Tag Archives: Purulia

Purulia News: প্লেনের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে রেস্টুরান্ট, কোথায় পাবেন? জেনে নিন

এবার প্লেনের মধ্যেই তৈরি হচ্ছে আস্ত রেঁস্তোরা। সেখানেই বসেই পাবেন আসল প্লেনের মজা। পুরুলিয়ায়বাসী পেতে চলেছে নতুন উপহার।

Flight: পুরুলিয়ার রাস্তায় আচমকা নামল বিরাট প্লেন! ছুটতে ছুটতে দেখতে এলেন গ্রামবাসীরা! এরপর যা হল…! তোলপাড়

*পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে প্রায়শই নাম শোনা যায় জেলা পুরুলিয়ার। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নতি হচ্ছে এই জেলার। বিগত ১০ বছরে এই জেলার চেহারাটা অনেকখানি পরিবর্তন হয়েছে। এখানে একে একে গড়ে উঠেছে নামিদামি হোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ ও একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। যাকে ঘিরে সার্বিকভাবে জেলার উন্নয়ন হচ্ছে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
*পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া জেলাগুলির মধ্যে প্রায়শই নাম শোনা যায় জেলা পুরুলিয়ার। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নতি হচ্ছে এই জেলার। বিগত ১০ বছরে এই জেলার চেহারাটা অনেকখানি পরিবর্তন হয়েছে। এখানে একে একে গড়ে উঠেছে নামিদামি হোটেল, রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ ও একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। যাকে ঘিরে সার্বিকভাবে জেলার উন্নয়ন হচ্ছে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়।
*এবার এই জেলাতেই প্রথমবার তৈরি হচ্ছে এয়ার প্লেন রেস্টুরেন্ট। ‌ একটি বেসরকারি সংস্থা নিজ উদ্যোগে এই রেস্তোরা তৈরি করছে। পুরুলিয়ার বেল কুঁড়িতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে এই রেস্টুরেন্টের ককপিট। রীতিমতো ভিড় করে মানুষজন সেই ককপিট দেখছেন।
*এবার এই জেলাতেই প্রথমবার তৈরি হচ্ছে এয়ার প্লেন রেস্টুরেন্ট। ‌ একটি বেসরকারি সংস্থা নিজ উদ্যোগে এই রেস্তোরা তৈরি করছে। পুরুলিয়ার বেল কুঁড়িতে ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে এই রেস্টুরেন্টের ককপিট। রীতিমতো ভিড় করে মানুষজন সেই ককপিট দেখছেন।
*দিল্লির এয়ার ইন্ডিয়া থেকে এই ককপিটটি আনা হয়েছে। প্রথমে এই ককপিটটি পটনা এসেছে এবং পাটনা থেকে পুরুলিয়া নিয়ে আসা হয়েছে। এই ককপিট পুরুলিয়া আনতে সময় লেগেছে ৩ মাস। বাইরোড এটি আনা হয়েছে পুরুলিয়ায়।
*দিল্লির এয়ার ইন্ডিয়া থেকে এই ককপিটটি আনা হয়েছে। প্রথমে এই ককপিটটি পটনা এসেছে এবং পাটনা থেকে পুরুলিয়া নিয়ে আসা হয়েছে। এই ককপিট পুরুলিয়া আনতে সময় লেগেছে ৩ মাস। বাইরোড এটি আনা হয়েছে পুরুলিয়ায়।
*এ বিষয়ে ওই রেস্তোরার চেয়ারম্যান শিতিস সিনহা বলেন, এই ককপিট রেস্তোরায় মানুষ ভার্চুয়ালের মাধ্যমে বিমানে ওঠার অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করতে পারবে। জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে এন্ট্রি ফি লাগবে এই রেস্তোরাঁয় ঢোকার জন্য। পরবর্তীতে রেস্তোরাঁ বিলের সঙ্গে সেই টাকা রিডিম করে দেওয়া হবে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
*এ বিষয়ে ওই রেস্তোরার চেয়ারম্যান শিতিস সিনহা বলেন, এই ককপিট রেস্তোরায় মানুষ ভার্চুয়ালের মাধ্যমে বিমানে ওঠার অভিজ্ঞতা উপলব্ধি করতে পারবে। জনপ্রতি ৫০০ টাকা করে এন্ট্রি ফি লাগবে এই রেস্তোরাঁয় ঢোকার জন্য। পরবর্তীতে রেস্তোরাঁ বিলের সঙ্গে সেই টাকা রিডিম করে দেওয়া হবে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়।
*এ ছাড়াও থ্রিডি শো-য়ের ব্যবস্থা থাকবে যেখানে একেবারে ভার্চুয়ালি প্লেন চালানোর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন রেস্টুরেন্টে আসা কাস্টমাররা। এইরকম রেস্তোরা বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার কোথাও নেই। তাই মানুষের একেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে।
*এ ছাড়াও থ্রিডি শো-য়ের ব্যবস্থা থাকবে যেখানে একেবারে ভার্চুয়ালি প্লেন চালানোর অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন রেস্টুরেন্টে আসা কাস্টমাররা। এইরকম রেস্তোরা বাংলা, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার কোথাও নেই। তাই মানুষের একেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে।
*এ প্রসঙ্গে ককপিট দেখতে আসা উৎসুক জনতা বলেন, পুরুলিয়ায় কোনওদিনই তারা প্লেন দেখেননি। তাই তারা উৎসাহিত হয়ে এই প্লেন দেখতে আসছেন। এই ধরনের রেস্তোরাঁ পুরুলিয়া কখনও হয়নি। আগামী দিনে এই রেস্তোরাঁয় তারা অতি অবশ্যই আসবে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়। 
*এ প্রসঙ্গে ককপিট দেখতে আসা উৎসুক জনতা বলেন, পুরুলিয়ায় কোনওদিনই তারা প্লেন দেখেননি। তাই তারা উৎসাহিত হয়ে এই প্লেন দেখতে আসছেন। এই ধরনের রেস্তোরাঁ পুরুলিয়া কখনও হয়নি। আগামী দিনে এই রেস্তোরাঁয় তারা অতি অবশ্যই আসবে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়।
*সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৪-র দুর্গাপুজোর মধ্যেই এই প্লেন রেস্টুরেন্টের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে জেলা পুরুলিয়া-সহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ।
*সংস্থার পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, ২০২৪-র দুর্গাপুজোর মধ্যেই এই প্লেন রেস্টুরেন্টের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে জেলা পুরুলিয়া-সহ পার্শ্ববর্তী জেলার মানুষ।
*এই রেস্টুরেন্টে কর্মরত সদস্যরা প্লেনের স্টাফেদের মতনই ড্রেস কোড থাকবে। থাকবে এয়ার হোস্টেস। ইন্ডিয়ান, কন্টিনেন্টাল, চাইনিজ সমস্ত খাবারের ব্যবস্থা থাকবেই রেস্তোরাঁয়। স্টাফ প্রায় ৩০ জন। একেবারেই অন্যরকম অভিজ্ঞতা পাবে সকলে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়।
*এই রেস্টুরেন্টে কর্মরত সদস্যরা প্লেনের স্টাফেদের মতনই ড্রেস কোড থাকবে। থাকবে এয়ার হোস্টেস। ইন্ডিয়ান, কন্টিনেন্টাল, চাইনিজ সমস্ত খাবারের ব্যবস্থা থাকবেই রেস্তোরাঁয়। স্টাফ প্রায় ৩০ জন। একেবারেই অন্যরকম অভিজ্ঞতা পাবে সকলে। প্রতিবেদন ও ছবিঃ শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Purulia News: মমতা মানেই ম্যাজিক ,পাড়ার জনসভা থেকে এই চিত্রটা স্পষ্ট

পুরুলিয়া: বেজে গিয়েছে ভোটের দামামা। গেরুয়া গড় নামে পরিচিত লাল মাটির জেলা পুরুলিয়া। কিন্তু এই গেরুয়া গড়েই এখন সবুজ হাওয়া। পুরুলিয়া লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মুখ্যমন্ত্রীর সভায় এই চিত্র যেন একেবারে স্পষ্ট হয়ে গেল সকলের কাছে। এ সভায় রাজনৈতিক বার্তা ছাপিয়ে গিয়েছিল উচ্ছ্বাস উদ্দীপনায়। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার পাড়া ও বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের পাত্রসায়রে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী জনসভায় বিপুল জনজোয়ার হয়েছিল। তারপর রাজনৈতিক ছবিটা এমনই। আগামী ২৫ মে পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায় ষষ্ঠ দফায় ভোট। ফলে প্রচারের জন্য অনেকটা সময় পাওয়া গিয়েছে।

গত ৭ এপ্রিল পুরুলিয়ায় জনসভা করে এই জেলায় ঝড় তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার রেশ কাটতে না কাটতে ফের মঙ্গলবার পাড়া ও পাত্রসায়রে দু’দুটি জনসভা করলেন তৃণমূল নেত্রী। ফলে একদা গেরুয়া গড় এখন সবুজময়। মঙ্গলবারের সভা থেকেই তৃণমূলনেত্রী রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু সভায় ভিড় আর সেই ভিড়কে ঘিরে উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনাই যেন ভোটের বাজারে প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছিল।

জঙ্গলমহলে মমতা মানে যে আক্ষরিক অর্থে ম্যাজিক, এ দিন যেন আরও একবার বোঝালেন তৃণমূল সুপ্রিমো।এই দিনের সভায় আকাশে কপ্টার দেখা মিলতেই গুড়গুড়িয়া ময়দান থেকে শুধুই ছিল চিৎকার। ২.২o তে হেলিপ্যাডে নেমে হাত নাড়লেন তৃণমূলনেত্রী।মঞ্চে ওঠার পথে লোকশিল্পীরা রঙবাহারি চৌডল দেখিয়ে অভ্যর্থনা জানান।

আরও পড়ুন: ‘কার মাথায় বেল ভাঙব ভাবছি!’ সকাল সকাল বাজারে গিয়ে কী কিনলেন দিলীপ ঘোষ?

তিনি বলেন ,পুরুলিয়া লাল মাটির দেশ, সাজানো প্রকৃতি। এখানকার সমস্ত কিছুই আমাকে বরাবর মুগ্ধ করে। এ ছাড়াও প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতোকে নিয়ে বলেন, শান্তিরাম মাহাতো এই মাটির ছেলে। সভায় বক্তব্যর শেষে পুরুলিয়া ২ নম্বর ব্লকের পলাশকলার করম-টুসু শিল্পীদের সঙ্গে গানের তালে পা মেলান তৃণমূলনেত্রী। মুখ্যমন্ত্রীকে স্পর্শ করতে পারার ঘোর যেন  কাটতে চাইছে না মঞ্চে থাকা শিল্পীদের। এ বিষয়ে মালতি মাহাতো, স্বর্ণবালা মাহাতো বলেন, কোনদিনও ভাবতে পারিনি, এভাবে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জনসভার মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করতে পারব। আমাদের  ভীষণই ভাল লাগছে। দিদি বলে গিয়েছেন ভাল করে শিল্পচর্চা করে যেতে। তিনি আমাদের পাশে থাকবেন। আমরাও দিদির পাশে থাকব।

এইদিন পাড়ায় মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। মমতা যতবার লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রীর নাম করেছেন ততবার সভায় উপস্থিত জনতা হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন।আসলে মমতা মানেই জঙ্গলমহলে একটা আবেগ। লক্ষ্মীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, জাহের থান নিয়ে পদক্ষেপ, কেন্দু পাতার দাম বৃদ্ধি। সর্বোপরি শান্তি ফিরিয়ে আনা। তাই রাজ্যে পালাবদলের পর আজও পুরুলিয়া-বাঁকুড়ায় মমতা মানেই উচ্ছ্বাস, মমতা মানে উৎসাহ, মমতা মানেই জনপ্লাবন।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia News: দীর্ঘ অপেক্ষার পর বৃষ্টি মিললেও বজ্রপাতের মৃত্যু হল দু-জনের, পুরুলিয়ায় আতঙ্ক

পুরুলিয়া: বিগত বেশ কিছুদিন ধরে টানা গ্রীষ্মের দাপট চলেছে গোটা বঙ্গ জুড়ে। উত্তরের জেলা গুলিতে সামান্য বৃষ্টির দেখা মিললেও দক্ষিণের জেলা গুলিতে তীব্র গরমের দাপট ছিল। ব্যতিক্রম ছিল না জেলা পুরুলিয়াও। তবে আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুসারে জেলা পুরুলিয়াতে মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি কালবৈশাখী ঝড় , বজ্রপাত ও শিলা বৃষ্টিও হয়েছে। ‌আর এই বজ্রপাতের জেরেই মৃত্যু হয়েছে দু-জনের। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে পুরুলিয়ার আশায় বজ্রপাতে মৃত্যু হয় দু-জনের। জখম আরও দু-জন। তাদের মধ্যে দু-জন স্কুল পড়ুয়া।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে , বজ্রপাতে মৃত দু-জনের নাম প্রিয়রঞ্জন মাহাত। তিনি পেশায় ট্রাক্টর চালক। ‌ ও অপরজন রাহুল কুমার তিনি একটি দোকানের কর্মচারী। জখম দু-জনের নাম যুধিষ্ঠির কুমার ও সুরেশ কুমার। এরা সকলে মিলে এই দিন পুকুরে স্নান করতে গিয়েছিল। পুকুর থেকে স্নান করে ফেরার সময় মেঘ কালো করে ঝড় বৃষ্টি নামে , শিলা বৃষ্টি হয়।

সেই সময় শিলা থেকে বাঁচতে একটা গাছের তলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। সেই গাছের ওপরে বাজ পড়লে চারজন জখম হন। এলাকার মানুষেরা তাদের সিরকাবাদ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে এলে দু-জনকে মৃত বলে ঘোষণা করে। বাকি জখম দুজন দেবেন মাহাত সদর হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর জেলাতে বৃষ্টির দেখা মিললেও ঘটে গেল দু-র্ঘটনা।এই ঘটনাকে ঘিরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Purulia News : জলের সমস্যা পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে , সমাধান করতে এগিয়ে এল পৌরসভা!

পুরুলিয়া : গরম পড়তে না পড়তে পুরুলিয়া জেলাতে জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে সর্বত্র। এমনিতেই জেলা পুরুলিয়ায় কমবেশি সারা বছরই জলের সমস্যা থাকে। গ্ৰীষ্ণের দিনে সমস্যাটা আরও খানিকটা বেড়ে যায়। তীব্রমাত্রায় গরম পড়ার কারণে প্রতিবছরই এই জেলার জলের প্রধান উৎস কাঁসাই নদীর জল প্রায় শুকিয়ে যায়। আর তাতেই জলকষ্ট অনেক গুণ বেড়ে যায় শহর পুরুলিয়ায়। ‌ এ বছরও গরমের মাত্রা অনেকখানি বেশি রয়েছে। ‌ তাই এখন থেকেই জলকষ্ট শুরু হয়েছে কম বেশি বিভিন্ন জায়গাতে।

পুরুলিয়া পৌরসভা সমস্ত দিক থেকেই শহরবাসীদের পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এবার জলের সমস্যা দেখা দিল পুরুলিয়া দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালে।‌ রীতিমত সমস্যায় পড়তে হয়েছে রোগী সহ রোগীর আত্মীয়দের। রবিবার এ সমস্যা বিরাট আকার ধারণ করে। জল সরবরাহ প্রায় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালে। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুরুলিয়া পৌরসভার পৌর প্রধান নবেন্দু মহালি।

আরও পড়ুন : মাত্র ১০ টাকা খরচেই মিলবে স্বস্তি, আরাম! লু-এর বিরুদ্ধে লড়াইে এই পানীয় মহৌষধি

এ বিষয়ে পৌর প্রধান বলেন , ফায়ার ব্রিগেড থেকে হাসপাতালে যে জলের লাইন রয়েছে কোনও কারণে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যার ফলে হাসপাতালে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। জেলার সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই হাসপাতাল। এখানে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে বিপাকে পড়তে হবে রোগীদের। খবর পাওয়া মাত্রই তড়িঘড়ি এখানে জল সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয় পৌরসভার পক্ষ থেকে। রোগীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেই কারণেই এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন : মোষের পিঠে চেপে মনোনয়ন পেশ কুড়মি প্রার্থী অজিতের! রইল ভিডিও

পুরুলিয়ার দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতাল জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। এই হাসপাতালে বহু দূর দুরান্ত থেকে রোগীরা আসেন চিকিৎসা করাতে। শুধু জেলা পুরুলিয়া নয় ভিন জেলা থেকেও এই হাসপাতালে রোগীদের ভিড় জমে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

গুরুত্বপূর্ণ এই জায়গায় জলের সমস্যা দেখা দেওয়ায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য বিপাকে পড়তে হয়েছিল কমবেশি সকলকেই । পৌরসভার উদ্যোগে এই সমস্যা দ্রুত সমাধান হয়ে যায়।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

দুর্ঘটনার কবলে বিয়ে বাড়ির গাড়ি, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঘটল বড়সড় বিপদ

পুরুলিয়া : ফের পুরুলিয়ায় ঘটল দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনার কবলে বিয়ে বাড়ির গাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে ঝালদার নামো পাড়ার রাঁচি পুরুলিয়া সড়ক পথের উপরে।

রবিবার রাত দুটো নাগাদ একটি স্করপিও গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ঠেলা গাড়িতে ধাক্কা মারে। তার পর গাড়িটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ড্রেনের মধ্যে ঢুকে যায়। গাড়িটি প্রচন্ড গতিতে থাকার কারণে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বলে স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান। গাড়ি থেকে মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু গাড়িতে কতজন ছিল সেই বিষয়ে তাঁদের জানা নেই।

গাড়িতে এয়ার ব্যাগ খুলে যাওয়ায় চালকের কোনও ক্ষতি হয়নি। ঘটনাস্থলে ঝালদা থানার পুলিশ পৌঁছে চালককে উদ্ধার করেছে। বিশেষ কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন- রবিবারের দুপুরে আগুনের তাণ্ডব, চারদিকে শুধু আতঙ্কই -আতঙ্ক

এই বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, ঠেলা গাড়িটি ভেঙে গিয়েছে স্করপিও গাড়ির ধাক্কায়। এই ঠেলাগাড়ির উপর নির্ভর করেই সংসার চলে এক ব্যক্তির। পুলিশ জানিয়েছে, যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার জন্য ক্ষতিপূরণ পাবে। এই দুর্ঘটনার কারণে এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

গরমের মধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে স্থানীয়রা আরও সমস্যায় পড়েছেন। অবিলম্বে বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হোক, এমনটাই দাবি করেছেন তারা। এই দুর্ঘটনার কারণে এলাকার মানুষদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ‌শুধু গাড়ির চালকই নয়, বিপাকে এলাকার মানুষও।

আরও পড়ুন- কঠিন তমলুকে ‘হেভিওয়েট’ নয়, ‘ঘরের ছেলে’ হয়েই থাকতে চান CPIM-এর সায়ন

তীব্র দাবদাহের মধ্যে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় সমস্যার মধ্যে রয়েছেন তারা। যদিও এই দুর্ঘটনার জেরে বিরাট কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

Madhyamik Result Second Boy: বাবা-মা দু’জনেই শিক্ষক, মাধ্যমিকে দ্বিতীয় হয়ে পুরুলিয়ার নাম উজ্জ্বল সাম্যর, কতক্ষণ পড়ত সে!

পুরুলিয়া: ছাত্রছাত্রীদের জীবনে প্রথম সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হল মাধ্যমিক। তাদের জীবনের ভীত মজবুত হয় এই পরীক্ষার উপরেই। তাই সারাটা বছরই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা কঠোর পরিশ্রম করে থাকেন যাতে তাদের রেজাল্ট ভাল হয়।‌ ছাত্রছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবক অভিভাবিকারাও নিজেদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত থাকেন।

মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় বরাবরই পুরুলিয়া জেলার নাম থাকে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।‌ এবার মাধ্যমিকে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে পুরুলিয়া জেলা স্কুলের ছাত্র সাম্যপ্রিয় গুরু। তার মাধ্যমিকের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। অর্থাৎ ৯৮.৮৬ শতাংশ। পুরুলিয়ার আমডিহার লোকনাথপল্লির বাসিন্দা সে।

তার বাবা ও মা পেশায় শিক্ষক শিক্ষিকা। বাবা সুনীতিপ্রিয় গুরু পুরুলিয়া জেলা স্কুলের শিক্ষক ও মা অর্পিতা গুরু গোবিন্দপুর হাই স্কুলের শিক্ষিকা। তাদের গ্রামের বাড়ি নিতুরিয়ার বাউরিপাড়ায়। বাবার কর্মসূত্রেই তাদের পুরুলিয়া আমডিহায় থাকা।

এতটা ভাল রেজাল্ট নাকি নিজেও আশা করেনি সাম্যপ্রিয়। তাই‌ ভীষণ খুশি সে। পুরুলিয়া জেলা স্কুল থেকেই উচ্চমাধ্যমিক দিতে চায় সে। আগামী দিনে ডাক্তারি নিয়ে পড়তে চায়। এ বিষয়ে বাবা সুনীতিপ্রিয় জানান, সারাদিনই পড়াশোনার মধ্যেই থাকত সাম্য। ছেলের এই সাফল্যে তিনি ভীষণই খুশি। তিনি বরাবরই আশা করেছিলেন ছেলে দুর্দান্ত রেজাল্ট করবে। সেখানে ছেলে তাঁকে নিরাশ করেননি‌।

এ বিষয়ে মা অর্পিতা গুরু বলেন, ”আশা করেছিলাম ছেলে ভাল রেজাল্ট করবে কিন্তু এত ভাল রেজাল্ট করবে সেটা ভাবতে পারিনি। ছোটবেলা থেকেই সাম্য পড়াশোনায় ভীষণই ভাল। ছেলের এই সাফল্যে খুবই খুশি তিনি।”

আরও পড়ুন: ফের পিছনের সারিতে কলকাতা, মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় জেলার দাপট! প্রথম দশে শহরের কতজন

এবছর ‌মাধ্যমিক পরীক্ষার ৮০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ হয়েছে। পরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২ ফেব্রুয়ারি পরীক্ষা শেষ হয়েছিল ১২-ই ফেব্রুয়ারি। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে ২০২৪ সালে মাধ্যমিকে পাশের হার ৮৬.৩১ শতাংশ। আর তারই মধ্যে থেকে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে জেলা পুরুলিয়ার নাম উজ্জ্বল করল সাম্যপ্রিয় গুরু।

শমিষ্ঠা ব্যানার্জি

Surulia Mini Zoo: দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান! বেঙ্গল সাফারি থেকে পুরুলিয়া আসছে ‘জ্যাকি’, সুরুলিয়া মিনি জু-তে এবার চিতাবাঘ

পুরুলিয়া: রাজ্য পর্যটন মানচিত্রে জেলা পুরুলিয়া অনেকটাই জায়গা করে নিয়েছে। এই জেলায় রয়েছে একাধিক পর্যটন কেন্দ্র। এই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। জেলা পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গে সঙ্গে এই জেলার অন্যতম আকর্ষণ মিনি-জু।

পুরুলিয়া শহরের উপকণ্ঠে সুরুলিয়া ডিয়ার পার্কে গড়ে উঠেছে এই মিনি-জু। সারা বছরই এখানে বহু মানুষ ভিড় জমান। শুধু জেলা পুরুলিয়া নয়, পার্শ্ববর্তী জেলা বাঁকুড়া ও পশ্চিম বর্ধমান থেকেও অনেকেই এই জু-তে বেড়াতে আসেন। আর এবার এই সুরুলিয়া মিনি জু-তেই মিলবে চিতা বাঘের দর্শন। তার জন্য আর মাত্র কয়েকটা দিন অপেক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন: দেশের সবথেকে দরিদ্র রাজ্য কোনটি জানেন? পশ্চিমবঙ্গের নাম কত নম্বরে রয়েছে বলুন তো! এক নজরে তালিকা

এই সুরুলিয়া মিনি জু-তে আরও বেশি করে পর্যটক টানতেই বেঙ্গল সাফারি থেকে চিতাবাঘ জ্যাকিকে নিয়ে আসছে কংসাবতী উত্তর বনবিভাগ। চিতাবাঘ নিয়ে আসার বিষয়ে প্রাথমিক কথাবার্তা শেষ হয়ে গিয়েছে। এমনকি জু-তে জ্যাকিকে রাখার জন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র সবুজ সংকেতের অপেক্ষা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এই মুহূর্তে দিতে চাইছে না কংসাবতী উত্তর বনবিভাগ। কারণ পুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতাবাঘের অপেক্ষা দীর্ঘদিনের। তাই তো একেবারেই নির্ঝঞ্ঝাটে শিলিগুড়ির সালুগাড়ার বেঙ্গল সাফারি থেকে জ্যাকিকে নিয়ে আসাই অন্যতম লক্ষ্য পুরুলিয়া মিনি জু কর্তৃপক্ষের।

ইতিমধ্যেই ওয়েস্ট বেঙ্গল জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চৌধুরী ঘুরে গিয়েছেন সুরুলিয়া মিনি-জু। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ”সুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতাবাঘ খুব শীঘ্রই আসবে। সমস্ত কিছু চূড়ান্ত করতে একটু সময় লাগছে। কিন্তু খুব বেশি দিন আর অপেক্ষা করতে হবে না। এই চিড়িয়াখানার শোভা বাড়াতে চিতাবাঘ দ্রুত নিয়ে আসা হবে।”

সুরুলিয়া মিনি জু-তে চিতা বাঘের জন্য এনক্লোজার বহুদিন আগেই তৈরি ছিল। কিন্তু চিতা বাঘ না থাকার কারণে সেই এনক্লোজারে ঝোপঝাড় তৈরি হয়ে যায়। সেই এনক্লোজার কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে চিতাবাঘের থাকার উপযোগী করার জন্য। এনক্লোজারের মধ্যেই রয়েছে চিতাবাঘের জলকেলির জন্য ওয়ালো পুল। সেই সঙ্গে জল খাওয়ার ব্যবস্থা। দু’টি আচ্ছাদন। চিতাবাঘ মগডালে বসে তাই কৃত্রিমভাবে গাছের ডালও তৈরি করা হয়েছে। এই চিতা বাঘ বা লেপার্ড দর্শনে দর্শকদের যাতে কোনও রকম ঝুঁকি না হয়, তাই দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তা বলয় রয়েছে। প্রথম পর্যায়ে এনক্লোজারের জাল। সেই সঙ্গে দ্বিতীয় পর্যায়ে বৈদ্যুতিক তারের ফেন্সিং। এনক্লোজারের ভেতরেই রয়েছে ক্রল, চিকিৎসার জন্য স্কুইজ কেজ। এছাড়া চারটি নাইট সেল্টার। পুরুষ চিতা বাঘ ‘জ্যাকি’-র যাতে নতুন পরিবেশে মন খারাপ না হয় তাই আগামী দিনে তার সঙ্গীকেও নিয়ে আসা হবে। জ্যাকির আগমনের প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। এবার পুরুলিয়ার মানুষেরাও চিতা বাঘ দেখতে পারবে সামনে থেকে।

শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি

IMD Heatwave Red Alert: হলুদ-কমলা অ্যালার্টের দিন খতম, সূর্যের আগুন এবার শুধু লাল সতর্কতায়, রাত পোহালেও আগুনই-আগুন

: রোজই সূর্যের তাপমাত্রা ক্রমবর্ধমান ইনিংস খেলে চলেছে৷  কোনওভাবেই যেন মিলছে না স্বস্তি। বিগত ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপপ্রবাহের রেকর্ড৷ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূমে আগামী চার থেকে পাঁচদিন হিটওয়েভের রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে৷
: রোজই সূর্যের তাপমাত্রা ক্রমবর্ধমান ইনিংস খেলে চলেছে৷  কোনওভাবেই যেন মিলছে না স্বস্তি। বিগত ৫০ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপপ্রবাহের রেকর্ড৷ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূমে আগামী চার থেকে পাঁচদিন হিটওয়েভের রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে৷
: আবহাওয়া তার উগ্র রূপ দেখাতে শুরু করেছে। দেশের সমতল অঞ্চলে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ সহ গোটা দক্ষিণ ভারত প্রচণ্ড গরমের কবলে। 
: আবহাওয়া তার উগ্র রূপ দেখাতে শুরু করেছে। দেশের সমতল অঞ্চলে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ সহ গোটা দক্ষিণ ভারত প্রচণ্ড গরমের কবলে।
দহন জ্বালায় জ্বলছে জেলা পুরুলিয়া। সকাল দশটার পর থেকে রাস্তাঘাটে বেরোনো দায় হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট একপ্রকার শুনশান হয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে গোটা জেলায়।
দহন জ্বালায় জ্বলছে জেলা পুরুলিয়া। সকাল দশটার পর থেকে রাস্তাঘাটে বেরোনো দায় হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাট একপ্রকার শুনশান হয়ে যাচ্ছে। তাপপ্রবাহের সর্তকতা জারি করা হয়েছে গোটা জেলায়।
গরমের জ্বালায় নাজেহাল অবস্থা হয়েছে জেলার মানুষদের। এই দিন পুরুলিয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে। শুধু তাপমাত্রা আর পারদ বাড়ছে তা নয় পাশাপাশি বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে লু বইতে জেলার বিভিন্ন জায়গাতে।
গরমের জ্বালায় নাজেহাল অবস্থা হয়েছে জেলার মানুষদের। এই দিন পুরুলিয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ থাকতে পারে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস বলে জানা গিয়েছে হাওয়া অফিস সূত্রে। শুধু তাপমাত্রা আর পারদ বাড়ছে তা নয় পাশাপাশি বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দেখা যাচ্ছে লু বইতে জেলার বিভিন্ন জায়গাতে।
দক্ষিণের একাধিক জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রবলভাবে বেড়ে গিয়েছে তাপমাত্রার পারদ। সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর , পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে।
দক্ষিণের একাধিক জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। প্রবলভাবে বেড়ে গিয়েছে তাপমাত্রার পারদ। সতর্কতা জারি করা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর , পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানে।
তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে হুগলি, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা , দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমানে। তাপমাত্রার পারদ এই মুহূর্তে নিম্নমুখী হচ্ছে না কোনও জায়গাতেই। দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা জারি হয়েছে হুগলি, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা , দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব বর্ধমানে। তাপমাত্রার পারদ এই মুহূর্তে নিম্নমুখী হচ্ছে না কোনও জায়গাতেই। দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
উত্তরবঙ্গে বেশ কিছুটা তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। এইদিন হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ। উত্তরবঙ্গে বেশ কিছুটা তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। সমস্ত জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। উত্তরে জেলাগুলি থেকেও বিদায় নিতে চলেছে স্বস্তি।
উত্তরবঙ্গে বেশ কিছুটা তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। এইদিন হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পং-এ। উত্তরবঙ্গে বেশ কিছুটা তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। সমস্ত জেলাতেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। উত্তরে জেলাগুলি থেকেও বিদায় নিতে চলেছে স্বস্তি।
আগামী বুধবার পর্যন্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
আগামী বুধবার পর্যন্ত গোটা দক্ষিণবঙ্গেই তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।দক্ষিণবঙ্গের সবকটি জেলাতেই তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস।
*আগামী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা চরমে উঠবে। পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের দুই জেলা বাদে সর্বত্রই তীব্র দাবদাহে পুড়বে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। প্রতিবেদনঃ সৈকত শী। ফাইল ছবি। 
*আগামী ৪৮ ঘন্টায় দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা চরমে উঠবে। পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের দুই জেলা বাদে সর্বত্রই তীব্র দাবদাহে পুড়বে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি হয়েছে। প্রতিবেদনঃ সৈকত শী। ফাইল ছবি।
*পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বাদে পশ্চিম মেদিনীপুর দুই বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলায় তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা শেষ ৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙার মুখে। শনি ও রবিবার তাপমাত্রা চরমে উঠবে। জেলায় জেলায় প্রায় আরও ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়বে।
*পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বাদে পশ্চিম মেদিনীপুর দুই বর্ধমান ও বাঁকুড়া জেলায় তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা শেষ ৫০ বছরের রেকর্ড ভাঙার মুখে। শনি ও রবিবার তাপমাত্রা চরমে উঠবে। জেলায় জেলায় প্রায় আরও ২-৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়বে।
*হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী শনি ও রবিবার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ বেশি হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। চরম গরমে পুড়ছে বাংলা। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী তাপপ্রবাহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় লাল ও কমলা সর্তকতা জারি হয়েছে।
*হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী শনি ও রবিবার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ বেশি হবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। চরম গরমে পুড়ছে বাংলা। হাওয়া অফিসের রিপোর্ট অনুযায়ী তাপপ্রবাহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জায়গায় লাল ও কমলা সর্তকতা জারি হয়েছে।
*দুপুরের পরে একাধিক জেলায় লু বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে হাওয়া অফিসের রিপোর্টে। শেষ কয়েক বছরের তুলনায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তাপমাত্রা চরম শিখরে উঠেছে এপ্রিল মাসেই। শেষ পর্যন্ত তাপপ্রবাহের হাত থেকে মুক্তি নেই সাধারণ মানুষের।
*দুপুরের পরে একাধিক জেলায় লু বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে হাওয়া অফিসের রিপোর্টে। শেষ কয়েক বছরের তুলনায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তাপমাত্রা চরম শিখরে উঠেছে এপ্রিল মাসেই। শেষ পর্যন্ত তাপপ্রবাহের হাত থেকে মুক্তি নেই সাধারণ মানুষের।
*পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সর্বত্রই তাপমাত্রার পারদ ইতিমধ্যেই ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা আরও বাড়বে তাপমাত্রা। দিঘা সহ জেলার সর্বত্রই গনগনে তাপে পুড়ছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিঘার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
*পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সর্বত্রই তাপমাত্রার পারদ ইতিমধ্যেই ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা আরও বাড়বে তাপমাত্রা। দিঘা সহ জেলার সর্বত্রই গনগনে তাপে পুড়ছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিঘার তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
*আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিঘার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা, কাঁথি, হলদিয়া, তমলুক, এগরা-সহ সর্বত্রই তীব্র দাবদাহ চলছে। শনি রবিবার দিঘা সহ সর্বত্রই তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়ছে।
*আজ ২৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিঘার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থেকে ৫ ডিগ্রি বেশি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দিঘা, কাঁথি, হলদিয়া, তমলুক, এগরা-সহ সর্বত্রই তীব্র দাবদাহ চলছে। শনি রবিবার দিঘা সহ সর্বত্রই তাপমাত্রার পারদ আরও বাড়ছে।
*এপ্রিলেই তাপমাত্রার পারদ নতুন রেকর্ড গড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। মে মাসের প্রথম কয়েকদিন পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। আবহাওয়া বদলের কোনওরকম সম্ভাবনা নেই হাওয়া অফিসের রিপোর্টে। অন্যদিকে দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে ওড়িশা পশ্চিম বাংলা সহ দেশের পূর্ব দিকে রাজ্যগুলিতে তাপপ্রবাহ জারি থাকবে। ফলে বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই এখনই।
*এপ্রিলেই তাপমাত্রার পারদ নতুন রেকর্ড গড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। মে মাসের প্রথম কয়েকদিন পর্যন্ত তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। আবহাওয়া বদলের কোনওরকম সম্ভাবনা নেই হাওয়া অফিসের রিপোর্টে। অন্যদিকে দিল্লির মৌসম ভবন জানিয়েছে ওড়িশা পশ্চিম বাংলা সহ দেশের পূর্ব দিকে রাজ্যগুলিতে তাপপ্রবাহ জারি থাকবে। ফলে বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই এখনই।

Padma Awards: এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রোপণ ৫ হাজারের বেশি গাছ! পদ্মশ্রীতে ভূষিত ‘গাছদাদু’ দুখু মাঝি

শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া : একটি গাছ একটি প্রাণ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে গাছের অবদান অপরিসীম। হাইরাইজ বিল্ডিং-এর ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে গাছ। প্রতিনিয়ত গাছ বাঁচানোর জন্য প্রচার চালানো হচ্ছে। এমনকী অনেক সরকারি বেসরকারি অনুষ্ঠানেও গাছ লাগানোর বার্তা দেওয়া হয়। অনেকেই তাতে অনুপ্রাণিত হয় অনেকেই আবার এড়িয়ে যান। ‌ কিন্তু পুরুলিয়ার ভূমিপুত্র দুখু মাঝি দীর্ঘ প্রায় ১০ থেকে ১২ বছর ধরে নিজ উদ্যোগে পাঁচ হাজারেরও বেশি গাছ লাগিয়েছেন পুরুলিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে।

পুরুলিয়া জেলার বাঘমুন্ডি থানার সিন্দরি গ্রামের দুখু মাঝি, যিনি ‘গাছ দাদু’ নামেই এলাকায় বেশি পরিচিত। আর এই গাছ লাগানোর জন্যই এ বছর পদ্মশ্রী পুরস্কার পেলেন তিনি। ‌ ইতিপূর্বেই তার পদ্মশ্রী পুরস্কার পাওয়ার খবর চাউর হয়েছিল সর্বত্র। তাকে ঘিরে রীতিমতো খুশির জোয়ার বয়ে গিয়েছিল গোটা জঙ্গলমহলে। অবশেষে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে পুরস্কার পেলেন দুখু মাঝি। সোমবার দিল্লিতে এই পুরস্কার পান তিনি। তাঁর এই প্রাপ্তিতে আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছে গোটা সিন্দরি গ্রাম।

আরও পড়ুন : ১৮ বছর ধরে লালনপালনের পর দত্তককন্যার বিয়ে দিলেন তৃতীয় লিঙ্গের এক মা, কুর্নিশ সকলের

দরিদ্র পরিবারের সন্তান দুখু। সংসারে রয়েছে তাঁর অভাব অনটন। চাষবাস করে কোনও রকমে দিন কাটে তার। লেখাপড়াও সেভাবে জানেন না তিনি। কিন্তু একবার এক সাহেবের কাছে তিনি শুনেছিলেন গাছ লাগানোর কথা। গাছ না লাগালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে সে কথাও শুনেছিলেন তিনি। ‌ আর সেই কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে একের পর এক গাছ লাগিয়েছেন অযোধ্যা পাহাড়-সহ বিভিন্ন জায়গায়।

শুধু গাছ লাগানো নয়, সেই গাছের পরিচর্যাও করেন তিনি। পাশাপাশি মানুষকে বোঝান গাছ লাগানোর উপকারিতা কতটা। আর এই গাছ লাগানোর জন্যই পুরুলিয়ার ‘গাছ দাদু’ বিশ্বের দরবারে সুনাম অর্জন করেছেন। পদ্মশ্রী দুখু মাঝি আজ গোটা বঙ্গবাসীর গর্ব।