগ, চুরির অভিযোগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে মারে বিকাশ সামন্ত এবং তার ছেলে দেবকান্ত সামন্ত নামে দু জন৷ চুরি করেননি বলে বার বার কাকুতি মিনতি করলেও বিকাশকে নির্মম ভাবে মারতে থাকে দু জন৷ রাত দুটো নাগাদ বিকাশ সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়লে তাঁকে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা৷ এই ঘটনায় অভিযুক্ত দু জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷

আরও পড়ুন: আজ থেকেই লাগু ভারতীয় ন্যায় সংহিতা, নতুন আইনে কার বিরুদ্ধে দায়ের হল প্রথম এফআইআর?

ঝাড়গ্রামের ঘটনার ক্ষেত্রেও মারধরে জড়িত থাকার অভিযোগে দু জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ অভিযোগ, কিছুদিন আগে ঝাড়গ্রামের খাটখুরা এলাকায় একটি রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল৷ সেখানে ঠিকাদারি সংস্থার একটি গাড়ি থেকে কিছু জিনিস চুরি হয় বলে অভিযোগ৷ ঘটনার দিন মায়ের স্কুটি নিয়ে খাটখুরা এলাকায় বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন সৌরভ সাউ নামে ওই যুবক৷ অভিযোগ, তখনই রাস্তায় তাঁদের ঘিরে ধরে চোর সন্দেহে মারধর শুরু করে ওই ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীরা৷

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় জামবনি থানার পুলিশ। দু’জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ঝাড়গ্রাম সরকারি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায় তারা। ওই হাসপাতালে ন’দিন চিকিৎসার পর মৃত্যু হয়েছে সৌরভের। মৃতের বাবা অবনী সাউ পেশায় টোটোচালক। ছেলের মৃত্যু নিয়ে তিনি বলেন, ‘ও এক বন্ধুর সঙ্গে মায়ের স্কুটি নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিল সে দিন। এলাকার মানুষজন চোর সন্দেহে আমার ছেলে ও তাঁর বন্ধুকে মারধর করে। পরে আমরা বিষয়টি জামবনি থানা মারফত জানতে পেরে হাসপাতালে আসি। এখানে এসে দেখি আমার ছেলে ও তার বন্ধু ভর্তি রয়েছে। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছেলের মৃত্যু হয়েছে।’ তাঁর সংযোজন, ‘চোর সন্দেহে কাউকে এ ভাবে মারা ঠিক নয়। তার জন্য তো পুলিশ-প্রশাসন রয়েছে। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’গণপিটুনির ঘটনায় ঠিকাদারি সংস্থার দুই ম্যানেজারকে আটক করে পুলিশ৷

প্রতিবেদন- রানা কর্মকার ও রাজু সিং

Mob lynching in Kolkata: মোবাইল চুরির অভিযোগ, কলকাতার হস্টেলে পিটিয়ে খুন যুবক? বউবাজারে মারাত্মক অভিযোগ

কলকাতা: মোবাইল চুরির অভিযোগে এবার কলকাতাতেই গণপিটুনিতে এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ৷ ঘটনাটি ঘটেছে বউবাজারের নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের একটি হস্টেলে৷ মৃতের নাম এরশাদ আলম৷ এই ঘটনায় ওই হস্টেলের বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ৷

জানা গিয়েছে, এ দিন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওই যুবককে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে পুলিশ এবং কয়েকজন ব্যক্তি৷ হাসপাতালে সূত্রে খবর, যুবকের শরীরের সর্বত্র মারধরের চিহ্ন ছিল৷ রক্তচাপ সহ শরীরের অন্যান্য ভাইটল প্যারামিটারগুলিও অত্যন্ত কম ছিল৷ শেষ পর্যন্ত বেলা ১২.৪৫ মিনিট নাগাদ মৃত্যু হয় তাঁর৷ আগামিকাল ওই যুবকের দেহের ময়নাতদন্ত হবে৷

আরও পড়ুন: তুমুল বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ, অতি ভারী বর্ষণ কোন কোন জেলায়? চলবে কতদিন, জানাল হাওয়া অফিস

জানা গিয়েছে, গতকাল ওই হস্টেলে একটি মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটে৷ পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত যুবক ওই এলাকার একটি গ্যারেজে মেকানিকের কাজ করতেন৷ পুলিশের কাছে ওই গ্যারেজের মালিক অভিযোগ করেছেন, এ দিন সকালে হস্টেলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় ওই যুবককে ভিতরে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করতে থাকেন আবাসিক ছাত্ররা৷ তাঁকে মারধর করা হচ্ছে বলে এরশাদ ফোন করে জানিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন ওই গ্যারেজ মালিক৷

ওই ছাত্রাবাসে গন্ডগোল হচ্ছে, এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় মুচিপাড়া থানার পুলিশ৷ সেই সময় হস্টেলে ঢোকার মূল গেটে তালা দেওয়া ছিল৷ পুলিশ যখন ভিতরে ঢোকে, তখন ওই যুবককে কার্যত অচৈতন্য অবস্থায় নীচে নামিয়ে আনে আবাসিক ছাত্ররাই৷ এর পরই তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷

ঘটনায় ছাত্রাবাসের ১৪ জন আবাসিককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ৷ এ দিন ঘটনাস্থলে যান কলকাতা পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল-ও৷ সূত্রের খবর, আটক ছাত্ররা দাবি করেছে দৌড়ে পালাতে গিয়ে ওই যুবক পড়ে গিয়ে তাঁর পায়ে আঘাত লেগেছে৷ যদিও ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে৷

Malda News: সোশ্যাল মাধ্যমেই ছড়াচ্ছে গুজব! গণপ্রহারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ পুলিশের, সাবধান!

মালদহ: সোশ্যাল মাধ্যম থেকে ছড়াচ্ছে গুজব। সত্যতা যাচাই না করেই শুধুমাত্র সন্দেহের বশে, মালদহের বিভিন্ন প্রান্তে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপ্রহার অব্যাহত। গত ১৫ দিনে মালদহ শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে ঘটছে একের পর এক গণপ্রহারের ঘটনা। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিরীহ সাধারণ যাযাবর শ্রেণীর মানুষেরা মারধরের শিকার হচ্ছে। অনেকেই না জেনে আইন নিজের হাতে নিয়ে নিচ্ছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই না করেই মারধর করছেন? বা অনেক ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটলে পুলিশের দ্বারস্থ না হয়ে সরাসরি মারধর করছেন স্থানীয় মানুষজন।

এক্ষেত্রে কিন্তু আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। অর্থাৎ যদি কোন ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে অবশ্যই স্থানীয় পুলিশ থানায় জানাতে হবে। কেউ কোন অন্যায় করলে সাধারণ মানুষ কোন পদক্ষেপ নিয়ে মারধরের ঘটনা ঘটাতে পারে না। গত কয়েকদিন ধরে মালদহে ঘটে চলা একের পর এক গনপ্রহারের ঘটনায় এমনটাই জানালেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব।পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ সচেতনতা শিবির প্রচার শুরু হয়েছে জেলা জুড়ে।

আরও পড়ুন: বলুন তো, ভারতের কোন শহরে থাকা-খাওয়ার খরচ সবচেয়ে বেশি? নামটা শুনে আশ্চর্য হতেই হবে

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে সোশ্যাল মাধ্যমে। অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট গুলিতে ভুঁয়ো কিছু খবর ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষ বিশেষ করে যুব সমাজ অধিকাংশ সময় সোশ্যাল মাধ্যমে যুক্ত থাকছে। এই ধরনের ভুঁয়ো পোস্ট তাদের প্রবাহিত করছে।‌ তারি জেরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন জেলা পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, সোশ্যাল মাধ্যমেই গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা জেলা জুড়ে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছি। কোথাও কোন সন্দেহজনক ব্যক্তিকে দেখতে পেলে স্থানীয়রা যেন পুলিশে খবর দেয় নিজের হাতে আইন যেন না তুলে নেয়।

আরও পড়ুন: আধার কার্ড বাতিল হলেও মিলবে সরকারি পরিষেবা! কী করতে হবে এবার, জানিয়ে দিলেন মমতা

তাই ইতিমধ্যে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও সোশ্যাল মাধ্যম কে হাতিয়ার করে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সোশ্যাল মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। পাশাপাশি কারা কোথা থেকে কিভাবে সোশ্যাল মাধ্যমে এই ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কোথাও কোন সন্দেহজনক ব্যক্তি মহিলা বা কাউকে দেখলে সরাসরি পুলিশকে খবর দিতে হবে। এই বিষয়ে প্রচারে জোর দিচ্ছে জেলা পুলিশ প্রশাসন। জেলা জুড়ে এই ধরনের গুজব গণপ্রহারের ঘটনা ঘটতে থাকায় জেলার মানুষও অনেকটাই আতঙ্কিত। তাই সমাজের সমস্ত শ্রেণীর মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা জেলা পুলিশের।

—- হরষিত সিংহ