প্রয়াগ ফিল্ম সিটি 

Travel Tips: যেন গল্পের পাতা থেকে উঠে আসা! ছোট্ট ছুটিতে এখানে ঘুরে আসুন, ফিরতে ইচ্ছা করবে না

পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রতিদিন নিত্য নতুন ডেস্টিনেশন বরাবরই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকে পর্যটকদের কাছে। নদী, পাহাড়, সমুদ্র কিংবা বিভিন্ন পার্ক তো ঘুরে এসেছেন অনেকবার! তবে এবার ঘুরে আসুন সাজানো একটি সুন্দর নগরী থেকে। চারদিকে সুন্দর সুন্দর সাজানো প্রাচীর, দেওয়াল এবং প্রাচীন সভ্যতার একাধিক সাজানো গোছানো নিদর্শন। তাই একদিনের ছুটিতেই ঘুরে আসুন এই সুন্দর জায়গা থেকে। মন ভরে ছবি তুলুন। তবে এখানকার পরিবেশ আপনাকে নিয়ে যাবে একটা নতুন শহরে। কোথাও রয়েছে পার্ক, কোথাও স্টেশন, কোথাও এয়ারপোর্ট। সেখানে দাঁড়িয়ে প্লেন। আবার ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন। আপনার এবারের ট্যুর ডেস্টিনেশন হোক এই জায়গা।

মেদিনীপুর জেলায় রয়েছে এমনই এক ঘোরার অফবিট জায়গা। যা এক দিনেই ঘোরা যাবে এবং স্মৃতিতে থাকবে সারা জীবন। মেদিনীপুরের গোয়ালতোড় থেকে প্রায় ১৯ কিমি দূরে অবস্থিত এক শুনশান নগরী। এই শহরে থাকার জন্য সমস্ত কিছুই আছে। আছে ঘর, স্টেশন, প্ল্যাটফর্ম, এমনকি এয়ারপোর্ট! শুধু নেই জনমানব। মেদিনীপুর শহর থেকে হাতেগোনা কয়েক কিলোমিটার দূরে একটি মানবসৃষ্ট নগরী। বেশ কয়েক হেক্টর জায়গায় তৈরি এই সাজানো গোছানো জায়গা থেকে ঘুরে আসুন একবার। পরিবার-পরিজনদের নিয়ে ঘুরে এলে মন ভাল হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন: ব্যথা গায়েব নিমেষেই! ছোট্ট ড্রাই ফ্রুটের হাজারও গুণ, ক্যালসিয়াম মিলবে অফুরন্ত

আরও পড়ুন: হাড় থাকবে লোহার মতো মজবুত! ক্যালসিয়ামের পাওয়াহাউজ এই খাবারগুলি পাতে রাখুন

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এমনই এক সুন্দর জায়গাটি হল প্রয়াগ ফিল্ম সিটি। প্রায় বেশ কয়েকশো একর জায়গা জুড়ে এই জায়গাটি বিস্তৃত।ভিতরে প্রবেশ করলে একটা আলাদা অনুভুতি মিলবে। মূলত নানা সিনেমা, ওয়েব সিরিজ শ্যুটিংয়ের জন্য সাজানো হয়েছিল ফিল্ম সিটি। বেশ কিছু হিন্দি, বাংলা সিনেমা শ্যুটিং হয়েছে এখানে। তবে নানা কারণে এখন তেমন শ্যুটিং হয়না। তবে এই সাজানো গোছানো ছবির নগরীতে এলে মন জুড়িয়ে যাবে।

এই ফিল্ম সিটিটি অবস্থিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা রোডের কাছে অবস্থিত ডুকিতে। কলকাতা থেকে চন্দ্রকোণা রোড বাস কিংবা ট্রেনে আসা যায়। কলকাতা থেকে খুব কাছেপিঠে রয়েছে এই ফিল্ম সিটি। বাসে এলে ডুকিতে নামতে হবে অথবা বাইকে আসা যাবে কিংবা ছোট গাড়ি করে এলে চন্দ্রকোণা রোড বাস স্টপে নামলে টোটো বা ছোট গাড়ি করে পৌঁছে যাওয়া যাবে। সারাটা দিন সেখানে কেমন করে কেটে যাবে টেরই পাবেন না।

রঞ্জন চন্দ