আলি ফজল এবং পঙ্কজ ত্রিপাঠী

Mirzapur Season 3: গুড্ডু-গোলু ট্যুইস্ট! ‘মির্জাপুর ৩’-এর সমাপ্তি নিয়ে হাজারো প্রশ্ন… উত্তর পেতে মরিয়া ভক্তরা, রইল কিছু সূত্র

মুম্বই: সদ্য মুক্তি পেয়েছে প্রাইম ভিডিও সিরিজ ‘মির্জাপুর সিজন ৩’। যদিও ভক্তদের হতাশা ক্রমেই ফুটে উঠছে। আসলে ওই শোয়ের বেশিরভাগ অংশেই অনুপস্থিত কালীন ভাইয়া তথা পঙ্কজ ত্রিপাঠী। শুধু তা-ই নয়, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যেই। কিছু ট্যুইস্টের বিষয়ে দেখে নেওয়া যাক।

স্পয়লার অ্যালার্ট:

মির্জাপুরের মসনদে আধিপত্য কায়েম করার খেলায় মত্ত গুড্ডু পণ্ডিত এবং গোলু গুপ্তা। এদিকে প্রদেশ-এর নতুন মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন হয়েছেন মাধুরী যাদব। ভয়মুক্ত রাজ্য গড়ার লক্ষ্যে বিশ্বাসঘাতকদের চিহ্নিত করার জন্য অভিনব পন্থা অবলম্বন করছেন তিনি। যদিও এই সিজনের শেষ ২০ মিনিটেই দেখা যাবে দুর্ধর্ষ কিছু ট্যুইস্ট। যা সিজন ৪-এর জন্য পাকাপোক্ত জমি তৈরি করে দিয়েছে।

কালীন ভাইয়া কি মির্জাপুরের রাজা হিসেবে প্রত্যাবর্তন করবেন?

মির্জাপুর ৩-র শেষ এপিসোডে নিজের ক্ষত সারিয়ে নিতে পেরেছেন কালীন ভাইয়া। দুর্ধর্ষ কায়দায় প্রবেশ করেন বৈঠক-এ। যেখানে মির্জাপুরের মসনদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে হাজির হয়েছিলেন বাহুবলীরা। ফের একবার পূর্বাঞ্চলের নেতা হিসেবে তাঁকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। দায়িত্ব গ্রহণ করে ঘোষণা করেন, ভাইপো শরদ শুক্লাকে চাইছেন তিনি। আসলে কালীন ভাইয়ার অনুপস্থিতিতে মির্জাপুরের নিয়ন্ত্রণ থাকবে শরদের হাতেই। এমনকী নিজের ছায়া হিসেবে শরদকে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন কালীন ভাইয়া।

নে আনন্দ নিয়ে এই প্রস্তাব গ্রহণও করেন শরদ। কালীন ভাইয়া বলেন, অবসে ইয়ে হ্যায় কিং অফ মির্জাপুর… অওর হামে বেহদ দুখ হ্যায় কি ইয়ে আখরি কিং অফ মির্জাপুর হোঙ্গে (এখন থেকে এ-ই হল মির্জাপুরের রাজা… আর আমি অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, এ-ই হবে মির্জাপুরের শেষ রাজা)। ইতিমধ্যেই শোনা যায় বন্দুক থেকে গুলি চলার শব্দ। আর পর মুহূর্তেই দেখা যায়, শরদ শুক্লার রক্তাক্ত দেহ।

আরও পড়ুন: বড় বদল বাজারদরে! আলু, পেঁয়াজ, শাকসব্জির মূল্যবৃদ্ধিতে হাহাকার, তার মাঝেই বিরাট খবর

এদিকে সিজন ২-এর শেষে কালীন ভাইয়া জানিয়েছিলেন যে, নিজের পুত্র মুন্না ভাইয়ার উপর দায়িত্ব সঁপে দিয়ে অবসর গ্রহণ করবেন। তবে গুড্ডুর গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান মুন্না ভাইয়া আর ওই হামলায় জখম হয়েছিলেন কালীন ভাইয়াও। তিনি জৌনপুরে শরদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন। আর পরিবর্তে শরদকে মির্জাপুরের রাজা বানানোর প্রতিশ্রুতি দেন। এর থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, কালীন ভাইয়ার হাতেই নিহত হয়েছেন শরদ। কিন্তু নিজের প্রতিশ্রুতি রেখে শরদকে মির্জাপুরের নতুন রাজা ঘোষণা করেছিলেন কালীন ভাইয়া। কিন্তু রাজা হিসেবে ঘোষণা করলেও তাঁকে মির্জাপুরের শেষ রাজা বলেই তকমা দিয়েছেন। যার অর্থ হল, পূর্বাঞ্চল শাসন করার কোনও ইচ্ছাই নেই তাঁর। তবে মনে করা হচ্ছে, তাঁর আবারও প্রত্যাবর্তন হতে পারে। আর তিনিই হয়তো বদলে দেবেন গোটা খেলাটা।

কিন্তু শরদকে কেন মারলেন কালীন ভাইয়া?

নানা কিছু নিয়েই মন ভাল নেই কালীন ভাইয়ার। এদিকে তাঁর দুঃসময়ে শরদই তাঁকে আশ্রয় দিয়েছেন। সেই কারণে তাঁর আসল উদ্দেশ্য না জেনেই তাঁকে মির্জাপুরের রাজা বানানোক কথা দিয়েছেন কালীন ভাইয়া। এদিকে মুন্নার স্ত্রী তথা কালীন ভাইয়ার পুত্রবধূ মাধুরী যাদব বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছেন। এদিকে শরদের প্রতি তাঁর অনুভূতি তৈরি হয়েছে। পরে মাধুরী জানতে পারেন যে, তাঁর বাবার খুনের পিছনে রয়েছেন শরদই। স্বীকারোক্তি নেওয়ার জন্য তাঁকে ডেকেও পাঠান মাধুরী। কিন্তু শরদ জানিয়ে দেন যে, তিনিই কালীন ভাইয়াকে আশ্রয় দিয়েছেন।

গোলু আর গুড্ডুর কি প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে?

সিজন ৩-র বেশিরভাগ অংশেই গুড্ডু আর গোলুকে একসঙ্গে দেখা যায়নি। গোলুকে অপহরণ করেছে ছোটে ত্যাগী। সে গোলুকে ভালবাসলেও তাঁর প্রতি প্রতিশোধ তুলতে চায়। তবে গোলু কোনওক্রমে বেরিয়ে এসে প্রাক্তন মন্ত্রী জেপি-র সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে গুড্ডুকে জেল থেকে ছাড়ান। এরপর তাঁরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে চুম্বনে ধরা দেন। সিজনের শেষটা দেখে মনে হয়, গোলু আর গুড্ডু একসঙ্গে রয়েছেন, তবে সঙ্গী হিসেবে।