২. ক্যাফেইন বা নিকোটিন সেবন: ক্যাফেইন এবং নিকোটিনের মতো পদার্থ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। ক্যাফেইন আমাদের শরীরকে জাগ্রত ও সজাগ রাখে, যা ঘুম নষ্ট করতে পারে। একইভাবে, নিকোটিনও একটি উদ্দীপক যা ঘুমের চক্রকে প্রভাবিত করে। তাই রাতে চা-কফি পান না করা এবং সিগারেট চিরতরে পরিহার করাই উচিত।

দিনের শুরুতে কফির কাপে চুমুক না দিলে ঘুম যেন কাটতেই চায় না? মুক্তো ঝরানো হাসি কিন্তু বিবর্ণ করে দিতে পারে এই অভ্যাস

কলকাতা: কফির কাপে চুমুক না দিলে সকালে ঘুম যেন ভাঙতেই চায় না। সারাদিন ধরে যেন ক্লান্তি আর কাটতেই চাইবে না। কিন্তু কফি পান করা তো স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী নয়! এমনটাই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কিছু ইনফ্লুয়েন্সার অবশ্য বলেন যে, ঘুম থেকে ওঠার ৯০ থেকে ১২০ মিনিট পরে ক্যাফিন পান করলে দেহে এনার্জির সঞ্চার তো ঘটবেই। সেই সঙ্গে দুপুরে ঘুমও আসবে না। ইনফ্লুয়েন্সারদের এই পরামর্শ যা-ই হোক না কেন, তবে দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতি ডেকে আনতে পারে ক্যাফিন! এমনটাই জানাচ্ছেন এএম মেডিক্যাল সেন্টারের এমডিএস (প্রস্থোডনটিক্স) (স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত), ইমপ্ল্যান্টোলজি এবং কসমেটিক ডেনটিস্ট্রি ডা. মুন চট্টরাজ।

আরও পড়ুন– সেপ্টেম্বরেই কলাকৃতি অ্যাওয়ার্ডস সিজন ৩; খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব আর তারকাদের হই-হুল্লোড়ে জমে গেল প্রি-লঞ্চ পার্টি

দাঁত বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার পিছনে দায়ী করা যেতে পারে কফিকে। কফির মধ্যে থাকা ডার্ক পিগমেন্ট আবার ক্রোমোজেনস নামে পরিচিত। দাঁতের বাইরের দিকের কঠিন আবরণ এনামেলে লেগে থাকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই পিগমেন্ট এনামেলের মধ্যে প্রবেশ করে। আর তার তলায় থাকা ডেন্টিনের উপর ছাপ ফেলে। যার জেরে দাঁতে হলুদ কিংবা বাদামি ছোপ দেখা দিতে থাকে। এর পাশাপাশি কফির অ্যাসিডিটি এনামেলের ক্ষয় করে দিতে থাকে। আর দাঁতের ক্ষয় এবং ক্ষতি হয়ে যায়। এই ক্ষয়ের জেরে দাঁতের নানা সমস্যা এবং ক্যাভিটির ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়।

Dr. Moon Chattaraj-MDS (Prosthodontics) (Gold Medalist), Implantology and Cosmetic Dentistry
Dr. Moon Chattaraj-MDS (Prosthodontics) (Gold Medalist), Implantology and Cosmetic Dentistry

আরও পড়ুন– বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ দেশের নাম জানেন? জিডিপি পার ক্যাপিটা অনুযায়ী রইল তালিকা

দাঁত বিবর্ণ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি মুখের স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি করে দিতে পারে কফি পানের অভ্যাস। কফির মধ্যে থাকা অ্যাসিডিক-ধর্মী উপাদান আবার ব্যাকটেরিয়া উৎপন্ন হওয়ার পরিবেশ তৈরি করে দেয়। ক্যাভিটি, মাড়ির ক্ষয় এবং দাঁতের ক্ষয়-সহ নানা সমস্যা দেখা দিতে থাকে। এখানেই শেষ নয়, মুখের লালা বা স্যালাইভা উৎপন্ন হওয়ার ক্ষেত্রেও বাধা দেয় কফি। আসলে অ্যাসিড নিউট্রাল করা, খাবারের কণা ও ব্যাকটেরিয়া সাফ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে স্যালাইভা। ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, সেটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ! আর স্যালাইভার মাত্রা কমে যাওয়ায় প্লাক জমতে থাকে। দাঁত বিবর্ণ হয়ে যায় এবং আরও নানা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। দাঁত রক্ষা করার জন্য ওরাল হাইজিন বজায় রাখতে হবে। ফলে কফি পান করার পরিমাণ কমাতে হবে। নিয়মিত ডেন্টিস্টের কাছে চেক-আপ করাতে যেতে হবে।

ডা. মুন চট্টরাজের কথায়, “অনেকেই সকালে কফি পান করতে ভালবাসেন। যা দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে। এর গাঢ় পিগমেন্ট এনামেলের মধ্যে লেগে থাকে। ফলে দাঁতের দাগ উঠতেই চায় না। আসলে কফির অ্যাসিডিটি এনামেল দুর্বল করে দিতে পারে। আর দাঁতের ক্ষয় বৃদ্ধি করে। একজন প্রস্থোডনটিক্স হিসেবে আমি হামেশাই রোগীদের মুখের স্বাস্থ্যের যত্নের বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। নিয়মিত ব্রাশ করা, ফ্লস করা এবং নিয়মিত দাঁতের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হলে দাঁত বিবর্ণ হয়ে যাওয়া রোধ হয়। আর দাঁতের স্বাস্থ্যও থাকে ভাল।”

(Disclaimer: প্রতিবেদনের লেখা তথ্য News18 বাংলার নিজস্ব মত নয় ৷ সঠিক ফল পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷)