Tag Archives: Eye Health

Health Tips: ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, পালাবে গাঁটে গাঁটে ব্যথা, ভিটামিনের খনি-পুষ্টির ভাণ্ডার ‘এই’ কালো কুচকুচে ফল, কালোজাম ভেবে ভুল করলেই চরম বিপদ…!

অনেকেই এই ফলকে কালোজাম ভেবে থাকেন৷ তবে কালোজাম ভেবে ভুল করলেই কিন্তু চরম বিপদ৷ দেখতে কালোজামের মতোন হলেও এটি আসলে কালোজাম নয়৷ তবে আকারে ছোট কালো কুচকুচে এই ফলই পুষ্টির ভাণ্ডার, ভিটামিনের খনি৷
অনেকেই এই ফলকে কালোজাম ভেবে থাকেন৷ তবে কালোজাম ভেবে ভুল করলেই কিন্তু চরম বিপদ৷ দেখতে কালোজামের মতোন হলেও এটি আসলে কালোজাম নয়৷ তবে আকারে ছোট কালো কুচকুচে এই ফলই পুষ্টির ভাণ্ডার, ভিটামিনের খনি৷
ব্ল্যাক কারেন্ট একটি প্রধানত আমেরিকান ফল৷ এই  লুকিয়ে রয়েছে হাজারও গুণের ভান্ডার। ব্ল্যাক কারেন্টে একই সঙ্গে রয়েছে ৫ টি ভিটামিন, প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, লিনোলিক অ্যাসিড, পলিফেনলস যৌগের মতো অনেক উপাদান রয়েছে যা এই উদ্ভিদকে শক্তিশালী করে তোলে।
ব্ল্যাক কারেন্ট একটি প্রধানত আমেরিকান ফল৷ এই লুকিয়ে রয়েছে হাজারও গুণের ভান্ডার। ব্ল্যাক কারেন্টে একই সঙ্গে রয়েছে ৫ টি ভিটামিন, প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, লিনোলিক অ্যাসিড, পলিফেনলস যৌগের মতো অনেক উপাদান রয়েছে যা এই উদ্ভিদকে শক্তিশালী করে তোলে।
অ্যান্থোসায়ানিনস, পলিফেনল পদার্থ, ভিটামিন সি, গামা লিনোলেনিক অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে ব্ল্যাক কারেন্টে পাওয়া যায়। ব্ল্যাক কারেন্টের প্রতিটি অংশ গুরুত্বপূর্ণ। এর শিকড়, পাতা ও ফল থেকে অনেক ধরনের ওষুধ তৈরি হয়। এছাড়া ব্ল্যাক কারেন্টের জুসও খুব উপকারী৷
অ্যান্থোসায়ানিনস, পলিফেনল পদার্থ, ভিটামিন সি, গামা লিনোলেনিক অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে ব্ল্যাক কারেন্টে পাওয়া যায়। ব্ল্যাক কারেন্টের প্রতিটি অংশ গুরুত্বপূর্ণ। এর শিকড়, পাতা ও ফল থেকে অনেক ধরনের ওষুধ তৈরি হয়। এছাড়া ব্ল্যাক কারেন্টের জুসও খুব উপকারী৷
 মেডিকেল অফিসার ডা. নবল কিশোর বলেন, ব্ল্যাক কারেন্টের পাতা, গাছ, ফল এবং বীজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর থেকে তেলও তৈরি করা হয়৷  এবং এই তেল ব্যবহারে জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া ব্ল্যাক কারেন্টের তেল দিয়ে মালিশ করলে শিরায় রক্ত ​​চলাচল বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। ব্ল্যাক কারেন্ট শুষ্ক চোখের আরাম দেয়। এই ফল খাওয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি কিডনির জন্য একটি প্যানেসিয়া হিসাবে বিবেচিত হয়।
মেডিকেল অফিসার ডা. নবল কিশোর বলেন, ব্ল্যাক কারেন্টের পাতা, গাছ, ফল এবং বীজের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর থেকে তেলও তৈরি করা হয়৷ এবং এই তেল ব্যবহারে জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া ব্ল্যাক কারেন্টের তেল দিয়ে মালিশ করলে শিরায় রক্ত ​​চলাচল বৃদ্ধি পায়। একই সঙ্গে এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায়। ব্ল্যাক কারেন্ট শুষ্ক চোখের আরাম দেয়। এই ফল খাওয়া অন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি কিডনির জন্য একটি প্যানেসিয়া হিসাবে বিবেচিত হয়।
ব্ল্যাক কারেন্টে পাঁচ ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন ই। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ভিটামিন সি যা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। ব্ল্যাক কারেন্টে কমলার চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন সি প্রোটিন বিপাককে উন্নত করে যা কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়। কোলাজেনের কারণে ত্বক তরুণ দেখায়।
ব্ল্যাক কারেন্টে পাঁচ ধরনের ভিটামিন পাওয়া যায়। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি৫, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১ এবং ভিটামিন ই। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল ভিটামিন সি যা প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। ব্ল্যাক কারেন্টে কমলার চেয়ে ৪ গুণ বেশি ভিটামিন সি থাকে। এছাড়া এতে রয়েছে অনেক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ভিটামিন সি প্রোটিন বিপাককে উন্নত করে যা কোলাজেন উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয়। কোলাজেনের কারণে ত্বক তরুণ দেখায়।
ব্ল্যাক কারেন্টঅ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল। ত্বক বা পাকস্থলী যদি ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য অণুজীব দ্বারা আক্রমণ করে তবে এটি তার বিরুদ্ধে রক্ষা করে। ব্ল্যাক কারেন্ট প্রদাহরোধী গুণে পরিপূর্ণ। এই কারণে এটি সব ধরনের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও এটি প্রদাহজনিত রোগ থেকে মুক্তি দেয়। এটি জয়েন্টের ব্যথা বা বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
ব্ল্যাক কারেন্টঅ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল। ত্বক বা পাকস্থলী যদি ব্যাকটেরিয়া বা অন্যান্য অণুজীব দ্বারা আক্রমণ করে তবে এটি তার বিরুদ্ধে রক্ষা করে। ব্ল্যাক কারেন্ট প্রদাহরোধী গুণে পরিপূর্ণ। এই কারণে এটি সব ধরনের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। এছাড়াও এটি প্রদাহজনিত রোগ থেকে মুক্তি দেয়। এটি জয়েন্টের ব্যথা বা বাতের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়।
ব্ল্যাক কারেন্ট রক্তের শর্করাকেও অনেকাংশে কমায়। এছাড়াও ব্ল্যাক কারেন্ট অ্যান্টিভাইরাল, যে কোনও এটি ভাইরাস সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়।  একটি অ্যান্টিসেপটিকেরও কাজ করে। যখনই কেটে বা ছিঁড়ে যায়, ব্ল্যাক কারেন্টের তেল বা ক্রিম দারুণ কাজ করে। ব্ল্যাক কারেন্ট ব্যথা, শিরার শক্ত হওয়া, ক্ষত ইত্যাদি দূর করে।
ব্ল্যাক কারেন্ট রক্তের শর্করাকেও অনেকাংশে কমায়। এছাড়াও ব্ল্যাক কারেন্ট অ্যান্টিভাইরাল, যে কোনও এটি ভাইরাস সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। একটি অ্যান্টিসেপটিকেরও কাজ করে। যখনই কেটে বা ছিঁড়ে যায়, ব্ল্যাক কারেন্টের তেল বা ক্রিম দারুণ কাজ করে। ব্ল্যাক কারেন্ট ব্যথা, শিরার শক্ত হওয়া, ক্ষত ইত্যাদি দূর করে।
 উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে রক্তে জমে থাকা প্ল্যাকে দারুণ কাজ করে।কোলেস্টেরলকে শিরায় জমতে দেয় না। ব্ল্যাক কারেন্টে পটাশিয়ামও থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে দেয় না। এটি রক্তনালীগুলিকে আরাম অনুভব করে। এবং  হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। ব্ল্যাক কারেন্ট  ত্বককে মসৃণ করে এবং মুখে উজ্জ্বলতা আনে। একই সঙ্গে এটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ভালো। এতে চোখে রক্ত ​​চলাচল বাড়ে।
উচ্চ কোলেস্টেরলের কারণে রক্তে জমে থাকা প্ল্যাকে দারুণ কাজ করে।কোলেস্টেরলকে শিরায় জমতে দেয় না। ব্ল্যাক কারেন্টে পটাশিয়ামও থাকে যা রক্তচাপ বাড়াতে দেয় না। এটি রক্তনালীগুলিকে আরাম অনুভব করে। এবং হার্ট সংক্রান্ত রোগের ঝুঁকি কমায়। ব্ল্যাক কারেন্ট ত্বককে মসৃণ করে এবং মুখে উজ্জ্বলতা আনে। একই সঙ্গে এটি চোখের স্বাস্থ্যের জন্যও খুব ভালো। এতে চোখে রক্ত ​​চলাচল বাড়ে।

 

Eye health: ল্যাপটপ ও ফোন থেকে চোখের সাঙ্ঘাতিক হয়ে যাচ্ছে, এই কয়েকটা উপায়ে চোখকে সুস্থ রাখুন

কলকাতা: চোখ আমাদের সবথেকে পছন্দের অঙ্গ, জরুরিও বটে৷ এই একটা অঙ্গ নিয়ে কত কবিতা লেখা হয়েছে৷ কিন্তু সমস্যা হল আজকের ডিজিট্যাল যুগে এই অঙ্গই সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ও খানিক উপেক্ষিত৷ বিশেষ করে লকডাউনের পর থেকেই সকলেই টিভি, ল্যাপটপ বা মোবাইলে ডুবে থাকছি৷ কখনও অফিসের কাজে কখনও বা নিছক সিরিস দেখার লোভে ঘণ্টার পর ঘণ্টা চোখে ঢুকছে ব্লু রে৷

এর ফলে মাথাব্যাথা, ডার্ক সার্কেলস, ড্রাই আইজ, ভিশন সমস্যার মতো নানা রকম গুরুতর সমস্যা হতে পারে৷ তবে কিছু কিছু সমস্যার প্রতিকার সম্ভব হয়৷ চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. ঋষি রাজ বোরা এমনই কিছু টিপস দিয়েছেন,

আরও পড়ুন:অধ্যাবসায়ের জোরে ফুটপাতের সবজি বিক্রেতার সন্তান উত্তীর্ণ হল সিএ পরীক্ষায়, জীবনযুদ্ধে সফলতার এর সোনালি আখ্যান

ঠান্ডা জল: চোখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দেওয়ার চেষ্টা করুন৷ এতে চোখের ক্লান্তি যেমন দূর হয়, তেমনই চোখের টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে৷

কেমিক্যাল প্রডাক্টের ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ: কোনও ধরনের রাসায়নিক উপদান সমৃদ্ধ কসমেটিক ব্যবহার করবেন না৷ অনেকেই খুব বেশি আইলাইনার, কাজলের ব্যবহার করেন৷ কেনার সময় কী ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হচ্ছে? তা ভাল করে জেনে নিন৷

আরও পড়ুন: লিপস্টিক বা পার্ফিউম নয়, তরুণীর হ্যান্ডব্যাগ থেকে বেরলো এক অদ্ভুত জিনিস

আইড্রপের ব্যবহার: অনেক ক্ষণ ধরে ল্যাপটপ বা মোবাইলের সামনে কাজ করলে রেটিনার ক্ষতি হতে পারে৷ সেক্ষেত্রে চিকিৎসককে দেখিয়ে সেই মতো আই ড্রপের ব্যবহার করুন৷

অতিরিক্ত সূর্যালোক নয়: অতিরিক্ত রোদের ফলে চোখের রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়৷ এর ফলে রোদে বেরোলে অবশ্যই সানগ্লাস ও টুপি ব্যবহার করুন৷

সঠিক ডায়েট: যে কোনও কিছুর জন্যই দরকার সঠিক ডায়েট৷ প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন, মিনারেলস সমৃদ্ধ খাবার রাখুন৷ গাজর, আপেল, বিট জাতীয় খাবার চোখের জন্য খুুব ভাল৷ এছাড়াও ছোট মাছও চোখের স্বাস্থের পক্ষে খুবই ভাল

Eye health: অতিরিক্ত রোদ প্রতিদিন চোখের ক্ষতি করছে, এই কয়েকটা উপায়ে চোখকে ভাল রাখা সম্ভব

কলকাতা: দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা মাঝে মাঝে দেখা দিলেও, প্রখর রোদ কমার কোনও নামগন্ধ নেই৷ এর সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তাপমাত্রা৷ আমাদের গরমের দেশে চোখেও নানারকম অসুস্থতা বাসা বাঁধে৷ অসুখ মুক্তির জন্য দরকার চোখের সঠির যত্ন৷

ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি, শুষ্ক হাওয়া ও অতিরিক্ত রোদ আমাদের চোখের স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। চোখের সঠিক যত্ন আপনার চোখকে রক্ষা করতে এবং চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করতে পারে। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ ঋষি রাজ বোরাহ চোখের যত্নের জন্য বেশ কিছু টিপস শেয়ার করেছেন-

UV রশ্মি থেকে সুরক্ষা দিতে পারে এমন সানগ্লাস করুন

গ্রীষ্মকালীন চোখের যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি হল সানগ্লাস পরা৷ সানগ্লাস প্রায় ১০০ শতাংশের কাছাকাছি ক্ষতিকারক রশ্মি আটকাতে সক্ষম। এর ফলে আমাদের চোখের রেটিনাকে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে৷ এর ফলে ছানি, ফটোকেরাটাইটিসের মতো নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে UVA এবং UVB দু’ই ধরনের রশ্মিই প্রতিরোধ করতে পারে এমন ধরনের সানগ্লাস ব্যবহার করতে পারেন।

ড় আকারের টুপি ব্যবহার করুন

সানগ্লাস ছাড়াও বড় ধরনের টুপি ব্যবহার করুন৷ কমপক্ষে তিন ইঞ্চি চওড়া কানাযুক্ত টুপি ব্যবহার করুন৷ এর টুপি ব্যবহারের ফলে সূর্যের আলো বেশ খানিকটা হ্রাস পায়৷ হাইকিং, সমুদ্র সৈকতে ঘোরা, খেলাধুলো প্রভৃতি আউটডোর কার্যকলাপের সময় এই ধরনের টুপি অবশ্যি ব্যবহার করুন৷

হাইড্রেট থাকুন

ডিহাইড্রেশনের ফলে ড্রাই আইজের সমস্যা হয়। গরমে শরীরের সঙ্গে চোখকেও আর্দ্র রাখা খুব জরুরি৷ তাই আপনার শরীর ও চোখকে আর্দ্র রাখতে, প্রতিদিন বেশি করে জল খান৷ তাছাড়াও রোদে বেরোলে যথেষ্ট পরিমাণে ওআরএস রাখুন৷

সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে ক্ষতিকারক হয়। চেষ্টা করুন খুব প্রয়োজন না হলে এই সময়টাতে বাড়ির ভিতরেই থাকার৷ যদি একান্তই বেরোতে হয়, তাহলে রোদে একটানা না বেরিয়ে ছায়া খোঁজার চেষ্টা করুন।

কৃত্রিম অশ্রু ব্যবহার

শুষ্ক, গরম আবহাওয়া ড্রাই আইজের উপসর্গগুলিকে বাড়িয়ে দেয়। তাই শুষ্ক চোখ জনিত অস্বস্তি দূর করতে এবং চোখের আর্দ্রতা বজায় রাখতে কৃত্রিম অশ্রু বা লুব্রিকেটিং চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন। এইধরনের ড্রপ চোখকে আর্দ্র ও ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে৷

গুড হাইজিন মেনে চলুন

গ্রীষ্মকালীন কার্যকলাপে প্রায়ই ঘাম হয়৷ এর ফলে চোখ খুব বাতাসের ধুলোর সংস্পর্শে চলে আসে। যার ফলে সংক্রমণ এড়াতে বারবার চোখ স্পর্শ করা এড়িয়ে চলুন। চোখে হাত দেওয়ার পর বাল করে ধুয়ে নিন৷ ভাল পরিষ্কার তোয়ালে ব্যবহার করুন৷ যদি কন্টাক্ট লেন্স পরলে কী কী যত্ন নেবেন, তা আপনার নিকটবর্তী কোনও চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নিন৷ সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাঁতার কাটার সময় কন্ট্যাক্ট লেন্স না পরাই ভাল।

নিয়মিত চোখের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন
চোখের সু স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করা প্রয়োজন। অতিরিক্ত সূর্যালোকে চোখের কোনো রকম ক্ষতি হচ্ছে কি না, তা জানার জন্য চক্ষু বিশেষজ্ঞের কাছে যান। কোনও ধরনের সমস্যা হলে তার উপসর্গগুলো আগে থেকে জানতে পারলে সেই মতো চিকিৎসা করা সম্ভব হবে৷ সবচেয়ে ভাল হয় যদি প্রতিবছর অন্তত একবার নিয়ম করে চোখের চেকআপ করতে যাওয়া৷

Cheap Sunglasses: সস্তার সানগ্লাস পরা ভাল না খারাপ? জানলে চমকে যাবেন! একই জিনিস করছেন না তো?

কলকাতা: অনেকেই ছাতা ব্যবহার করেন না। গরমের দিনে রোদে বেরোতে হলে সানগ্লাসেই ভরসা রাখেন। এছাড়া স্টাইল স্টেটমেন্ট তো বটেই। পোশাকের সঙ্গে মানানসই সানগ্লাস বদলে দিতে পারে লুক। এখনকার ফ্যাশনে তাই সানগ্লাসের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।

১৭৫২ সাল। ব্রিটিশ চশমা বিশেষজ্ঞ জেমস অ্যাসিকফ সানগ্লাস আবিষ্কার করার পর আরও রঙিন হয়েছে দুনিয়া। রোদের তীব্রতা এবং ক্ষতিকর অতি বেগুনি রশ্মির থেকে মুক্তি তো বটেই, চোখের সুরক্ষার জন্যও সানগ্লাসের চাহিদা বেড়েছে বিশ্বব্যাপী। চলতে ফিরতে অনেকেই সস্তার সানগ্লাস কিনে পরে নেন। তবে বাজারচলতি সব সানগ্লাসই কি আর চোখকে সুরক্ষা দিতে পারে? সস্তার সানগ্লাস পরা কি আদৌ উচিত? সম্প্রতি এক সতর্কতামূলক ভিডিওতে চোখ খুলে দিলেন এক চিকিৎসক।

মাহিয়ার ‘ম্যাক্স’ মাদ্দাহালি নামের সেই চিকিৎসক সমাজমাধ্যমেও অত্যন্ত সক্রিয়। স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক বিভিন্ন পোস্টে সাধারণ মানুষকে সজাগ করে চলেন তিনি। ডঃ ম্যাক্স সম্প্রতি ইন্সটাগ্রামে যে ভিডিওটি পোস্ট করেছিলেন তার বিষয় ছিল বাজারচলতি সস্তার সানগ্লাস। মানুষকে সতর্ক করতে যে জায়গাটিতে জোর দিচ্ছেন ম্যাক্স, সেটি হল সস্তার সানগ্লাসের ক্ষতিকর দিক। রোদ চশমায় সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি (UVA and UVB) না আটকালে ক্ষতিগ্রস্থ হয় চোখের ভিতরে থাকা স্ক্লেরা ও রেটিনা। যার ফলে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যেতে পারে। এমনকি চোখের সাদা অংশে হলুদ ছোপ দেখা দিতে পারে। এই অসুখের নাম সোলার রেটিনোপ্যাথি, জানান ডঃ ম্যাক্স। জোরালো আলোয় বেশিক্ষণ থাকলে এই রোগেই আক্রান্ত হতে পারে চোখ, সতর্ক করছেন চিকিৎসক। তাঁর পরামর্শ, নিছক ফ্যাশনের জন্য নয়, অতি বেগুনি রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করতে পারে, এমন রোদচশমাই পরা উচিত।

অন্য দিকে মিয়ামি আই ইন্সটিউটের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডঃ ইনা ওজারভ জানান, রোদ চশমা পরলেও তা যেন বড় ফ্রেমের হয়। তাঁর বক্তব্য, “যখন কেউ সানগ্লাস পরেন তখন চোখের তারা স্বাভাবিকভাবেই প্রসারিত হয় যাতে চোখে আরও আলো আসে। ফ্রেমটি যথেষ্ট বড় না হলে, অতি বেগুনি রশ্মি লেন্সের প্রান্তের চারপাশে থাকবে। তারা রন্ধ্র প্রসারিত থাকায় চোখের ভিতরে প্রবেশ করতে সময় পাবে।” তিনি আরও জানান, রোদ চশমার লেন্সের রঙ নিয়ে অনেকে ভাবেন। কিন্তু অতি বেগুনি রশ্মি আটকানোর ক্ষেত্রে লেন্সের রঙ কোনও বিষয় না।
তবে চিকিৎসকদের পরামর্শ হল, দেখেশুনে চশমা কেনার। নয়তো শিকার হতে পারেন অন্ধত্বেরও!

Prevent Myopia in Children: সারাদিন মোবাইলে চোখ? শিশুদের মধ্যে বড় রোগের আশঙ্কা! কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন সন্তানকে? ৫ উপায় জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ

কলকাতা: শিশুদের বাইরে খেলতে যাওয়া শুধুমাত্র তাদের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্যই জরুরি নয়, এর পাশাপাশি তাদের মায়োপিয়া প্রতিরোধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আসলে শিশুদের আজকাল বাইরে সেভাবে খেলতে যেতে দেখা যায় না। বরং ঘরের মধ্যে থেকে মোবাইল কিংবা ল্যাপটপে তারা গেম খেলে কিংবা কার্টুন দেখে। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার কারণে শিশুদের মায়োপিয়া হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে মায়োপিয়া প্রতিরোধ করা এবং চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য এই সমস্ত উপায় অবলম্বন করতে পারেন অভিভাবকেরা। এই প্রসঙ্গে কথা বলছেন ম্যাক্সভিশন আই হসপিটালের সিনিয়র ক্যাটারাক্ট এবং রিফ্র্যাক্টিভ সার্জন ডা. বিবেক সিং।

Dr Vivek Singh, Sr. Cataract and Refractive Surgeon, Maxivision Eye Hospital
Dr Vivek Singh, Sr. Cataract and Refractive Surgeon, Maxivision Eye Hospital

উদাহরণ দিয়ে বোঝানো:

আসলে সন্তানদের জন্য মা-বাবারাই হন আদর্শ। বাইরে খেলাধূলা করার প্রসঙ্গে কথা বলে বাচ্চাদের উৎসাহ দিতে হবে অভিভাবকদেরই। এর পাশাপাশি বাইরে পার্কে, মাঠে নিয়ে যেতে হবে শিশুদের। এতে তাদের স্বাস্থ্য এবং চোখের স্বাস্থ্য উভয়ই ভাল থাকবে।

বাইরে খেলার সময় বেঁধে দেওয়া:

প্রতিদিন বাইরে খেলার সময় বেঁধে দিতে হবে সন্তানদের। তাদের দৈনন্দিন রুটিনে একটা নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে দিতে হবে। যে সময়টায় তারা বাইরে খেলাধূলা করতে পারবে। এতে বাচ্চাদের চোখের স্বাস্থ্য ভাল হবে।

আরও পড়ুন: হাতে আর দু’ঘণ্টা! ধেয়ে আসছে ঝড়, উত্তরবঙ্গের ৫ জেলায় বজ্রপাত-সহ বৃষ্টির সতর্কতা জারি

বাইরে খেলার জন্য আদর্শ পরিকাঠামো:

বাচ্চারা যাতে বাইরে খেলতে উৎসাহিত বোধ করে, তার জন্য বাড়ির বাগানে কিংবা ছাদে বিভিন্ন ধরনের খেলার সরঞ্জাম রাখা যেতে পারে। যেমন – দোলনা, স্লাইডস, ক্লাইম্বিং স্ট্রাকচার ইত্যাদি। এতে বাচ্চাদের শারীরিক কসরতও হবে। আর প্রকৃতির সঙ্গেও তারা একাত্ম হতে পারবে।

সীমিত স্ক্রিন টাইম:

স্ক্রিন টাইম নির্দিষ্ট করে বেঁধে দিতে হবে। বরং তার বদলে বাইরে যাতে শিশুরা খেলতে পারে, সেই বিষয়ে তাদের উৎসাহ দিতে হবে। খাওয়ার সময় অথবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে বাচ্চাদের ফোন অথবা স্ক্রিন দেখতে দেওয়া চলবে না। স্ক্রিন টাইম কমালে শিশুদের মায়োপিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব।

চিত্তাকর্ষক খেলাধূলা:

বাচ্চারা বাইরে খেলার সময় যাতে পুরো সময়টা উপভোগ করতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শিশুদের উৎসাহ বাড়াতে স্ক্যাভেঞ্জার হান্ট, নেচার ওয়াক এবং ট্রেজার হান্টের মতো খেলার উপর জোর দেওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি আউটডোর পিকনিক, ঘুড়ি ওড়ানোর মতো অ্যাক্টিভিটিরও ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।