কলকাতা: অনেকেই ছাতা ব্যবহার করেন না। গরমের দিনে রোদে বেরোতে হলে সানগ্লাসেই ভরসা রাখেন। এছাড়া স্টাইল স্টেটমেন্ট তো বটেই। পোশাকের সঙ্গে মানানসই সানগ্লাস বদলে দিতে পারে লুক। এখনকার ফ্যাশনে তাই সানগ্লাসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
১৭৫২ সাল। ব্রিটিশ চশমা বিশেষজ্ঞ জেমস অ্যাসিকফ সানগ্লাস আবিষ্কার করার পর আরও রঙিন হয়েছে দুনিয়া। রোদের তীব্রতা এবং ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির থেকে মুক্তি তো বটেই, চোখের সুরক্ষার জন্যও সানগ্লাসের চাহিদা বেড়েছে বিশ্বব্যাপী। চলতে ফিরতে অনেকেই সস্তার সানগ্লাস কিনে পরে নেন। তবে বাজারচলতি সব সানগ্লাসই কি আর চোখকে সুরক্ষা দিতে পারে? সস্তার সানগ্লাস পরা কি আদৌ উচিত? সম্প্রতি এক সতর্কতামূলক ভিডিওতে চোখ খুলে দিলেন এক চিকিৎসক।
মাহিয়ার ‘ম্যাক্স’ মাদ্দাহালি নামের সেই চিকিৎসক সমাজমাধ্যমেও অত্যন্ত সক্রিয়। স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন পোস্টে সাধারণ মানুষকে সজাগ করে চলেন তিনি। ডঃ ম্যাক্স সম্প্রতি ইন্সটাগ্রামে যে ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন তার বিষয় ছিল বাজারচলতি সস্তার সানগ্লাস। মানুষকে সতর্ক করতে যে জায়গাটিতে জোর দিচ্ছেন ম্যাক্স, সেটি হল সস্তার সানগ্লাসের ক্ষতিকর দিক। রোদ চশমায় সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি (UVA and UVB) না আটকালে ক্ষতিগ্রস্থ হয় চোখের ভিতরে থাকা স্ক্লেরা ও রেটিনা। যার ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। এমনকি চোখের সাদা অংশে হলুদ ছোপ দেখা দিতে পারে। এই অসুখের নাম সোলার রেটিনোপ্যাথি, জানান ডঃ ম্যাক্স। জোরালো আলোয় বেশিক্ষণ থাকলে এই রোগেই আক্রান্ত হতে পারে চোখ, সতর্ক করছেন চিকিৎসক। তাঁর পরামর্শ, নিছক ফ্যাশনের জন্য নয়, অতি বেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করতে পারে, এমন রোদচশমাই পরা উচিত।
View this post on Instagram
অন্য দিকে মিয়ামি আই ইন্সটিউটের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডঃ ইনা ওজারভ জানান, রোদ চশমা পরলেও তা যেন বড় ফ্রেমের হয়। তাঁর বক্তব্য, “যখন কেউ সানগ্লাস পরেন তখন চোখের তারা স্বাভাবিকভাবেই প্রসারিত হয় যাতে চোখে আরও আলো আসে। ফ্রেমটি যথেষ্ট বড় না হলে, অতি বেগুনি রশ্মি লেন্সের প্রান্তের চারপাশে থাকবে। তারা রন্ধ্র প্রসারিত থাকায় চোখের ভিতরে প্রবেশ করতে সময় পাবে।” তিনি আরও জানান, রোদ চশমার লেন্সের রঙ নিয়ে অনেকে ভাবেন। কিন্তু অতি বেগুনি রশ্মি আটকানোর ক্ষেত্রে লেন্সের রঙ কোনও বিষয় না।
তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ হল, দেখেশুনে চশমা কেনার। নয়তো শিকার হতে পারেন অন্ধত্বেরও!