ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: ১০ বছরে ৫০ লাখ রিটার্ন চান? শুধু এই নিয়ম মেনে চলুন Gallery July 11, 2024 Bangla Digital Desk একমাত্র শেয়ার বাজারই বিনিয়োগকারীকে অল্প সময়ে বড়লোক করে দিতে পারে। কিন্তু ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। সবার কপালে লাভ জোটে না। অধিকাংশ বিনিয়োগকারীই লোকসান করেন। টাকা হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে যাওয়ার গল্পও শোনা যায়। সহজ কথায় বললে, স্টক মার্কেট সবার জন্য নয়। অন্য দিকে রয়েছে মিউচুয়াল ফান্ড। এটা সরাসরি বাজারের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ঝুঁকি কম। যাঁরা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করতে ভয় পান, তাঁরা মিউচুয়াল ফান্ডে টাকা ঢালেন। মোটা টাকা রিটার্ন মেলে। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগের জন্য শেয়ার বাজারের জ্ঞান থাকারও দরকার নেই। যাইহোক, দু’ভাবে মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করা যায়। লাম্পসাম এবং এসআইপি। চাকরিজীবী বা বেতনভোগী ব্যক্তি, যাঁরা প্রতি মাসে রোজগার করেন, তাঁরা এসআইপিতে বিনিয়োগ করতে পারেন। এর মাধ্যমে নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে অল্প টাকা জমিয়েও মোটা কর্পাস তৈরি করা যায়। এসআইপি মানে হল সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান। কত টাকা বিনিয়োগ করবেন এবং মাসের কত তারিখে, সেটা বিনিয়োগকারীকে ঠিক করেন। সেই অনুযায়ী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। আর তা পৌঁছে যায় বিনিয়োগকারীর বেছে নেওয়া মিউচুয়াল ফান্ড হাউজে। বলে রাখা ভাল, এসআইপিতে ন্যূনতম ১০০ টাকা থেকে বিনিয়োগ শুরু করা যায়। এখন প্রশ্ন হল, মিউচুয়াল ফান্ডে এসআইপির মাধ্যমে ১০ বছরে ৫০ লাখ টাকা রিটার্ন পাওয়া সম্ভব? এর উত্তর হল, হ্যাঁ। এর জন্য ১৫x১০x১০ সুত্র মেনে চলতে হবে। ১৫ হল বিনিয়োগের পরিমাণ। অর্থাৎ প্রতি মাসে ১৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। পরের ১০ হল স্টেপ আপ। প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে বাড়াতে হবে বিনিয়োগের পরিমাণ। পরের ১০ হল মেয়াদকাল। অর্থাৎ ১০ বছরের জন্য বিনিয়োগ করতে হবে। বিশেষজ্ঞরা দেখেছেন, দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করলে মিউচুয়াল ফান্ড থেকে ১২ শতাংশ হারে রিটার্ন পাওয়া যায়। এখন ১০ শতাংশ বার্ষিক স্টেপ আপ সহ ১০ বছরের জন্য ১৫ হাজার টাকার এসআইপি করলে ৫০,৬১,৪৮৯ টাকা রিটার্ন পাবেন বিনিয়োগকারী।