Tag Archives: north east frontier railways

Railway News: ভারতীয় রেলের বড় পদক্ষেপ! ভারী বর্ষার আগে যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, ট্রেনে চাপার আগেই জানুন

ট্রেনের অবিরতভাবে পরিচালন এবং বাধাহীন পরিষেবা নিশ্চিত করতে বিশেষত বর্ষাকালে নিজেদের যাত্রীদের সুগম ভ্রমণ প্রদানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে। স্থায়ী প্রচেষ্টা ও পরিকাঠামোর আপগ্রেডেশনের জন্য বিগত কয়েক বছরে বর্ষার সময় ট্রেন পরিচালনায় সুবিধা হয়েছে। এর ফলে প্রচুর বৃষ্টিপাত সত্ত্বেও ন্যূনতম বাধা সহ প্রত্যেকটি ডিভিশনে মসৃণ ও স্বাভাবিকভাবে ট্রেন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সাহায্য হয়েছে।

এক্ষেত্রে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে সিভিল, মেকানিক্যাল, সিগনালিং, ইলেক্ট্রিক্যাল সম্পদ ও সরঞ্জাম ইত্যাদির উপযুক্ত সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের পাশাপাশি মিশন মোডে বর্ষাকালের জন্য বেশ কয়েকটি প্রস্তুতিমূলক কাজ গ্রহণ করা হয়েছে। উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের অন্তর্গত পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে থাকা সমগ্র উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের অধিক্ষেত্রের অধীনে বিস্তৃত ৬৪০০ কিলোমিটারেরও বেশি রেলওয়ে ট্র্যাকে বিগত কয়েক মাস ধরে বর্ষাকালের সাথে মোকাবিলা করার জন্য উপকরণ আনা-নেওয়া করা হচ্ছে।  এই রেলপথে বর্ষাকাল বিশাল এক প্রত্যাহ্বান।

প্রতি বছর প্রায় ৭০০০ এমএম প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়া তথা নিম্ন হিমালয়ান রেঞ্জের পাদদেশের কাছে জটিল ভূখণ্ডের মধ্যে অবস্থিত অঞ্চলে এই রেলওয়ে পরিষেবা দিয়ে চলেছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বর্ষার স্বাভাবিক সময় হলো প্রত্যেক বছর মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত, অন্যদিকে লামডিং ডিভিশনে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় বর্ষা। প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও ভূমি ধসের জন্য বাঁধ খণ্ড বিখণ্ড হওয়া, ব্রিজের উপর দিয়ে জলের প্রবাহ বয়ে যাওয়া ইত্যাদি ঘটনা প্রায়ই ঘটে। ট্র্যাকের সুরক্ষিত ও ভালো অবস্থা নিশ্চিত করতে একটি বিস্তারিত কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে, যাতে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও আপোস না করা হয়।এই জন্য, রেলওয়ে ট্র্যাকের নিরাপত্তার লক্ষ্যে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে একটি বিস্তারিত কৌশল প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে স্পর্শকাতর স্থানগুলিতে বিভিন্ন উপকরণের বর্ষাকালীন সংগ্রহের পূর্বে নিষ্কাশন ব্যবস্থা পরিষ্কার করা, ব্রিজের ওয়াটার ওয়ের পরিষ্কার করা, ব্রিজে বিপদস্তর চিহ্নিত করা ইত্যাদি সম্পূর্ণ করা হয়েছে। সমস্ত ধরনের প্রতিরোধী ব্যবস্থা গ্রহণ করার পরও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে নিজের অধিক্ষেত্রের অধীনে বৃষ্টিপাতের ফলে কোনও ধরনের বিপদজনক পরিস্থিতি যাতে না ঘটে তার জন্য ৬৪০০ কিমি-এরও অধিক ট্র্যাক ক্রমাগত পরিদর্শনের জন্য পেট্রোলিং টিম নিয়োজিত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-  বলুন তো, পৃথিবীর কোন দেশে Jeans পরা নিষেধ? ৯০% মানুষই জানেন না সঠিক উত্তর, নাম শুনলে চমকে যাবেন গ্যারান্টি!

এই টিমটি আবহাওয়া দফতরের জারি করা বৃষ্টিপাতের সতর্কতার উপর ভিত্তি করে টহলদারি করে। টহলদারি করার জন্য নিয়োজিত কর্মীরা জিপিএস ট্র্যাকার, লুমিনাস জ্যাকেট, রেনকোট ও পৃথক ওয়াটারপ্রুফ ট্রাউজার, সুরক্ষামূলক হেলমেট, সুরক্ষামূলক জুতো, শক্তিশালী সার্চ/ফ্ল্যাসলাইট ইত্যাদির মতো সর্বশেষ ও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত। এই টিমিট দিনরাত চব্বিশঘণ্টা ট্র্যাকে টহলদারি করে। ট্রেনের স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে এমন যে কোনও পরিস্থিতি সম্পর্কে নিকটতম স্টেশনে যাতে খবর দেওয়া যায় তার জন্য প্রত্যেকটি টহলদারি দলের জন্য মোবাইল ফোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-  গরমে গোলাপ গাছ শুকিয়ে কাঠ হচ্ছে? এই ৬ জিনিস ‘ধন্বন্তরি’! গোড়ায় দিলেই থোকা থোকা ফুলে ভরবে গাছ, গ্যারান্টি!

টহলের পাশাপাশি ভূমিধস প্রবণ অঞ্চল, বিপদসীমার উপর দিয়ে জল প্রবাহিত হওয়া ব্রিজ ইত্যাদিতে অনড় ওয়াচম্যানও নিয়োগ করা হয়েছে।সতর্কতা সত্ত্বেও বিভিন্ন সময়ে ব্রিজ ভেসে যায়, বাঁধ ভেঙে যায় ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে এবং সম্ভাব্য ন্যূনতম সময়ের মধ্যে পুনরুদ্ধার করতে বোল্ডার, বালু, বালুর বস্তা, ব্রিজ ইত্যাদির বিভিন্ন প্রি-ফেব্রিকেটেড উপাদান ওয়াগনে লোড করা হয়েছে এবং কৌশলগত স্থানগুলিতে সেগুলি রাখা হয়েছে। এছাড়াও, প্রায় ৩০৯৯০৯ কিউবিক মিটার বোল্ডার, ১৭৪২৬ কিউবিক মিটার কোয়ারি ডাস্ট, ২২০০০ কিউবিক মিটার সিল্ট, ৪৫০০০ টি বালু ভর্তি ব্যাগ এবং ২৮৯৮০০টি ও খালি সিমেন্টের ব্যাগ বর্ষাকালীন সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে।যে কোনও ধরনের আবহাওয়ায় সংযোগ ব্যবস্থা ও আমাদের সম্মানীয় যাত্রীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে ক্রমাগতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং বাধাহীন ভ্রমণ বজায় রাখতে সমস্ত প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে।

Summer Special Trains: যাত্রীদের অতিরিক্ত ভিড় কমাতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কয়েকটি স্পেশ‍্যাল ট্রেন

আগরতলাঃ যাত্রীদের আকস্মিক ভিড় হ্রাস করতে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে কয়েকটি স্পেশ‍্যাল ট্রেন চালানো হবে। এই স্পেশ‍্যাল ট্রেনগুলির চলাচলের ফলে যাত্রীদের গ্রীষ্মের ছুটি, পরীক্ষা, চিকিৎসা ইত্যাদির মতো বিভিন্ন উদ্দেশ্যে তাদের গন্তব্যের দিকে যাত্রা করতে সহায়তা করবে। এছাড়াও, এই রুটে চলাচল করা অন্যান্য ট্রেনের ওয়েটিং লিস্টের যাত্রীরা এই সুযোগ নিতে পারবেন।সেই অনুযায়ী, ট্রেন নং. ০৫৬২১ (আগরতলা – গুয়াহাটি) একমুখী স্পেশাল ২ মে, ২০২৪ তারিখে আগরতলা থেকে ০৭:৩০ ঘন্টায় রওনা দিয়ে একই দিনে ২২:৫০ ঘন্টায় গুয়াহাটি পৌঁছবে।

আরও পড়ুনঃ ‘১০ লাখের মধ্যে ৭ থেকে ৮ জনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে’, কোভিশিল্ড নিয়ে বললেন ডঃ রমন গঙ্গাখেদকর

অন্য একটি একমুখী স্পেশাল ট্রেন নং. ০৫৬২৩ (গুয়াহাটি – শিয়ালদহ) ২ মে, ২০২৪ তারিখে গুয়াহাটি থেকে ২৩:৫৫ ঘন্টায় রওনা দিয়ে পরের দিন ১৮:০০ ঘন্টায় শিয়ালদহ পৌঁছবে। একমুখী স্পেশাল ট্রেন নং. ০৫৬৬১ (গুয়াহাটি – আগরতলা) ৬ মে, ২০২৪ তারিখে গুয়াহাটি থেকে ১৮:৩০ ঘন্টায় রওনা দিয়ে পরের দিন ১১:৩০ ঘন্টায় আগরতলা পৌঁছবে।ট্রেন নং. ০৫৯৩২ (ডিব্রুগড় – কলকাতা) স্পেশাল ৪ মে থেকে ২৯ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক শনিবার ডিব্রুগড় থেকে ১৭:২০ ঘন্টায় রওনা দিয়ে পরের দিন ২৩:০০ ঘন্টায় কলকাতা পৌঁছবে। ফেরত যাত্রার সময়, ট্রেন নং. ০৫৯৩১ (কলকাতা – ডিব্রুগড়) স্পেশাল ৫ মে থেকে ৩০ জুন, ২০২৪ পর্যন্ত প্রত্যেক রবিবার কলকাতা থেকে ২৩:৫০ ঘন্টায় রওনা দিয়ে মঙ্গলবার ০৩:৩০ ঘন্টায় ডিব্রুগড় পৌঁছবে।

ট্রেনটি ধেমাজি, নর্থ লখিমপুর, বিশ্বনাথ চারিআলি, রাঙ্গাপাড়া নর্থ, রঙিয়া, কোকরাঝার, নিউ জলপাইগুড়ি, বারসোই, আজিমগঞ্জ, বান্ডেল ইত্যাদি স্টেশন হয়ে চলাচল করবে। ট্রেনে যাত্রীদের সুবিধার জন্য এসি-২ টিয়ার, এসি-৩ টিয়ার, শ্লিপার ও জেনারেল সিটিং কোচ থাকবে। ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পার এবং অরুণাচল প্রদেশের আশ-পাশের এলাকার জনসাধারণও উপকৃত হবেন। এই স্পেশ‍্যাল ট্রেনগুলির স্টপেজ ও সময়সূচির বিশদ বিবরণ আইআরসিটিসি ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে এবং বিভিন্ন সংবাদপত্র ও উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের সোসিয়াল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও অধিসূচিত করা হয়েছে। যাত্রার করার পূর্বে বিশদ বিবরণগুলি দেখে নেওয়ার জন্য যাত্রীদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

বর্জ্য সামগ্রী নিয়ে অশান্তি অতীত, ‘স্ক্র‍্যাপ’ বিক্রি করে রেকর্ড আয় রেলের

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়েতে ‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’-এ অগ্রগতি।  বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য সামগ্রী চিহ্নিত ও নিষ্পত্তি করতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই মিশন সফল করতে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেকটি ডিভিশন, ওয়ার্কশপ ও শেডগুলিকে বর্জ্য সামগ্রী থেকে মুক্ত রাখার জন্য নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।

আরও পড়ুন– রাশিফল ২০ ফেব্রুয়ারি; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন

‘জিরো স্ক্র্যাপ মিশন’-এর অধীনে এই অভিযান চলাকালীন, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে বর্তমান অর্থবর্ষে (৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত) ১২৫৪২ এমটি স্ক্র্যাপ রেল/পি-ওয়ে উপকরণ এবং ৮২৬৮ এমটি বিভিন্ন বর্জ্য সামগ্রী বিক্রি করেছে। এ ছাড়া এই সময়ের মধ্যে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ১২টি ডিজেল লোকোমোটিভ, ১৫৭ টি কোচ এবং ১২২টি ওয়াগনও বিক্রি করে। ​৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে ১০৩.৫৫ কোটি টাকা মূল্যের স্ক্র্যাপ রেল, পি-ওয়ে উপকরণ, অচল কোচ, ওয়াগন এবং লোকোমোটিভ বিক্রি করেছে, যা বিগত বছরের ১০০.৩৫ কোটি টাকার তুলনায় ৩.১৯ শতাংশ বেশি। ​জিরো স্ক্র্যাপ মিশনের ফলে শুধুমাত্র যে ভারতীয় রেলের রাজস্বই উৎপন্ন হয়েছে, তা নয়, বরং এর পাশাপাশি বর্জিতাংশ-সহ অন্যান্য উপাদান জমা করার স্থানও তৈরি করেছে।

আরও পড়ুন– রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই বাড়ল, আজ মেঘলা আকাশ, বৃষ্টির পূর্বাভাস কোন কোন জেলায়? জেনে নিন

স্টেশন, ডিপো, শেড, ওয়ার্কশপ ও সেকশনগুলি যাতে বর্জ্য সামগ্রী মুক্ত রাখা যায় তার জন্য এই মিশনের অধীনে ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই পর্যবেক্ষণের ফলে বর্জ্য সামগ্রী বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করার পাশাপাশি স্টেশন, কর্মক্ষেত্র ও চারপাশের এলাকার সৌন্দর্যও বৃদ্ধি হয়েছে। এ ছাড়াও রেলওয়ে চত্বর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিবেশ অনকূল করে রাখার ক্ষেত্রে এই মিশন সহায়ক হয়ে উঠেছে। রেল আধিকারিকদের অনেকেই মনে করাচ্ছেন, একটা সময় রেলের স্ক্র‍্যাপ বিক্রি করতে গিয়ে নানা অশান্তির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন জায়গায় মারামারির ঘটনা পর্যন্ত ঘটত। তবে বর্তমানে স্ক্র‍্যাপ ই-টেন্ডারিং করে ছাড়া হয়। এ ছাড়া রেলের একাধিক জায়গায় দেখা গিয়েছে, ফেলে থাকা সামগ্রী দিয়ে নানা স্ট্রাকচার বানানো হচ্ছে ৷

Toy Train: রেকর্ড উপার্জন টয় ট্রেনে, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের ইউনেস্কো হেরিটেজ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের নজির

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের ইউনেস্কো হেরিটেজ দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে (ডিএইচআর) এই আর্থিক বছরে ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত ডিএইচআর-এর ইতিহাসে সর্বোচ্চ উপার্জন এবং যাত্রীদের সংখ্যা চিহ্নিত করেছে। ডিএইচআর আগের সমস্ত রেকর্ড অতিক্রম করে প্রায় ১৭.৩ কোটি টাকার এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রাজস্ব অর্জনের রেকর্ড করেছে। আরও অধিক জয়রাইড পরিষেবা চালু করার জন্য উপার্জন বৃদ্ধিও হয়েছে।

আরও পড়ুন– আজ মেঘলা আকাশ, বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েক জেলায়

এই পিক সিজনে পর্যটকের প্রচুর আগমন এবং যাত্রী সমাগম বৃদ্ধির ফলে আয় বৃদ্ধি হয়েছে। বর্তমানে, ডিএইচআর-এ নিউ জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং-এর মধ্যে দৈনিক পরিষেবা এবং দার্জিলিং ও ঘুমের মধ্যে জয় রাইড পরিষেবাগুলি পরিচালিত হচ্ছে৷ ডিএইচআর স্টিম জঙ্গল টি সাফারি, রেড পান্ডা, হিম কন্যা ইত্যাদির মতো বিশেষ পরিষেবাও চালু করেছে। চার্টার ট্রেন, বিশেষ ফিল্ম শুটিং ট্রেন, হেরিটেজ ডাইনিং কারও হল ডিএইচআর সেকশনে প্রদান করা কিছু আকর্ষণীয় পরিষেবা।

ডিএইচআর-এ অধিক পর্যটকদের আকর্ষণ করতে দার্জিলিং-এ একটি নতুন কোচ রেস্তোরাঁ এবং কার্শিয়াং-এ একটি হেরিটেজ রেস্তোরাঁ খোলা হয়েছে৷ ঘুম উইন্টার ফেস্টিভ্যাল গত ২৫ নভেম্বর থেকে ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত সফলভাবে আয়োজন করা হয়। স্থানীয় জনসাধারণ এবং বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা বিপুল উৎসাহের সঙ্গে উৎসবে অংশ নেন। বিশাল জনসাধারণের আগমনে ডিএইচআর সেকশনের পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রচারের ক্ষেত্রে সাহায্য করেছে।

আরও পড়ুন-রাশিফল ২৪ জানুয়ারি; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ

দেশ-বিদেশে ডিএইচআর-এর প্রচারের জন্যও বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে পর্যটন বৃদ্ধি করার জন্য, নতুন কোচ প্রবর্তন এবং নতুন পরিষেবাগুলি শুরু করা হয়েছে। দার্জিলিং স্টেশনকে হেরিটেজ টাইপ উইন্ডো, কাঞ্চনজঙ্ঘা ভিউ পয়েন্ট ইত্যাদির মতো নতুন সুবিধার সঙ্গে আপগ্রেড করা হচ্ছে। ঘুম স্টেশনের আপগ্রেডেশনও চালু রয়েছে। এর সংরক্ষণ এবং ঐতিহ্য মূল্যকে প্রচার করার জন্য স্টেকহোল্ডার, ট্যুর অপারেটর, সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, স্থানীয় জনসাধারণ ইত্যাদির সঙ্গে অংশীদারিত্ব নিয়মিতভাবে করা হচ্ছে।

Indian Railways: একাধিক ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার লক্ষাধিক মূল্যের চুরি যাওয়া অর্থ ও জিনিস

উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর দ্বারা যাত্রীদের চুরি যাওয়া প্রায় ২.৯২ লক্ষ টাকার সামগ্রী উদ্ধার করা হল। ১০ ও ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনী (আরপিএফ) নিজেদের জোনের মধ্যে নিয়মিত তল্লাশি অভিযানের সময় যাত্রীদের সামগ্রী চুরি করার অভিযোগে ৭ জন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

বিভিন্ন স্টেশন ও ট্রেনে এই তল্লাশি অভিযানের সময় আরপিএফ গুয়াহাটি, জাগীরোড, লামডিং, নিউ কোচবিহার ও চাপরমুখ রেলওয়ে স্টেশন থেকে সফলভাবে প্রায় ২.৯২ লক্ষ টাকার মূল্যবান সামগ্রী উদ্ধার করে। ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখের একটি ঘটনায় গুয়াহাটির আরপিএফ টিম গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় প্রায় ২০,০০০ টাকা মূল্যের দুটি চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন সহ একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।

একই দিনে আলিপুরদুয়ারের আরপিএফ যৌথভাবে নিউ কোচবিহারের আরপিএফ-এর সাথে নিউ কোচবিহার রেলওয়ে স্টেশনে অভিযান চালায় এবং প্রায় ২.৩২ লক্ষ টাকা মূল্যের চুরি যাওয়া আটটি মোবাইল ফোন-সহ একজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। ১১ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে চাপরমুখের আরপিএফ টিম জাগীরোড রেলওয়ে স্টেশনে তল্লাশি অভিযান চালায় এবং প্রায় ১০,০০০ টাকা মূল্যের একটি চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন সহ একজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে।

আরও পড়ুন : মকর সংক্রান্তিতে ১৪ টি গরুকে খাওয়ান এই বিশেষ খাদ্য! নিজে খান অন্য একটি খাবার, শনিদেবের আশীর্বাদে জীবন সোনায় সোহাগা

পরে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য ধৃত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট জিআরপি-এর ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের আরপিএফ রেলযাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজের পাশাপাশি রেল ব্যবহারকারীদের দিকনির্দেশ এবং সাহায্য প্রদানের জন্য সবসময় প্রস্তুত। ট্রেনে যাত্রা করার সময় কোনও ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হলে রেল যাত্রীরা ১৩৯ (টোল-ফ্রি) নম্বরে কল করতে পারেন।উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে জানিয়েছেন, ‘‘রেলরক্ষী বাহিনী ও রাজ্য রেল পুলিশের সাহায্য নিয়ে বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেনে তল্লাশি চালানো হচ্ছে৷ এছাড়া একাধিক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন আছে যেখানে ঢোকা-বেরনোর পথে চলে তল্লাশি। এছাড়া সারপ্রাইজ ভিজিট চলে।’’