উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের স্টাফদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের স্টাফদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা, দেখে নিন বিশদে

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: ট্রেনের সুগম ও সুরক্ষিত চলাচলের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত প্রধান দুটি ক্যাটাগরি তথা লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলট-সহ স্টাফদের জন্য রানিং রুমগুলিতে সর্বোত্তম সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্য উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে সর্বদা একনিষ্ঠ ও আন্তিরকভাবে নিয়োজিত থাকে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা-সহ মোট ৪২টি রানিং রুম রয়েছে।

আরও পড়ুন– শৌচাগারেই হয় রান্নাবান্না, হাত-পা ছড়িয়ে যায় না ঘুমোনো; অথচ দেশলাই বাক্সের মতো ছোট্ট বাড়ির ভাড়া শুনলে চোখ উঠবে কপালে!

প্রত্যেকটি রানিং রুমে সংযুক্ত শৌচালয়-সহ পর্যাপ্ত আয়তনের ডাবল বেডের সাউন্ড প্রুফ রুম, ধ্যান এবং যোগ অনুশীলন করার জন্য মেডিটেশন রুমের মতো সুবিধা রয়েছে, যাতে ট্রেন চালানোর সময় তাঁরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ ও সতেজ থাকেন। এ ছাড়াও রয়েছে রিডিং রুম, ডাইনিং হল, পৃথক ভেজ ও নন-ভেজ কিচেন, আরঅ’ পিউরিফায়েড পানীয় জল, পরিষ্কার ক্ষৌমবস্ত্র, সোলার হট ওয়াটার সিস্টেম, লন্ড্রি/আইরনিং, সম্পূর্ণ শরীর ও ফুট ম্যাসেজার, ট্রেডমিল এবং অটোমেটিক সাইকেলের মতো আধুনিক সরঞ্জাম-সহ জিমনেসিয়াম। এই সুবিধাগুলি লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটের মতো রানিং স্টাফদের প্রদান করা হয়, যাতে কর্তব্য শেষ হওয়ার পর তাঁরা শারীরিক ও মানসিকভাবে পর্যাপ্ত বিশ্রাম লাভ করেন এবং সতেজ ভাব নিয়ে পুনরায় তাঁদের কর্তব্য শুরু করতে পারেন। এই রানিং রুমগুলি হল লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের জন্য বাড়ি থেকে দূরে নিজেদের বাড়ির মতো।

আরও পড়ুন– উত্তরবঙ্গে বুধবার ও বৃহস্পতিবার প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা, দক্ষিণবঙ্গে আবহাওয়া কেমন থাকবে? জেনে নিন

যাত্রীদের জন্য এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী নিরাপদে, সময় অনুযায়ী এবং দক্ষভাবে পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটরা প্রায়ই গভীর রাতে এমনকী, মধ্য রাতেও নিজেদের ডিউটি শেষ করেন। তাঁরা যেন উপযুক্ত বিশ্রাম এবং আহার লাভ করতে পারে, তা নিশ্চিত করাটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তাঁরা নিজেদের পরবর্তী কাজের সময় সতর্ক ও সতেজ থাকতে পারেন এবং কোনও বাধা ছাড়াই ট্রেনের চলাচল নিশ্চিত করতে পারেন। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে সময়ে সময়ে লোকো পাইলট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট লোকো পাইলটদের পরিবারবর্গের সঙ্গে বার্তালাপের ব্যবস্থা করা হয়।