ঘোষেরগ্রাম আঞ্চলিক বিদ্যালয় ছাত্র

Bankura News: একটি করে গাছের দায়িত্ব নিল একজন করে ছাত্র, অভিনব উদ্যোগ বাঁকুড়ায়

বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার একটি বিদ্যালয়ে নেওয়া হল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় এবং গুরুতর সমস্যার বিরুদ্ধে মোক্ষম উদ্যোগ। মানুষের জীবনে সমস্যা বলতে আর্থিক,মানসিক কিংবা সম্পর্ক গত সমস্যা। কিন্তু আসলেই আমাদের প্রত্যেকের মাথার উপরে খাড়ার মতঝুলছে এমন একটি সমস্যা যাকে বাধা না দিলে ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানব সভ্যতা। এবার সেই সমস্যার বিরুদ্ধেই লড়াই শুরু করল ঘোষেরগ্রাম আঞ্চলিক বিদ্যালয়।

“গ্লোবাল ওয়ার্মিং” অর্থাৎ বিশ্ব উষ্ণায়ন এমন একটি দৈত্য যা গিলে ফেলবে সকলকে। তবে এটি আটকানোর প্রথম উপায় বৃক্ষরোপন করা। কিন্তু শুধুই বৃক্ষ রোপন করলে হবে না। রোপন করে দেওয়ার পর অধিকাংশ গাছ যাতে মারা যায় পরিচর্যার অভাবে। এবার এই সমস্যা সমাধান করতে বাঁকুড়া জেলার ছাতনা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সৌরভ ধল্লের প্রস্তাবে এবং বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষর সহযোগিতায় নেওয়া হল একটি বিশেষ উদ্যোগ। এক একজনশিক্ষার্থী দায়িত্ব নিলএক একটি গাছের। এইভাবে ৫০ জন শিক্ষার্থী বুধবার ৫০ টি আম গাছের চারা বসালবিদ্যালয় প্রাঙ্গনে। প্রতিটি গাছের গায়ে লেখা থাকল রোপনকারী শিক্ষার্থীর নাম। সেই করবে পরিচর্যা।

আরও পড়ুন : ‘স্বর্গের রথে’র সারথি পূজা, শববহন করে দিন বদলাচ্ছেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

এই পুরো কর্মকাণ্ডটির ছক কষেন বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক। ঘোষেরগ্রাম আঞ্চলিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সরোজ দে জানান, “এক একটি ছাত্র এক একটি গাছের দায়িত্ব নেবে। এভাবে তাদের মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি হবে এবং গাছের পরিচর্যা হবে। আজকে ৫০ টি গাছ লাগানো হল। সবকটি গাছ আম চারা, পরবর্তীতে আরো গাছ লাগানো হবে।”

আরও পড়ুন : শব দাহ করার সামগ্রী দিয়েই ভাস্কর্য! বাঁকুড়ার শিল্পীর চমকপ্রদ কাহিনী

প্রতিবছর লাগানো হয় প্রচুর গাছ। কিন্তু দেখা যায় তার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে কিংবা মারা গেছে। গাছ লাগিয়ে দিলেই দায়িত্ব শেষ হয়না। গাছটিকে পরিচর্যা করে বড় করে তুলতে পারলে তবেই প্রকৃতিতে কাজে আসবে সেই গাছ। ঠিক সেই কারণেই “রথ দেখা এবং কলা বেচার” মত এক একটি ছাত্রকে দিয়ে দেওয়া হল এক একটি গাছের দায়িত্ব।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

বৃক্ষরোপণ হল সঙ্গে চিন্তা থাকলনা পরিচর্যার। তবে আদৌএই প্রস্তাব কাজে আসবে কিনা তার উত্তর একমাত্র সময় বলতে পারবে।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী