Tag Archives: Maldah news

Howrah-Mumbai Train Accident: দুর্ঘটনাগ্রস্থ ট্রেনে মালদহের পরিযায়ী শ্রমিক! কোমরে চোট

ভিন রাজ্যে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করেই সংসার চলে।‌ এবার কাজে যাওয়ার পথে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়লেন মালদহের পরিযায়ী শ্রমিক। দুর্ঘটনায় কোমরে চোট পেয়েছেন। দুর্ঘটনার পর ঠিকমত কথা বলতে পারছেন না। সেখানেই হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মালদহের চাঁচলের পরিযায়ী শ্রমিক রাজু শেখ।

এদিকে পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যাক্তির দুর্ঘটনায় জখম হওয়ার খবর পৌঁছাতেই উদ্বিগ্ন পরিবার।‌পরিবারে রয়েছে বৃদ্ধা মা-সহ স্ত্রী, তিন সন্তান। তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় সংসার কীভাবে চলবে এই চিন্তায় এখন পরিবারের লোকেদের মধ্যে। জখম শ্রমিকের মেয়ে রিয়া খাতুন বলে, “আমার বাবা পরিবারের একমাত্র রোজগেরে ব্যক্তি। এখন আমাদের কী হবে আমরা কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। শুনছি বাবার কোমরে চোট পেয়েছে। রেলের কাছে চিকিৎসার দাবি জানাচ্ছি আমরা।”

কুমিরের মতো দেখতে প্রাণী! আমবাগানে মানুষের ভিড়, আতঙ্ক গোটা এলাকায়

মালদহ: আমবাগানে উঁকি মারছে অদ্ভুত এক প্রাণী। আতঙ্কে কোণঠাসা গ্রামের বাসিন্দারা। মাটির রঙের দেখতে প্রাণীটির চারটি পা। দেখতে অনেকটা কুমিরের মত। তবে আকারে ছোট।
মালদহ: আম বাগানে উঁকি মারছে অদ্ভুত এক প্রাণী। আতঙ্কে গ্রামের বাসিন্দারা। মাটির রঙের দেখতে প্রাণীটির চারটি পা। দেখতে অনেকটা কুমিরের মতো। তবে আকারে ছোট।
প্রাণীটি নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারণ সাধারণত এই ধরনের প্রাণী এলাকায় দেখা যায় না। কতটা ভয়ঙ্কর এই প্রাণী সেটিও প্রথম দিকে বুঝতে পারছিলেন না কেউ।
প্রাণীটি নিয়ে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। কারণ সাধারণত এই ধরনের প্রাণী এলাকায় দেখা যায় না। কতটা ভয়ঙ্কর এই প্রাণী সেটিও প্রথম দিকে বুঝতে পারছিলেন না কেউ।
প্রাণীটি দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ। আতঙ্কে অনেকেই কাছে আসছিল না। পরে প্রাণীটি ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।পরে জানতে পারে সেটি গোসাপ। বর্তমানে আর তেমন দেখা যায় না।
প্রাণীটি দেখতে ভিড় করেন বহু মানুষ। আতঙ্কে অনেকেই কাছে আসছিল না। পরে প্রাণীটি ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। পরে জানতে পারে সেটি গোসাপ। বর্তমানে আর তেমন দেখা যায় না।
মালদহের হবিবপুর ব্লকের বাগান পাড়া গ্রামে হঠাৎ এই গোসাপ ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গোসাপটি একটি বিরল প্রজাতির। বর্তমানে আর দেখা যায় না।
মালদহের হবিবপুর ব্লকের বাগান পাড়া গ্রামে হঠাৎ এই গোসাপ ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গোসাপটি একটি বিরল প্রজাতির। বর্তমানে আর দেখা যায় না।
দীর্ঘক্ষণ গ্রামের পাশের আম বাগানে দেখা গিয়েছে এই গোসাপটি।পরে অন্যত্র চলে যায়। তবে প্রথম দিকে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। পরে অবশ্য চিনতে পেরে আতঙ্ক দূর হয়।
দীর্ঘক্ষণ গ্রামের পাশের আম বাগানে দেখা গিয়েছে এই গোসাপটি। পরে অন্যত্র চলে যায়। তবে প্রথম দিকে গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ায়। পরে অবশ্য চিনতে পেরে আতঙ্ক দূর হয়।

Maldah News: ভয়াবহ নদী ভাঙন! কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাড়িঘর হারিয়ে নিরাশ্রয় শতাধিক পরিবার, খোলা আকাশের নীচে কাটছে রাত

মালদহ: মালদহে ভয়াবহ নদী ভাঙন। ফুলহর নদীর গ্রাসে রতুয়ার বিলাইমারির বিস্তীর্ণ এলাকা। সম্বল হারিয়ে নিরাশ্রয় শতাধিক পরিবার। বর্ষা শুরু হতেই বেড়েছে নদীতে জল। আর জল বাড়তেই ভয়াবহ রূপ নিয়েছে ফুলহর নদী। মালদহের রতুয়া- ১ নম্বর ব্লকের বিলাইমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের খাশমোহল গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙন।

গত কয়েকদিন ধরে নদীর ভয়ঙ্কর রূপের সাক্ষী খাশমোহল এলাকার মানুষজন। বিঘের পর বিঘে জমি তলিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই নিশ্চিহ্ন অসংখ্য বাড়ি। ভয়ে, আতঙ্কে নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে বাড়িঘর ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এলাকার মানুষজন। উদ্দেশ্য, শেষ সম্বলের যেটুকু রক্ষা করা যায়। অন্তত বাড়িঘর, ইট ভেঙে যদি অন্য কোথাও করা যায় আস্তানা।

ভাঙনের তীব্রতায় একের পর এক নদীপাড় ভেঙে যাচ্ছে। আতঙ্কে বাড়িঘর ছাড়তে শুরু করেছে খাশমোহল গ্রামের মানুষজন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই শতাধিক পরিবার নিজের বাড়িঘর ভেঙে অন্যস্থানে সরে গিয়েছে। নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বেশকিছু কাঁচা, পাকা বাড়ি। বর্তমানে কার্যত খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছে অসংখ্য পরিবার। ভাঙনের ফলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এলাকা।

আরও পড়ুন: সভাপতি পদ থেকে সরছেন সুকান্ত? মন্তব্যে শুরু জল্পনা…২৪ রাজ্যে তুমুল সাংগঠনিক রদবদল নাড্ডার, এবার কি বাংলা?

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙন শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত কোনওরকম হেলদোল নেই প্রশাসনের। এইভাবে চলতে থাকলে বিলাইমারি সহ ভূতনির তিনটি অঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ মানুষজন। অবিলম্বে ভাঙন রোধের কাজের দাবিও উঠেছে।

খাসমহলের বাসিন্দা হজরত আলি, বরজাহান আলিরা বলেন, ‘‘চোখের সামনে বাড়িঘর ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, প্রশাসনের সাহায্য পাইনি। নিজেদের বাড়িঘর নিজেরা ভেঙে দেওয়া যে কী কষ্টের তা বুঝবেন একমাত্র ভুক্তভোগীরাই। প্রশাসন যদি এগিয়ে আসে তাহলে হয়ত কিছু রক্ষা হতে পারে।’’

আরও পড়ুন: রথযাত্রা ঘিরে সতর্কতা, সিভিল ড্রেসে থাকবে পুলিশ…গ্যাংস্টার থেকে গণপিটুনি সব নিয়েই গুরুতর আলোচনা

এই বিষয়ে রাজ্য সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন অবশ্য জানিয়েছেন, রতুয়া- ১ নম্বর ব্লকের বিডিওর সঙ্গে কথা বলে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করা হবে।

Maldah news: দেওরের হাতে খুন বৌদি! নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা, খুনের চেষ্টা দাদা ও মা-বাবাকেও, মালদহের ঘটনায হুলস্থূল

মালদহ: নেশা করার টাকা চেয়ে না পাওয়ায় বৌদিকে কুপিয়ে খুন। বাবা ও মাকে চাকু মেরে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা এক যুবকের। ঘটনায় বৌদির মৃত্যু হলেও বাকি তিনজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। রবিবার গভীর রাতে ইংরেজবাজার থানার মহদিপুরের লিচুপাড়া এলাকায় ঘটনা।

জানা গিয়েছে, নিহতের নাম নাজিমা খাতুন। আহতরা হলেন ইসরাইল শেখ, তাঁর বাবা সিলু শেখ এবং মা মুজলেফা বিবি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল অভিযুক্ত যুবক ইসরাইল শেখ। মাঝেমধ্যেই টাকা এবং দামি জিনিসপত্রের দাবিতে বাড়িতে অত্যাচার করত। আগেও এনিয়ে গোলমালের ঘটনা হয় বাড়িতে।

গত রবিবার রাতে টাকার দাবিতে বাড়িতে গন্ডগোল বাঁধায় সে। এরপর হঠাৎই মেজাজ হারিয়ে ইসরাইল শেখ তার বাবা-মা এবং বৌদিকে চাকু মেরে খুন করার চেষ্টা করে। শেষে নিজেও নিজের পেটেও চাকু মারে ওই যুবক।

আরও পড়ুন: চোর সন্দেহে নির্মম মার, আরও দুই মৃত্যু! গণপিটুনি রোগ এবার ঝাড়গ্রাম, তারকেশ্বরে

আহতদের চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। এরপর রক্তাক্ত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকেরা নাজিমা খাতুন নামে ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এদিকে কীভাবে মহদিপুর সহ আশেপাশের এলাকায় মাদকের রমরমা বাড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অবিলম্বে মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।

আরও পড়ুন: সোমবার থেকেই আইনকানুন বদলে যাচ্ছে দেশে, ব্রিটিশ আমলের বিধির বদলে এবার মোদি সরকারের নতুন ‘ক্রিমিনাল ল’

অভিযোগ, এলাকায় একাধিক আম ও লিচু বাগানে নির্জন এলাকায় প্রায়ই মাদকাসক্তদের ঠেক বসছে। এলাকার অনেকেই মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এনিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।

নিহত মহিলার স্বামী তথা অভিযুক্ত যুবকের দাদা ইসমাইল শেখ বলেন, ‘‘ভাই মাঝেমধ্যেই টাকার জন্য বাড়িতে গোলমাল পাকাত। এর আগেও জোর করে দামি মোবাইলের জন্য টাকা আদায় করে। এদিন ফের নতুন করে টাকা দাবি করে। এরপরেই হামলা চালায়।’’

পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ঘটনা তদন্ত শুরু করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক একটু সুস্থ হলে তার সঙ্গে কথা বলবে পুলিশ। খুনের ঘটনায় আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে।

গোপন ডেরায় চলছিল হাতবদল! পুলিশ ধরল তিনজনকে! এত টাকার নিষিদ্ধ জিনিস!

মালদহ: গোপন ডেরায় হস্তান্তর হচ্ছিল লক্ষাধিক টাকার মাদক। দুই পাচারকারী অপর এক পাচারকারীর হাতে তুলে দিচ্ছিল মাদকের প্যাকেট। ঠিক সেই সময় এলাকায় হানা দেয় পুলিশ।

মাদক হস্তান্তরের সময় হাতেনাতে তিন পাচারকারীকে আটক করে পুলিশ। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার। ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।

মালদহের বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার ঘটনা। এদিন গভীর রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ হানা দেয় সাউথ মালদহ কলেজ চত্বর এলাকায়। সেখানেই একটি গোপন ডেরায় জড়ো হয়েছিল তিন পাচারকারী। সঙ্গে ছিল লক্ষাধিক টাকার ব্রাউন সুগার।

আরও পড়ুন- ভারতের ফাঁড়া কাটল, যিনি থাকলে টিম ইন্ডিয়া হারে, তিনি সেমিফাইনালে নেই!

হস্তান্তরের পরেই ব্রাউন সুগারগুলি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করা হত। এমনটাই প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। কিন্তু তার আগেই সেগুলি উদ্ধার করে। ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করে।

অভিযুক্তরা হল আবু সাইদ ওরফে বাদশা সামিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম। তিন জনের বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায়। তাদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। চোরা বাজারে যেগুলো আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, আবু সাঈদ ওরফে বাদশা ও সামিউল ইসলাম দুই জনে জাহাঙ্গীর আলমকে ব্রাউন সুগার হস্তান্তরের জন্য এসেছিল। সাউথ মালদহ কলেজ চত্বর থেকে অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

এদিন অভিযুক্তদের মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হয়। এই পাচার চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, এছাড়াও কোথায় ব্রাউন সুগার বলি পাচার হত, এই সমস্ত বিষয়ে তথ্য জানতে অভিযুক্তদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন- বিরাট কোহলিকে নিয়ে বড় খবর! সেমিফাইনালে বদলে যাবে ভারতীয় দল, আসছে নতুন তারকা

মালদহ জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেছেন, ব্রাউন সুগার-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

হরষিত সিংহ

মেয়ের বিয়ের দিন, বাড়িতে ফিরল বাবার কফিনবন্দি দেহ! মর্মান্তিক ঘটনা

মালদহ: যেদিন কথা ছিল মেয়ের বিয়ে হওয়ার, সেদিনই বাড়িতে ফিরল ভিন রাজ্যে কর্মরত পরিযায়ী শ্রমিক বাবার দেহ। বাবা এলেন ঠিকই। কিন্তু কফিনবন্দি হয়ে ফিরলেন। কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার-সহ গোটা গ্রাম।

ফের ভিনরাজ্যে মালদহের পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু। এবার পঞ্জাবে কাজে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হকের (৪৫)।

পঞ্জাবে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন আজিজুল। গত সোমবার কর্মস্থল থেকে মোটরবাইক নিয়ে নিজের অস্থায়ী বাসস্থানে ফিরছিলেন। সেই সময় পথ দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন- আর ট্রেন যাত্রায় নেই শৌচালয়ে গন্ধের ভয়! আসছে ‘গন্ধভেদ’, কী ভাবে ব্যবহার করবেন

পঞ্জাব পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। বুধবার সকালে আজিজুলের কফিনবন্দি দেহ গ্রামের বাড়িতে ফেরে। জানা গিয়েছে, পরিবার নিম্ন মধ্যবিত্ত। আর্থিক দুর্দশা লাঘবের জন্য ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন আজিজুল।

প্রতিদিনই বাড়িতে যোগাযোগ করে মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থাার খোঁজখবর নিতেন তিনি। বাড়তি পরিশ্রম করে বাড়তি কিছু রোজগারও করেছিলেন। কিন্তু এক লহমায় সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার। এমনকী দেহ আনার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া প্রতিবেশীরাই চাঁদা তুলে জোগাড় করেন।

আজিজুলের পরিবারে দুই মেয়ে এবং এক ছেলে রয়েছে। এর মধ্যে এক মেয়ের বিয়ের কথা ছিল এদিন। তাই আজিজুলেরও বাড়িতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তাঁদের বাবা এই ভাবে ফিরবেন ভাবতে পারেনি ছেলে মেয়েরাও। শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।

আরও পড়ুন- এবার উত্তরবঙ্গে বড় দুর্যোগ! কাল থেকে ভাসবে এই পাঁচ জেলা

এদিন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য মর্জিনা খাতুন। তিনি একইসঙ্গে শাসকদলের ব্লক সভাপতি। পরিবারকে সমবেদনা জানাতে হাজির হন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ও জনপ্রতিনিধিরাও।

সরকারিভাবে ওই পরিবারকে দ্রুত ২ লক্ষ টাকা সাহায্য-সহ অন্য সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য। অন্যদিকে, এই ঘটনায় পরিবারকে সমবেদনা জানালেও পরিযায়ীর আকস্মিক মৃত্যুর জন্য রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থান নেই বলেই ভিন্ন রাজ্যে গিয়ে এমন মর্মান্তিক পরিণতি বলে অভিযোগ বিজেপির।

West Bengal news: মালদহে খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ত্রাণের ত্রিপল! বিশ্ব বাংলার লোগো-সহ উদ্ধার প্রচুর ত্রিপল

মালদহ: খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ‘সরকারি’ ত্রাণের ত্রিপল। বিশ্ব বাংলা লোগো-সহ বেশ কিছু ত্রিপল উদ্ধার হয় মালদহের মানিকচকের মথুরাপুর সাপ্তাহিক হাট থেকে। দুপুরে স্থানীয় বেশ কিছু ক্রেতা এই ত্রিপলগুলি বিক্রি করতে দেখেন হাটের মধ্যে, তাঁরা প্রতিবাদ করে আটক করেন ত্রিপলগুলি।

পরে দেখা যায়, হাটের মধ্যে একাধিক দোকানে একইভাবে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ত্রিপল। এক একটি ত্রিপল এর দাম প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। হাটের মধ্যে বিভিন্ন দোকান থেকে ৫০টিরও বেশি সরকারি ত্রিপল উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়দের দাবি, একটি গাড়িতেও সরকারি ত্রিপল বোঝাই করে রাখা ছিল। হইচই শুরু হওয়ায় সেখান থেকে চম্পট দেয় ত্রিপলবোঝাই গাড়ি।

ত্রিপল উদ্ধারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, দুর্যোগের সময় অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষ সরকারি পলিথিন পান না। অথচ কী ভাবে সরকারি ত্রাণের ত্রিপল দুঃস্থ মানুষদের না দিয়ে খোলা বাজারে বা হাটে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি ত্রিপলের গায়ে লেখা রয়েছে সরকারি ব্যবহারের জন্য, বিক্রয়ের জন্য নয়, তা স্বত্ত্বেও। প্রতিটি ত্রিপলে বিপর্যয় মোকাবিলায় দপ্তরের নামও লেখা রয়েছে।

স্থানীয়দের আবেদন, প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। অসহায় মানুষদের জন্য যে ত্রিপলগুলিতে সরকারের স্ট্যাম্প মারা তা হাটে এল কী করে? হাটে কয়েকটি দোকান থেকে বেশকিছু ত্রিপল উদ্ধার করে তুলে নিয়ে যান এলাকার বাসিন্দারা।

উল্লেখ্য, বছরখানেক আগেও মালদহের মানিকচকের ভূতনিতে খোলা বাজারে সরকারের ত্রিপল বিক্রির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। এ দিকে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার পর মালদহের মানিকচকে খোলা বাজারে সরকারি ত্রিপল বিক্রির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় এক বিক্রেতাকে। পুলিশি অভিযানে উদ্ধার হয় ৩৯টি ত্রিপল। ধৃত ফারিজউদ্দিন মোমিন কালিয়াচক থানার শেরশাহী এলাকার বাসিন্দা।

অন্যদিকে, এই খবর নজরে আসতেই সরকারি ত্রিপল বিক্রির ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ প্রশাসনের। এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দেন মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া। এ ভাবে ত্রিপল বিক্রি আইনি অপরাধ, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছেন জেলাশাসক।

West Bengal news: বিয়ের তিনমাসের মধ্যেই অঘটন, মালদহে বজ্রপাতে মৃত্যু দম্পতির, কান্নায় ভেঙে পড়লেন মা 

মালদহ: বৃহস্পতিবার প্রাকৃতিক দুর্যোগ আর ঘন ঘন বজ্রপাতে মালদহে মৃত্যু হয় ১১ জনের। আজ দুপুরের মধ্যে সমস্ত মৃতদেহ ময়নাতদন্তের কাজ শেষ করে পরিবারের হাতে তুলে দিল প্রশাসন। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথাও জানিয়েছে প্রশাসন। এদিকে গতকালের এই আকস্মিক মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকজন। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের কুর্শাডাঙি গ্রামের নব দম্পতি নয়ন রায় এবং প্রিয়াঙ্কা রায়। মাত্র তিন মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল দম্পতির।

আশা করেছিলেন ছেলে- বৌমাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে পরিবার নিয়ে কাটাবেন। কখনও ভাবেননি, ছেলে- বৌমার মৃতদেহ  নিতে আসবেন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। ছেলের ধুমধাম করে বিয়ে দিয়েছিলেন ফাল্গুন মাসের ১৩ তারিখে।  আর ঘরে এনেছিলেন নতুন বৌমা। এইভাবে ছেলে-বৌমাকে তিন মাসের মাথায় হারাতে হবে বুঝতেই পারেননি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদার তেঁতুল গাছি এলাকার বৃদ্ধা চুনিয়া  রায়। মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মর্গের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন চুনিয়া রায়।

আরও পড়ুন: ট্রেনের মিডল বার্থে টিকিট কেটেছেন? ইচ্ছে হলেই ঘুমাতে পারবেন না, নির্দিষ্ট নিয়ম আছে রেলের

চুনিয়া রায় জানান, গতকাল দুপুরে নিজেদেরই জমিতে ফসল চাষ করতে গিয়েছিলেন ছেলে, বৌমা। হঠাৎই কালো মেঘে ঘনিয়ে আসে গোটা আকাশে। নিমেষের মধ্যেই শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি। বৃষ্টির সাথে আচমকা বাজ। আর তাতেই সব সর্বনাশ হয়ে গেল। কিছুক্ষণ পরেই অন্যান্য প্রতিবেশীদের মাধ্যমে খবর পাই ছেলে-বৌমা আর নেই। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেইখানেই ছেলে-বৌমাকে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

এদিন মালদা মেডিকেল কলেজে পৌঁছে ময়নাতদন্তের প্রক্রিয়া তদারকি করেন রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, মালদহের জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া, ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী প্রমূখ। হাজির ছিলেন জেলা সিপিএম নেতৃত্বও ।

WB Madhyamik 10th Result 2024: শহুরে নামকরা স্কুলকে টেক্কা গ্রামীণ স্কুলের! একই ক্লাস থেকে মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় ৪

মালদহ: শহর মালদহ নয়, এবার মাধ্যমিক ফলাফলে নজর কাড়ল মালদহের গ্রামীণ এলাকা। শহরের নামজাদা স্কুলগুলিকে পেছনে ফেলে ভাল ফল করল কালিয়াচকের মোজমপুর হাজী শেখ সুভানী বিশ্বাস হাই স্কুল। মালদহে সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে এই স্কুল থেকেই। রাজ্য যৌথ ভাবে ষষ্ঠ তথা মালদহে সম্ভাব্য প্রথম হয়েছে শাহাবুদ্দিন আলি। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮।

শাহাবুদ্দিন আলির কথায়, ”বড় হয়ে আমার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার ইচ্ছা আছে। ভাল ফল হবে ভেবেছিলাম কিন্তু সেরা দশের মেধাতালিকায় থাকব বলে আশা করিনি। আমার খুব ভাল লাগছে এই ফলে।”

রাজ্যে নবম তথা জেলায় সম্ভাব্য দ্বিতীয় হয়েছে বিশাল চন্দ্র মণ্ডল ও আমিনূল ইসলাম। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৫। রাজ্যে দশম তথা জেলায় সম্ভাব্য তৃতীয় হয়েছে বিশাল মণ্ডল। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। জেলায় প্রথম তালিকায় থাকা চার জন মোজমপুর হাজী শেখ সুভানী বিশ্বাস হাই স্কুল থেকে এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল।

বিশাল চন্দ্র মণ্ডল বলে, ”চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে আমার। ছোটবেলা থেকেই বাবা পড়াশোনায় গাইড করত। বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। বাবা আমার প্রথম গুরু। মেধাতালিকায় আসতে পেরে খুব ভাল লাগছে।”

আরও পড়ুন: স্বস্তির বৃষ্টিতেই এক ধাপে নামবে কলকাতার তাপমাত্রা! কবে থেকে বাড়বে বৃষ্টির দাপট? আবার কি দাবদাহ ফিরবে রাজ্যে!

তারা প্রত্যেকেই কালিয়াচকের একটি বেসরকারি মিশন স্কুলে পড়াশোনা করে। তাদের এমন সাফল্যে খুশি স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে অভিভাবকেরা। মালদহ শহরের নামজাদা স্কুলগুলি এতদিন মেধাতালিকায় স্থান অধিকার করে এসেছে। এই বছর ব্যতিক্রমী ভাবে শুধুমাত্র কালিয়াচকের একটি স্কুল থেকেই নজরকাড়া সাফল্য চার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। পাশাপাশি মালদহ শহরের নামজাদা স্কুলগুলো মেধাতালিকায় না এলেও সার্বিক ফলাফল ভাল হয়েছে।

হরষিত সিংহ

Malda News: রাজনৈতিক ভাষণের কচকচানি নয়! গম্ভীরা, বাউলের সুরে প্রার্থীর হয়ে ভোট প্রচার…অভিনব কৌশল বিজেপির

মালদহ: ‘গম্ভীরা’ মালদহের ঐতিহ্য। গম্ভীরা গান বাঁধা হয় মালদহের নিজস্ব ভাষায়। এই গান মালদহবাসীর সহজ বোধগম্য। তাই এবার গম্ভীরা গানকেই ভোট প্রচারের হাতিয়ার করলেন দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।

শুধুমাত্র গম্ভীরা নয়, বাংলার বাউল গানের মধ্যে দিয়েও তিনি বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে ভোট প্রচার করছেন। গম্ভীরা শিল্পী ও বাউল শিল্পীরা প্রার্থীর হয়ে নতুন গান বেঁধেছেন। সেই গান পরিবেশন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সেখানে উপস্থিত থাকছেন প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তিনিও গানের তালে তাল মেলাচ্ছেন।

বাউলের তালে দলীয় কর্মী সমর্থকেরা সঙ্গে নাচ করতেও দেখা যাচ্ছে প্রার্থীকে। বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, ‘‘মালদহের ঐতিহ্য গম্ভীরা আর বাংলার ঐতিহ্য বাউল গান। এগুলি নিয়েই আমাদের পথ চলা। তাই এই বাউল গম্ভীরা গানের মাধ্যমেই ভোট প্রচার করছি।’’

আরও পড়ুন: ৪৫-এ পুড়ছে পানাগড়! কলকাতা ৪১…দক্ষিণবঙ্গজুড়ে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি কবে হবে? জানাল আলিপুর

মালদহ শহরের সুকান্ত মোড়, রথবাড়ি মোড় সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় ছোট ছোট আখড়া তৈরি করে কোথাও গম্ভীরা আবার কোথাও বাউল গান পরিবেশন করা হচ্ছে। কোনও মঞ্চ বেঁধে নয়, খোলা আকাশের নীচেই এই ছোট ছোট আখড়াগুলো বসছে। গম্ভীরা ও বাউল গানের মাধ্যমে বিজেপির বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের কথা তুলে ধরা হচ্ছে। তুলে ধরা হচ্ছে শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বিভিন্ন কথা।

তাঁকে মানুষ ভোট দিলে কী হবে, আগামী পরিকল্পনা কী রয়েছে সমস্ত কিছুই গানের মাধ্যমে বোঝানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষ ভিড় করে শুনছেন এই অভিনব ভোট প্রচার। কারণ এই প্রচারে কোনরকম রাজনৈতিক ভাষণ নেই, শুধুমাত্র গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হচ্ছে প্রার্থী ও বিজেপির নানান গুণকথা।

আরও পড়ুন: প্রথম দফার মতোই দ্বিতীয় দফাতেও বুথে বুথে থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী, মোতায়েন ২৯৯ কোম্পানি

একদিকে বিনোদনের মধ্যে দিয়ে মানুষ ভোট প্রচার শুনছেন এই অভিনব পদ্ধতিতে। আগামীতে দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় এইভাবে ভোট প্রচারের পরিকল্পনা রয়েছে বিজেপি প্রার্থী ছিল শ্রীরুপা মিত্র চৌধুরীর বলে তিনি জানান। এই গম্ভীরা বা বাউল বাংলার ও মালদহের ঐতিহ্য তাই তিনি এই লোকগানকেই বেছে নিয়েছেন ভোট প্রচারের মাধ্যম হিসেবে।

হরষিত সিংহ