এয়ার কন্ডিশনার সারানোর সময়ে ভয়াবহ এই ঘটনাটি ঘটে। একটি এয়ার-কন্ডিশনারের আউটডোর ইউনিট হঠাৎই প্রচণ্ড শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে।

এসি থেকে কতটা জল বেরনো স্বাভাবিক? বর্ষার এই সময় সাবধান! না জানলেই খরচ বাড়ে

কলকাতা: আমাদের দেশে সাধারণত গ্রীষ্ম এবং বর্ষা উভয় ঋতুতেই এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা হয়। এসি গ্রীষ্মের মরশুমে প্রচণ্ড গরম থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

আবার বর্ষাকালে এটি আর্দ্রতা থেকে মুক্তি পেতে উপকারী। তবে যাঁরা বছরের পর বছর ধরে এটি ব্যবহার কররে আসছেন তাঁরাও এই বিষয়টি জানেন না যে, বর্ষাকালে এসি থেকে প্রচুর জল বের হয় কেন।

প্রকৃতপক্ষে, বৃষ্টি এবং প্রচণ্ড গরমের সময় এয়ার কন্ডিশনার থেকে জল বের হওয়া নির্ভর করে এসি ইউনিটের আর্দ্রতার স্তর এবং অপারেটিং অবস্থার উপর।

আর্দ্রতার মাত্রা:

বৃষ্টির সময়, বাতাসে আর্দ্রতার মাত্রা সাধারণত বেশি থাকে। যখন একটি এয়ার কন্ডিশনার উষ্ণ, আর্দ্র বাতাসকে ঠান্ডা করে, তখন এটি আর্দ্রতাকে ঠান্ডা হতে সাহায্য করে এবং বাষ্প জলের ফোঁটায় ঘনীভূত হয়। এই ঘনীভূত জল তখন এসি ইউনিট থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে বেরিয়ে আসে।

আরও পড়ুন- জলের দরে 5G স্মার্টফোন! বড় স্ক্রিন, অ্যান্ড্রয়েড 14, কেনার আগে জেনে নিন বিশদে

অন্য দিকে, গরমের সময়, বিশেষ করে কম আর্দ্রতা সহ শুষ্ক হাওয়ায় বাতাসে কম আর্দ্রতা থাকে। ফলস্বরূপ, এসি ইউনিট বেশি ঘনীভবন করে জল সংগ্রহ করে না।

এসির অপারেটিং সিস্টেম:

এয়ার কন্ডিশনারগুলি বাতাসকে ঠান্ডা করে এবং আর্দ্রতা অপসারণের কাজ করে। যখন এসি উচ্চ আর্দ্রতায় চলতে থাকে (যেমন, বৃষ্টির সময়), এটি বাতাস থেকে আরও বেশি আর্দ্রতা টেনে নেয়, যার ফলে আরও বাষ্প ঘনীভূত হয়।

খুব গরম এবং শুষ্ক অবস্থায়, এসি বাতাসকে শীতল করলেও, এতে জল তৈরি করার জন্য যথেষ্ট আর্দ্রতা থাকে না।

আরও পড়ুন- স্মার্টফোনেরও কি ‘এক্সপায়ারি ডেট’ হয়? মেয়াদ শেষ বুঝবেন কীভাবে? রইল ট্রিকস

ডিজাইন এবং ইনস্টলেশন:

যেভাবে এয়ার কন্ডিশনার ইনস্টল করা হয়েছে এবং যেভাবে ড্রেনেজ সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে তাও ইউনিট থেকে কতটা জল ঝরবে তা নির্ণয় করে। সঠিক ভাবে ইনস্টলেশন নিশ্চিত করে যে, বাইরের আবহাওয়া নির্বিশেষে এসি ইউনিট থেকে কনডেনসেট কার্যকর ভাবে কাজ করছে।

সামগ্রিক ভাবে, বৃষ্টির সময় এয়ার কন্ডিশনার থেকে জল ঝরে পড়ে, কারণ আর্দ্রতার মাত্রা বেশি থাকে, যা ঘনীভবনের মাত্রা বাড়ায়। একই সময়ে, গ্রীষ্মে, বিশেষ করে শুষ্ক অবস্থায়, এসিতে ঘনীভূত হওয়ার জন্য কম আর্দ্রতা থাকে, তাই কম পরিমাণে জল বের হয়। এমনিতে দেড় টন এসি থেকে প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ গ্যালন জল নির্গত হতে পারে।