মৃত্যুর পরই গায়েব সেই 'ভোলে বাবা'

Hathras Stampede: এত মৃত্যুর পরই গায়েব সেই ‘ভোলে বাবা’! ‘ওঁরা’ যেন চেনেই না, শেষমেশ সামনে চলেই এল আসল কারণ!

হাথরস: সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের হাথরসে সৎসঙ্গে যোগ দিতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ। জখম হয়েছেন বহু ভক্ত। এই ধর্মসভা অথবা সৎসঙ্গের আয়োজন করেছিল মানব মঙ্গল মিলন সদ্ভাভাবনা সমাগম কমিটি। আর এই কমিটির মাথায় রয়েছেন এক আধ্যাত্মিক গুরু। যিনি হাথরসের ফুলরাই মুগলগাধি গ্রামে ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরি নামে প্রসিদ্ধ।

কিন্তু কী কারণে তিনি রাজনৈতিক নেতাদের প্রিয় পাত্র জানেন? স্থানীয় আর সিনিয়র সাংবাদিকদের মতে, দলিত এবং আদার ব্যাকওয়ার্ড ক্লাসেস (ওবিসি) সম্প্রদায়ের উপর ভোলে বাবার রীতিমতো একচ্ছত্র আধিপত্য রয়েছে। আর পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের ৩০টি জেলা, ২৫টি লোকসভা কেন্দ্র এবং ১৩০টিরও বেশি বিধানসভা আসন জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছেন দলিত এবং ওবিসি সম্প্রদায়ের মানুষ। আর এই কারণেই রাজনৈতিক নেতাদের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠেছেন ভোলে বাবা।

আরও পড়ুন: দক্ষিণে ভারী বৃষ্টির দেখা নেই, উত্তরে ভারী বৃষ্টি থেকে রেহাই নেই! আবহাওয়ার বড় খবর

যার ফলে হাথরসের ঘটনায় কোনও রাজনৈতিক দল এই ধর্মগুরুকে দোষারোপ করছে না। হাথরসের অবৈধ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে। মৃত্যু হয়েছে ১২৩ জনের। এর মধ্যে রয়েছেন ১১৩ জন মহিলা, ৭ জন শিশু এবং ৩ জন পুরুষ। এখনও প্রায় ৩১ জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। অথচ ওই অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে পালিয়েছিলেন ভোলে বাবা। যাঁর সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন: IIT-কে রীতিমতো টক্কর, এই কলেজে পড়ে মিলল ৮৫ লক্ষ টাকা প্যাকেজের চাকরি! কীভাবে ভর্তি?

২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় উত্তরপ্রদেশ সরকারের উপর কিছু মৃদু আক্রমণ বাদ দিয়ে বিরোধীরাও বেশি কিছু বলছেন না। আবার সরকারি পক্ষের অধিকাংশই ভোলে বাবার নাম এড়িয়ে যাচ্ছেন। এমনকী তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলেও একই গল্প। আর তাই সিনিয়র সাংবাদিক এবং স্থানীয়রা বলছেন যে, নারায়ণ সাকার বিশ্ব হরি রাজনৈতিক দলগুলির প্রিয় পাত্র। যার কারণ হল পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের দলিতদের উপর ভোলে বাবার প্রভাব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাথরসের এক সিনিয়র জার্নালিস্ট News 18-কে জানিয়েছেন যে, “ভোলে বাবার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে চান না। কয়েক দশক ধরে আচমকাই বেড়ে গিয়েছে বাবার জনপ্রিয়তা। সে ব্যুরোক্র্যাট হোন, ইনফ্লুয়েন্সার হোন, বিজনেস টাইকুন হোন অথবা রাজনৈতিক নেতাই হোন, সকলেই বাবার দর্শন করতে আসতেন। ভোলে বাবা নিজেই আসলে দলিত পরিবারের। তাই ভোলে বাবার বিরুদ্ধে একটা টুঁ শব্দ করলেই দলিত ভোট ব্যাঙ্কে ছাপ পড়বে।”

ওই সাংবাদিক আরও বলেন যে, “ভোটের সময় ভোলে বাবার আশ্রমে রীতিমতো লম্বা লাইন পড়ে যায় রাজনৈতিক নেতাদের। এমনকী যেসব রাজনৈতিক দলগুলি বাবার সমর্থন লাভ করে, তারা নিজেদের দলীয় পতাকার সঙ্গে প্রতীক হিসেবে বাবার পতাকাও বহন করে। এর ফলে ভোলে বাবার অনুগামীদের কাছে স্পষ্ট বার্তা চলে যায়।”