ব্যবসা-বাণিজ্য খরচে রাশ টানতে পারছেন না? ‘30 Day Rule’ মেনে চললেই আপনার অ্যাকাউন্টে উপচে পড়বে টাকা Gallery July 9, 2024 Bangla Digital Desk জলের মতো টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। বাঁধ মানছে না কিছুতেই। অনলাইনে কিছু দেখলেই কেনার জন্য মন আঁকপাক করে। বাইরে বেরলে দামি রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া, শপিং মলে কেনাকাটি করেও গুচ্ছের খরচ হয়। মাসের শেষে সঞ্চয় বলে আর কিছু থাকে না। এমন পরিস্থিতিতে কী করণীয়? মাসে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা রোজগার। মাঝে মধ্যে ৫-৭ হাজার টাকা খরচ হয়। তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু রোজগার যদি ২০, ২৫ বা ৩০ হাজারের মধ্যে হয়, তাহলে খরচে রাশ টানার এটাই সময়। অবেগের বশে কেনাকাটা করলে চলবে না। ডিল যতই লোভনীয় হোক না কেন, নিজেকে সংযত রাখতে হবে। মাথায় রাখতে হবে, লোভে পড়ে কেনাকাটা করলেই বাজেটে টান পড়বে। কারণ এটা প্রয়োজনের কেনাকাটা নয়, এটা অভ্যাস। এখানে আবেগটাই সব। এ থেকে বাঁচার একটাই উপায়, সেটা হল ৩০ ডে রুল বা ৩০ দিনের নিয়ম। এই নিয়ম যদি কেউ অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলে তাহলে খরচে রাশ টানা সম্ভব হবে। আর্থিক বিষয়ে আরও ভাল সিদ্ধান্তও নেওয়া যাবে। কীভাবে কাজ করে ৩০ ডে রুল: নিয়ম খুব সহজ। অনলাইনে সস্তায় ভাল জামাকাপড় বা জুয়েলারি বিক্রি হচ্ছে। কেনার ইচ্ছা হল। এখন ৩০ দিন অপেক্ষা করতে হবে। এটাই নিয়ম। ৩০ দিন পর যদি সেটা কেনার কথা মনেই না থাকে, তাহলে বুঝতে হবে, ওই জিনিসটার কোনও প্রয়োজন ছিল না। এখন সেই টাকা বাঁচবে। অর্থ খরচ না করাটাই সঞ্চয়। যাঁরা লোভের বশে কেনাকাটা করেন আর দিন শেষে সঞ্চয় নিয়ে কপাল চাপড়ান, তাঁদের জন্য ৩০ ডে রুল আদর্শ। খরচের বিষয়ে সচেতন করবে। বাজেট ঠিক রাখবে। সঙ্গে সঞ্চয় হবে। এই রুলকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কিছু কেনার ইচ্ছা হলে সেটা টাকা একটা খামে ভরে আলাদা করে রাখতে হবে। মনে করতে হবে, এটা ৩০ দিনের ফিক্সড ডিপোজিট। এবার ৩০ দিন পর দেখতে হবে, সেই জিনিসটার আর প্রয়োজন আছে কি না। যদি থাকে, তাহলে কেনাই ভাল। আর না থাকলে খামের টাকা তুলে রাখা যায় আলমারিতে, সঞ্চয় হল।