পাঁচমিশালি Captain Anshuman Singh’s Wife: ‘প্রথম দেখাতেই প্রেম’, কীর্তি চক্র সম্মান হাতে বললেন শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের স্ত্রী Gallery July 9, 2024 Bangla Digital Desk রাষ্ট্রপতি ভবনে শহিদ ক্যাপ্টেন অংশুমান সিংয়ের স্ত্রী স্মৃতি সিং ও তাঁর মায়ের হাতে কীর্তি চক্র সম্মান তুলে দিলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সিয়াচেনে অগ্নিকাণ্ডের সময় অংশুমানের ব্যতিক্রমী সাহসিকতার জন্য তাঁকে মরণোত্তর এই সম্মানে ভূষিত করা হয়। প্রসঙ্গত, কীর্তি চক্র ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্ব সম্মান। সম্মান গ্রহণের পর প্রয়াত স্বামীর সাহসের কথা বলতে গিয়ে স্মৃতি বলেন, “সবসময় আমায় বলতেন, বুকে পিতল নিয়ে মরব। সাধারণ মৃত্যু আমার জন্যে নয়”। নিজেদের সম্পর্ক নিয়েও এদিন মুখ খোলেন স্মৃতি। কলেজের প্রথম দিন থেকে সম্পর্কের শুরু। স্মৃতি বলেন, “এই সময় একটুও বাড়িয়ে বলছি না। প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েছিলাম। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আমাদের সম্পর্ক শুরু হয়েছিল। একমাস পর তিনি আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পান। মেধাবী ছাত্র ছিলেন। মাত্র একমাসের সাক্ষাতের পর দীর্ঘ আট বছর লং ডিসট্যান্স রিলেশনশিপে কাটিয়েছি আমরা”। স্মৃতি বলেন, “এরপর আমরা ঠিক করি, এবার বিয়ে করব। দুর্ভাগ্যবশত, বিয়ের দুই মাসের মধ্যেই তাঁকে সিয়াচেনে পাঠানো হয়”। সিয়াচেনে মেডিক্যাল অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন অংশুমান সিং। ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই ভোর ৩টে নাগাদ শর্ট সার্কিট থেকে সেনাবাহিনীর গোলাবারুদের ডাম্পে আগুন লেগে যায়। ফাইবারগ্লাসের তৈরি ঘর দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে। ভিতরে আটকে পড়েন কয়েকজন। তাঁদের বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন অংশুমান। চার-পাঁচজনকে বের করে আনেন। বাকিদের আনার জন্য ফের জ্বলন্ত ঘরে ঢোকেন তিনি। আর বেরতে পারেননি। সেই দিনের কথা বলতে গিয়ে ভিজে ওঠে স্মৃতির চোখ, “১৮ জুলাই ভবিষ্যৎ জীবন নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেকক্ষণ কথা হয়। ১৯ জুলাই সকালে ফোন এল, তিনি আর নেই। পরের ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যে যে এমন কিছু ঘটতে পারে ভাবতেও পারিনি।’’ এক নিঃশ্বাসে স্মৃতি বলে চলেন, “আমার হাতে কীর্তি চক্র সম্মান। কিন্তু তিনি নায়ক। আমরা আমাদের জীবনকে খুব কমই গোছাতে পারি। তিনি তাঁর গোটা জীবন সেনাদের পরিবারকে বাঁচাতে উৎসর্গ করেছেন।’’