Maldah News: ভয়াবহ নদী ভাঙন! কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাড়িঘর হারিয়ে নিরাশ্রয় শতাধিক পরিবার, খোলা আকাশের নীচে কাটছে রাত

মালদহ: মালদহে ভয়াবহ নদী ভাঙন। ফুলহর নদীর গ্রাসে রতুয়ার বিলাইমারির বিস্তীর্ণ এলাকা। সম্বল হারিয়ে নিরাশ্রয় শতাধিক পরিবার। বর্ষা শুরু হতেই বেড়েছে নদীতে জল। আর জল বাড়তেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ফুলহর নদী। মালদহের রতুয়া- ১ নম্বর ব্লকের বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাশমোহল গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন।

গত কয়েকদিন ধরে নদীর ভয়ঙ্কর রূপের সাক্ষী খাশমোহল এলাকার মানুষজন। বিঘের পর বিঘে জমি তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নিশ্চিহ্ন অসংখ্য বাড়ি। ভয়ে, আতঙ্কে নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এলাকার মানুষজন। উদ্দেশ্য, শেষ সম্বলের যেটুকু রক্ষা করা যায়। অন্তত বাড়িঘর, ইট ভেঙে যদি অন্য কোথাও করা যায় আস্তানা।

ভাঙনের তীব্রতায় একের পর এক নদীপাড় ভেঙে যাচ্ছে। আতঙ্কে বাড়িঘর ছাড়তে শুরু করেছে খাশমোহল গ্রামের মানুষজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই শতাধিক পরিবার নিজের বাড়িঘর ভেঙে অন্যস্থানে সরে গিয়েছে। নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বেশকিছু কাঁচা, পাকা বাড়ি। বর্তমানে কার্যত খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছে অসংখ্য পরিবার। ভাঙনের ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এলাকা।

আরও পড়ুন: সভাপতি পদ থেকে সরছেন সুকান্ত? মন্তব্যে শুরু জল্পনা…২৪ রাজ্যে তুমুল সাংগঠনিক রদবদল নাড্ডার, এবার কি বাংলা?

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত কোনওরকম হেলদোল নেই প্রশাসনের। এইভাবে চলতে থাকলে বিলাইমারি সহ ভূতনির তিনটি অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষজন। অবিলম্বে ভাঙন রোধের কাজের দাবিও উঠেছে।

খাসমহলের বাসিন্দা হজরত আলি, বরজাহান আলিরা বলেন, ‘‘চোখের সামনে বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, প্রশাসনের সাহায্য পাইনি। নিজেদের বাড়িঘর নিজেরা ভেঙে দেওয়া যে কী কষ্টের তা বুঝবেন একমাত্র ভুক্তভোগীরাই। প্রশাসন যদি এগিয়ে আসে তাহলে হয়ত কিছু রক্ষা হতে পারে।’’

আরও পড়ুন: রথযাত্রা ঘিরে সতর্কতা, সিভিল ড্রেসে থাকবে পুলিশ…গ্যাংস্টার থেকে গণপিটুনি সব নিয়েই গুরুতর আলোচনা

এই বিষয়ে রাজ্য সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন অবশ্য জানিয়েছেন, রতুয়া- ১ নম্বর ব্লকের বিডিওর সঙ্গে কথা বলে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করা হবে।