চাষের জমি চায় ইসিএল

Purulia News : ইসিএলকে জমি দিতে রাজি নয় কৃষকেরা , কি বলছেন তারা!

পুরুলিয়া : শিল্পায়নের লক্ষ্যে নিতুরিয়ায় খোলামুখ খনি গড়তে চায় ইসিএল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কৃষকেরা কোনওভাবেই নিজেদের জমি ইসিএল কর্তৃপক্ষকে দিতে রাজি হচ্ছে না। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে নানান সমস্যা। খনি অঞ্চল নিতুড়িয়ায় প্রায় ৩০০ একর জমির ওপর খোলামুখ খনি গড়তে চায় ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেড (ইসিএল)। পুরুলিয়ার নিতুড়িয়া ব্লকের ভামুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের গোঁসাইডি ও শালতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের পারবেলিয়া মৌজায় প্রায় ৩০০ একর জমির ওপর এই খোলামুখ খনি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে ইসিএল। ওই খনি থেকে প্রায় সাড়ে ৯ লক্ষ টন কয়লা পাওয়া যাবে বলে মনে করছে ওই সংস্থা। এলাকায় সমীক্ষাও শুরু করেছে ওই সংস্থা।

খোলামুখ খনির কথা এলাকায় ছড়িয়ে যেতেই চাষের জমি বাঁচাতে জমিরক্ষা কমিটি গড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন ভামুরিয়া ও শালতোড় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ১২ টি গ্রামের মানুষেরা। ইতিমধ্যেই তারা এলাকায় মিছিল, বিক্ষোভ সমাবেশ করে জানিয়ে দিয়েছেন খোলামুখ খনি তৈরির জন্য কোনোভাবেই তারা চাষের জমি ছাড়বেন না। তবে ওই বিরোধিতার বিরুদ্ধে এখনই ইসিএল পিছু হটেনি। এ বিষয়ে ইসিসিএলের সোদপুর এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার অনিলকুমার সিংহ জানান, নিতুড়িয়াতে খোলামুখ খনি তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে।এই খোলামুখ খনি গড়তে ইসিএল ওই দুই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন। সেই বৈঠক থেকেই প্রবল আপত্তি তুলেছেন এলাকার মানুষজন।

আরও পড়ুন : ইন্টারন্যাশনাল ব্রেকিং চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে চলেছে পুরুলিয়ার ভূমিপুত্র

পরে তৈরি হয় জমি রক্ষা কমিটি। ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার স্থানীয় নেতা বিপ্লব মারান্ডি ওই জমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক। তিনি বলেন , খোলামুখ খনি তৈরি হলে বহু গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইসিএল প্রায় ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করতে চাইছে। কিন্তু দাম দিচ্ছে মাত্র ১৪ হাজার টাকা প্রতি ডেসিমেল। এর আগেও নিতুড়িয়া এলাকায় কয়লা খনি তৈরিতে জমি অধিগ্রহণ করেছে ইসিএল। কিন্তু অনেক জমি মালিক এখনও ক্ষতিপূরণ পাননি। তারপর নতুন করে খোলামুখ খনির জন্য জমি দিতে চাইছেন না গ্রামের মানুষজন। তাই ওই প্রকল্পের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন।

আরও পড়ুন : ব্যবসায়ীদের সরাসরি উচ্ছেদ নয়, আগাম সর্তক করছে ঝালদা পৌরসভা!

মূলত চাষের জমি হওয়াতেই এলাকার মানুষজমি দিতে রাজি নয়। কারণ সাময়িক কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হলেও কয়েক বছরের মধ্যেই সমস্ত কয়লা তুলে নিয়ে চলে যায় ওই সংস্থা। তখন পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে খনি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

ফলে জমি যেমন নষ্ট হয় তেমনইকর্মসংস্থানের ও কোনও নিরাপত্তা থাকে না। আর ঠিক সেই কারণেই জমি দিতে রাজি হচ্ছে না কৃষকেরা।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি