Modi Speech Rajya Sabha: মোদির বক্তৃতার মাঝেই বিরোধীদের ‘ঝুট ঝুট’ স্লোগান! তারপর ওয়াকআউট, খাড়্গেদের তীব্র ভর্ৎসনা ধনখড়ের

নয়াদিল্লি: প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণের পরে এই প্রথম রাজ্যসভায় বক্তৃতা করলেন নরেন্দ্র মোদি৷ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূকে ধন্যবাদ জানিয়ে বেলা ১২টার সময় শুরু হয় মোদির বক্তৃতা৷ তবে লোকসভার মতো রাজ্যসভাতেও নিষ্কণ্টক হয়নি মোদির বক্তৃতা৷ তাঁর মাঝেই ওঠে ‘ঝুট ঝুট’ স্লোগান৷ বিরোধীদের শান্ত করতে তৎপর হন উপ রাষ্ট্রপতি তথা এদিন হাউজের পরিচালক জগদীপ ধনখড়৷

এদিন বক্তৃতার শুরুতেই মোদি বলেন, ‘‘আমাদের সরকার ১০ বছর পূর্ণ করেছে, এখনও ২০ বছর বাকি৷ দেশে মানুষ ভুল প্রচারের উপরে বিশ্বাস না কাজের উপরে আস্থা রেখেছেন৷’’

পরবর্তী ৫ বছরে দেশের দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা জানান মোদি৷ বলেন, তাঁদের কাছে সংবিধান হল ‘লাইটহাউস’৷ সংবিধানই তাঁদের পথ দেখান৷ তৃতীয় দফায় সরকার গঠন করে বিকশিত ভারত এবং আত্মনির্ভর ভারতের মাধ্যমে ভারতবাসীর উন্নয়ন সাধনের অঙ্গীকারের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী৷

আরও পড়ুন: পাঁচ বছর ধরে রাজভবনে পড়ে গণপিটুনি বিল! তোলপাড় বিধানসভা, ‘ব্যাখ্যা’ দিলেন রাজ্যপাল

তবে, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝেই বিরোধী দলনেতাকে কথা বলার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়ে সরব হতে শুরু করেন বিরোধী সাংসদেরা৷ ‘ঝুট ঝুট’ স্লোগান তুলতে দেখা যায় মল্লিকার্জুন খাড়্গে সহ বিরোধী সাংসদদের৷ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য না থামানোয়, তারা স্লোগান বদলে “ঝুট বোলনা বন্ধ করো” , “শরম করো” বলে স্লোগান দিতে থাকেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝে বিরোধীদের বক্তব্য রাখার অনুমতি দেননি রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়। এরপরই কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের নেতৃত্বে বিরোধী সাংসদরা একযোগে রাজ্যসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।খানিক পরেই অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন তাঁরা৷

আরও পড়ুন: শপথগ্রহণ ঘিরে তীব্র হচ্ছে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত! অম্বেদকর মূর্তির নীচে লাগাতার অবস্থান নজরে বিধানসভা

তবে ঘটনার পরপরই বিরোধী সাংসদদের আচরণকে ‘সংবিধানের অপমান’ বলে উল্লেখ করেন উপ রাষ্ট্রপতি ধনখড়৷ রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বলেন, ‘‘ওঁরা আমাদের সংবিধানকে পিঠ দেখিয়ে বেরিয়ে গিয়েছে৷ বিরোধীদের এই ওয়াক আউট সংবিধানের বড় অপমান৷’’

বিরোধীদের এই আচরণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি অবাক হয়ে যাই যে কিছু মানুষ যারা সংবিধান দিবসের বিরোধিতা করেছিল, তারাই সংসদে সংবিধান হাতে নিয়ে সুর চড়াচ্ছে। কংগ্রেসই সংবিধানের সবচেয়ে বড় শত্রু৷ আমাদের সংবিধান লাইট হাউসের মতো কাজ করে, আমাদের দিশা দেখায়। এর শব্দও আমাদের জন্য অত্যন্ত মূল্যবান।”