পাঁচমিশালি, লাইফস্টাইল Fruits: কোন ‘ফলে’ সবচেয়ে বেশি ‘ক্যালসিয়াম’ থাকে বলুন তো…? চমকে দেবে নাম, গ্যারান্টি! Gallery July 4, 2024 Bangla Digital Desk সাধারণ জ্ঞান জ্ঞানের সেই ভাণ্ডার যা প্রতি মুহূর্তে আমাদের নতুন কিছু শিখতে সাহায্য করে। প্রত্যেক পড়ুয়ার জন্য যেমন জিকের চর্চা থাকা জরুরি, ঠিক তেমনই সাধারণ জ্ঞান থাকলে দৈনন্দিন জীবন ও যাপনও সহজ হয়ে যায়। কারণ সাধারণ জ্ঞানের অলিন্দে যেমন থাকে নানা দেশ বিদেশের অজানা তথ্য তেমনই এই পরিসরেই আছে এমন সব জ্ঞান যা সুস্থ ও স্বাস্থ্যসম্মত জীবন ধারণে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। জীবনের নানা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা থেকে চাকরির পরীক্ষায় সাফল্য পেতেও পথ সহজ হয় সাধারণ জ্ঞানের চর্চায়। আজ এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাদের সঙ্গে এমন কিছু সাধারণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তর শেয়ার করব যা একইসঙ্গে আমাদের জীবনের পাশাপাশি দেশ ও বিদেশের নানা মজাদার তথ্য দিয়ে আমাদের অবাক করে। প্রশ্ন- কাঁঠাল কোন দেশের জাতীয় ফল?উত্তর- কাঁটাযুক্ত খোসাযুক্ত ফল কাঁঠালকে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কাঁঠাল তামিলনাড়ু এবং কেরলের রাজ্য ফলও। এই ফলের পুষ্টিগুণ অসামান্য। গরমকালের এই ফলের জনপ্রিয়তা ভারতে কিছু কম নয়। বিশেষ করে বাংলার মানুষের কাছে গ্রীষ্মের আম-কাঁঠালের কদরই আলাদা। প্রশ্ন– ভারতে কোন ফল সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়?উত্তর – ‘কলা’ হল সেই ফল যা ভারতে সবচেয়ে বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন (Iron) পাওয়া যায়। প্রতিদিন একটি করে এই ফল খেলে শরীরে রক্তের অভাব পূরণ হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই ফলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট (Anti-oxidant)। এটি Free Radical-এর কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে এতে উপস্থিত ডোপামিন (Dopamine) মেজাজ ভাল রাখতে সাহায্য করে। প্রশ্ন – কোন ফল সবচেয়ে বেশি ক্যালসিয়াম ধারণ করে? উত্তর-ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফলের তালিকায় সর্বোচ্চে রয়েছে কমলা লেবু। প্রতি ১০০ গ্রামে ৪৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে, এটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফলগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল ট্যাঙ্গরিন। কিউই এমন একটি অন্যতম ফল যাতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই ফলের ১ কাপ (১৭৭ গ্রাম)- পরিমানে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে। ‘বডি ফিট টিভি এবং ডায়েট চ্যানেল’-এর প্রতিষ্ঠাতা ফিটনেস এবং পুষ্টিবিদ বিশেষজ্ঞ, রিয়া শ্রফ এখলাস তাঁর পরামর্শে বলেন, “কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও অ্যাসকরবিক অ্যাসিড রয়েছে যা শরীরের প্রতিক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে। কিউইফ্রুটে দৈনিক প্রস্তাবিত ভিটামিন সি-এর প্রায় ২৩০% থাকে। এই ফল প্রতিটি কামড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী পুষ্টির খনি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।” এছাড়া ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফলের তালিকায় সর্বোচ্চে রয়েছে প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৭ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল ট্যাঙ্গরিন। কমলা লেবুতে প্রতি ১০০ গ্রামে ৪৩ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে, এটি ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফলগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। প্রশ্ন : কোন সবজিতে সবথেকে বেশি ভিটামিন মেলে?উত্তর: পালং শাক। পালং শাক এমন একটি সবুজ শাক যা প্রায় দেশের সব প্রান্তেই ভারতে খাওয়া হয়ে থাকে। এই শাক ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের একটি বড় উৎস। এর আয়রন এবং ক্যালসিয়ামের দুর্দান্ত উপস্থিতির কারণে, পালং শাককে যে কোনও আমিষ ও দুগ্ধ বর্জিত ডায়েটে একটি দারুণ বিকল্প হিসেবে দেখা হয়। প্রশ্ন – কোন দেশে সবচেয়ে বেশি আফিম উৎপন্ন হয়?উত্তর- এক সময় আফিমের সর্বাধিক উৎপাদন হত আফগানিস্তানে। বর্তমানে আফগানিস্তানকে পিছনে ফেলে মায়ানমার বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশ হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর সবচেয়ে বেশি পরিমাণ আফিম উৎপাদন করেছে মায়ানমার। সেখানে এই বছর ১০৮০ মেট্রিক টন আফিম উৎপাদন হয়েছে। প্রশ্ন- দেশের কোন রাজ্যে লবণ সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত হয়?উত্তর – গুজরাত ভারতের বৃহত্তম লবণ উৎপাদনকারী রাজ্য এবং বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম। রাজ্যটি ভারতের মোট লবণ উৎপাদনে ৭৬ শতাংশ উৎপাদন করে বিশেষ অবদান রাখে। খারাঘোদা, ভাবনগর, পোরবন্দর এবং গুজরাতের কচ্ছের রণ প্রধান লবণ উৎপাদিত জেলা। গুজরাতের পরে তামিলনাড়ু ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম লবণ উৎপাদনকারী রাজ্য। প্রশ্ন– ভারতের জাতীয় ঐতিহ্যের প্রাণী কোনটি?উত্তর- হাতি হল ভারতের জাতীয় ঐতিহ্যবাহী প্রাণী। ২০১০ সালে ভারতের জাতীয় ঐতিহ্যের প্রাণী হিসাবে হাতিকে চিহ্নিত করে নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রতি বছর ১২ আগস্ট বিশ্ব হাতি দিবস পালিত হয়। শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।